আগাম নির্বাচনের হুঁশিয়ারি-ইউক্রেনে বিতর্কিত ভাষা আইনকে ঘিরে সংঘর্ষ

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গতকাল বুধবার পুলিশের সঙ্গে শত শত বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টে ভাষাসংক্রান্ত নতুন এক আইনের খসড়া অনুমোদনের জের ধরে ওই সংঘর্ষ হয়। সংকট এড়াতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন।


এ ছাড়া আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
কিয়েভের একটি সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বক্তৃতা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাঁর এ বক্তৃতার আগে বিতর্কিত ওই আইনকে ঘিরে কেন্দ্রের ঠিক বাইরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কর্মসূচি বাতিল করে দেন।
সম্প্রতি রাশিয়াপন্থী ইয়ানুকোভিচের দল ভাষাসংক্রান্ত নতুন ওই আইনের খসড়া প্রণয়ন করে। খসড়ার ওপর অনেকগুলো সংশোধনীও আনা হয়। কিন্তু কোনো বিতর্ক অনুষ্ঠান ছাড়াই গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তা অনুমোদিত হয়। ইতিমধ্যে এ নিয়ে পার্লামেন্টে সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় স্পিকার ভ্লাদিমির লিতভিন পদত্যাগের প্রস্তাব দেন এবং তাঁর সহকারী মাইকোলা তোমেঙ্কো পদত্যাগপত্র দাখিল করেন।
আইনটিতে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসীর মাতৃভাষা হিসেবে রুশ ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এটি সরকারি কাজকর্মসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। অবশ্য এটি রাষ্ট্রীয় ভাষার সমমর্যাদা পাবে না।
সমালোচকদের আশঙ্কা, আইনটি কার্যকর হলে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন ও মস্কোর প্রভাববলয়ে দেশটির ফিরে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে। ইয়ানুকোভিচকে মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখে থাকেন সমালোচকেরা।
এদিকে ইয়ানুকোভিচ পার্লামেন্টের উত্তেজনাকে ‘সংকটজনক পরিস্থিতি’ আখ্যায়িত করে ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। আগামী অক্টোবরে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। তিনি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদত্যাগ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য সব দলের নেতাদের এক জরুরি বৈঠকে বসারও আহ্বান জানিয়েছেন। বিবিসি ও এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.