সরল গরল-মাই লর্ড মেয়র মন্জুর আলম by মিজানুর রহমান খান

চট্টগ্রামের মেয়রকে ‘মাই লর্ড মেয়র’ হিসেবে সম্বোধন করতে চাই। কারণ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি সামন্তসমাজের প্রতিচ্ছবি দেখি। দেখি তেমনই সমাজের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। ফিউডালিজমের বাংলা হলো সামন্ততন্ত্র। ১৬১৪ সালে শব্দটির প্রয়োগ শুরু। আপনারা লক্ষ করেছেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলের প্রতীকে হয় না।


তবুও আমরা দুই পরীক্ষিত বন্ধুর দেখা পাই। মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মন্জুর আলমকে রাজধানীতে আসতে দেখি। তাঁরা প্রধান দুই দলের নেতার কাছে দোয়া নিয়েছেন। জনাব চৌধুরী কায়ক্লেশে তাঁর সংশয়গ্রস্ত আনুগত্য নবায়ন করেন। মন্জুর আলম জিয়ার প্রথম সমাধি জিয়ারত করেন। তাঁর ভাইকেও বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে ফুল নিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা যায়। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকলে তিনি নিজেই ছুটে আসতেন। এসব ঘটনা প্রমাণ দেয়, স্থানীয় নির্বাচন নয়, চট্টগ্রামে একটা কেন্দ্রীয় নির্বাচন হলো। আর এই কেন্দ্র কোনো রকম বিকেন্দ্রীকরণে বিশ্বাসী নয়।
মিলটা দেখুন। মধ্যযুগীয় সামন্তসমাজে লর্ড ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। লর্ড কথাটি বহু দেশে বহু অর্থে ব্যবহূত হয়। আমাদের দেশে বিচারপতিদের লর্ড সম্বোধন করা হয়। তার উৎপত্তি সম্ভবত প্রাচীন জার্মান উপজাতীয় প্রথায়। এই লর্ড মানে ‘রুটিরক্ষক’। অস্ট্রেলিয়া, কানাডার প্রধান নগরপিতাদের এখনো বলা হয় লর্ড মেয়র। ব্রিটেনে রাজা ছিলেন প্রধান লর্ড। আমরা ব্রিটেনের বিবর্তন মনে রাখব। মন্জুর আলমকে লর্ড মেয়র সম্বোধন করলাম। সেটা ‘রাজার খাস ভাড়াটে’ অর্থে। মধ্যযুগীয় ব্রিটেনের অনুসরণে।
রানি এলিজাবেথ আজও প্রধান লর্ড। কিন্তু ওই খোলসটুকু মাত্র। ভেতরে গণতন্ত্র। সামন্তসমাজে রাজাদের কাছে বিশ্বস্ততা ও আনুগত্যের শপথ নিতে হতো। জনগণ সেখানে অনুপস্থিত ছিল। চট্টগ্রামে মানুষ ভোট দিয়েছে। কিন্তু তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকবে।
মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় সমাজে দুজন ব্যক্তির মধ্যে এই শপথ হতো। আমাদের সমাজেও এর বাস্তব অনুশীলন চলছে। মহিউদ্দিন ও মন্জুর ঢাকায় এসে শপথ নেন। এই শপথই আমাদের সমাজের চালিকাশক্তি মনে হয়। মধ্যযুগে যে আনুগত্য দেখাত, তাকে বলা হতো ‘ভেসাল’ বা দাসখতদাতা। যার কাছে শপথ বা দাসখত দেওয়া হতো, তাঁর ছিল লর্ড উপাধি। আমাদের সমাজে এখন লর্ড নেই। আছে অন্য নামে। এরাই ভাইয়া। চাচা। বড় ভাই। কখনো আপা, ম্যাডাম ইত্যাদি। ২২ জুন মন্জুর সাংবাদিকদের বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীকে তিনি ‘আজীবন বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা’ করেছেন।
লর্ড-ভেসাল শপথের সময় একটি চুক্তি হতো। ভেসাল বলত, আপনার অবাধ্য হব না। লর্ড বলত, তোমাকে আমি সুরক্ষা দেব। রাতবিরাতে ফুলের তোড়া হাতে ছোটাছুটির মধ্যে আমরা উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে সেই মধ্যযুগীয় চুক্তির ছায়া দেখি।
নির্বাচনের আগে দুই নেতা ঢাকায় ওই শপথ পাঠ করেন। নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এটা করতে তাঁরা বাধ্য ছিলেন। কারও পক্ষেই তা এড়ানো সম্ভব ছিল না। কারণ ক্ষমতার রাজনীতিটা চট্টগ্রামের মানুষ নিয়ন্ত্রণ করে না। ভোটাররা সমাজ নিয়ন্ত্রণ করলে বাংলাদেশে গোত্র গণতন্ত্রের এতটা বাড়বাড়ন্ত হতো না। ঢাকায় ওই যে শপথ হলো, এর মাধ্যমে তারা আসলে চট্টগ্রামকে ‘ভেসেল স্টেট’ বা পুতুল নগরে নামিয়ে আনল। বড় নেতা-নেত্রীরা চাইবেন না, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চাইবে না, অথচ স্থানীয় জনগণ চাইবে বলে সেটা মানতে হবে, সেটা হবে না। আর সেটা যখন হয় না বা নামকাওয়াস্তে কিছু হয়, তখন সেখানে স্থানীয় সরকার আর থাকে না। স্থানীয় শাসন কায়েমের প্রশ্ন মাঠে মারা পড়ে।
চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচনে আমরা খোলস-গণতন্ত্রের মহড়া দেখি। কিন্তু গণতন্ত্রের বিজয় দেখি না। লাতিন শব্দ মেয়র। এর অর্থ মহত্তম। প্রায় ১১০০ বছর আগে এডওয়ার্ড দ্য এলডারের আমলে এই পদটির জন্ম। পরিহাস হলো, সম্রাটের অনুগত ও বিশ্বস্তরাই এ পদ পেতেন। আজও সেই আনুগত্যই বড় পরীক্ষা। প্রার্থী হতে হলে তা অর্জন করতে হবে। ভোটের পরে তাকে রক্ষা করতে হবে।
১৮৮২ সালে ব্রিটেনে প্রথম মেয়র নির্বাচন আইন হয়। সে আইনে কিন্তু মেয়রের মেয়াদ এক বছর নির্দিষ্ট হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যথাসময়ে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হতে হবে। আমার কাছে মনে হলো, কথাটা ১২৮ বছর দূর থেকে ভেসে এসেছে। মেয়াদ শেষে যাতে নির্বাচন না হয়, সে জন্য কৌশলের কোনো অভাব নেই। ওই আইনেই কিন্তু নির্দিষ্ট ছিল, প্রতিবছর ৯ নভেম্বর নির্বাচন হবে। ব্রিটেনের শুরুটা এমন ছিল। এখন কোথাও মেয়াদ বেড়েছে। ভাবুন তো, আমরা কেন গণতন্ত্র শেখার পর্বে এখন এমন আইন তৈরি করি না।
সব রকম উদাহরণই আছে। কোনটা আমরা নেব। দেখব। শিখব। সেটাই বড় বিষয়। ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসে মেয়রের মেয়াদ ছয় বছরের। বেলজিয়াম অনির্দিষ্টকাল মেয়াদে। অনেক দেশে কেন্দ্রীয় সরকার মেয়র নিয়োগ দেয়। অনেক দেশে আমাদের মতো প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র হয়। তবে সাম্প্রতিক প্রবণতা হলো নির্বাচকমণ্ডলীর দ্বারা মেয়র নির্বাচন। প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত মেয়রদের অনেকেই স্বৈরশাসক হয়ে উঠছেন। যে মডেলটা আমাদের দেশে এখন চলছে, সেটায় ত্যক্তবিরক্ত ব্রিটেন। একজন নির্বাচিত মেয়র, সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের একজন আমলা। দুজন মিলে কাউন্সিলরদের পাত্তা না দেওয়া। মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর ১৭ বছরের অধিকাংশ সময় সম্ভবত এটাই চালিয়েছেন।
এক দশক ধরে ব্রিটেন এই প্রশ্নে অস্থিরতা দেখাচ্ছে। ৩৭টি স্থানে গণভোট হয়েছে। মাত্র ১২টিতে প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র নির্বাচন সমর্থিত হয়েছে। বাকি ২৫টিতে কাউন্সিলরদের ভোটে মেয়র নির্বাচনের পরোক্ষ ব্যবস্থা সমর্থিত হয়েছে। বাংলাদেশে এই পরোক্ষ ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিন সদস্যের স্থানীয় সরকার কমিশন পরোক্ষ ভোটে মেয়র নির্বাচনের সুপারিশ করে। আওয়ামী লীগ এই বিধান বিলোপ করেছে। পরোক্ষ ভোট শুনলে অনেকে আইয়ুবের মৌলিক গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী তো পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। সেটা কি আইয়ুবের মডেল? এই তুলনা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
গত ১৭ জুনের ভোটে শুধু কাউন্সিলর নির্বাচন হতে পারত। ৪১ জনের যে কেউ মেয়র হতে পারতেন। তখন মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আসত প্রতিটি ওয়ার্ড। গণমাধ্যম শুধু দুজনকে ঘিরে মাতামাতি করল। মোনায়েম খাঁ শুধু পিন্ডির মনোভঞ্জনে আগ্রহী ছিলেন। আমাদের এই ব্যবস্থায় ঢাকাকে বানালাম পিন্ডি। নব্য পিন্ডিকে সন্তুষ্ট রাখাটাই মাই লর্ড মেয়রের চ্যালেঞ্জ। এখানে বীরত্ব কিংবা অবাধ্যতার সুযোগ নেই। মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো ফাটাফাটির খবর নেই। ‘বিএনপির সময় যতটা স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেছি, সেভাবে আমি আওয়ামী লীগের সময় পারিনি’, জনাব চৌধুরীর মুখে এ কথা বহুবার শোনা গেছে। ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেনকে নিয়ে শেখ হাসিনার আদৌ কোনো অস্বস্তি আছে বলে আমরা জানি না।
আমি মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের বড়ই মিল পাই। তখন রাজারাই ছিলেন ফিউডাল লর্ড। কাউন্টরা (রাজার সহচর) উঁচুতে ছিলেন। সামন্ত প্রভুরা ছিল নিচু। কাউন্টরা অর্পিত ক্ষমতা (ডেলিগেটেড পাওয়ার) ভোগ করতেন। কিন্তু ফিউডাল লর্ডদের সেই সুযোগও ছিল না। দয়াপরবশ হয়ে রাজারা যতটুকু ক্ষমতা দিতেন, সেটুকুই তাঁদের ভোগ করতে হতো। আমাদের মেয়র, সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, যেখানে যাঁর নাম যাই হোক, তাঁরা সেই ফিউডাল লর্ড। কেউ কাউন্ট। তবে একবিংশ শতাব্দীতে এই ভূখণ্ডে তাঁরা যে যাই হোন, জনগণের অর্পিত প্রকৃত দায়িত্ব তাঁরা পালন করেন না। সামন্ততন্ত্র আর গণতন্ত্র পাশাপাশি চলে না। উপজেলা প্রশাসনকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হলে সামন্ততন্ত্রে কুঠারাঘাত পড়বে। তাই তা দেওয়া হয় না। স্থানীয় শাসনের উত্থান ঘটলে সংসদের মুখোশটা খুলে পড়বে। তাই স্বায়ত্তশাসনকে দুই বড় দল যমের মতো ভয় পাচ্ছে। দুদক, মানবাধিকার কমিশন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, তথ্য কমিশন—সবটাকেই সুতো দিয়ে বাঁধার প্রবণতা। সবশেষ বিটিআরসিকে পদানত করার সূত্র ওই একই।
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ঢাকাভিত্তিক সরকারের দয়াভিক্ষায় টিকে থাকে। অথচ প্রজাতন্ত্রের মালিকেরা তাদের স্বায়ত্তশাসন দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মুজিবের সেই স্বায়ত্তশাসনের স্বাদ। প্রদেশ, রাজ্য বলা হয়নি ঠিকই, নামকরণ একটা করেছিল। ‘প্রশাসনিক একাংশ’। থমাস জেফারসন ও জেমস মেডিসনেরা অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে পতাকা দিয়েছিলেন। সংবিধান দিয়েছিলেন। আমাদের সংবিধানপ্রণেতারা অতটা ভাবেননি। তবে তাঁরা ছায়াটা নেন। কখনো মনে হয় সেটা দিলেই বুঝি ভালো হতো। বাংলাদেশে প্রদেশ ও ফেডারেল সরকার পদ্ধতি চালুর বিষয়টি ভাবা যেতে পারে। চট্টগ্রামে ১৭ লাখ ভোটার। তরুণ ভোটার পাঁচ লাখ। ভুটানের লোকসংখ্যা সাত লাখ। চট্টগ্রাম মহানগরে লোকসংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। এর চেয়ে কম লোকসংখ্যার দেশের সংখ্যা ৮০টির বেশি হবে।
প্রশ্ন হলো, আমাদের মাই লর্ড মেয়রগণ তাঁদের শহরগুলোকে প্রকারান্তরে আর কতকাল ভেসেল স্টেট হিসেবে গণ্য করে চলবেন? মোঙ্গল শাসক ও তাঁদের চেলাচামুণ্ডারা ছিলেন মারকুটে। নগরগুলোর লর্ডরা তা টের পেতেন। তাই তাঁদের নগর আক্রমণের আগেই আত্মসমর্পণ করতেন। এর মূলমন্ত্র ছিল একটাই—শর্তহীন আনুগত্য প্রদর্শন। এটাই লিটমাস টেস্ট। বাংলাদেশেও টেস্ট ওই একটাই।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর আনুগত্যবিচ্যুতি দেখা দিয়েছিল। তিনি অনেকগুলো উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি নগর সরকারের স্বপ্ন দেখতেন। এসব বিষয় ওই আনুগত্যের সঙ্গে যায় না। মন্জুর আলম আনুগত্যের পরীক্ষায় এ পর্যন্ত উত্তীর্ণ। সেটা জনাব চৌধুরীরও জানা। মন্জুর আলম গত ২২ জুন জনাব চৌধুরীর বাসভবনে যান। জনাব চৌধুরীর শোবার ঘরে পর্যন্ত তাঁর প্রবেশাধিকার রয়েছে। সম্পর্কটা এমনই অন্তরঙ্গ। জনাব চৌধুরী তাঁর ১৭ বছরে মন্জুর আলমকে সর্বোচ্চ নয়বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেন।
আমরা চট্টগ্রামের নগর-রাজনীতিতে কোনো মৌলিক গুণগত পরিবর্তন আশা করছি না। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আসবে, গণতন্ত্র শুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া চালু হবে—এসব অলীক স্বপ্ন। কিছু ক্ষেত্রে যা বিএনপি তা-ই আওয়ামী লীগ। মাই লর্ড মেয়র সে রকম একটি চরিত্র। তিনি তাঁর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তাঁর পিতা একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। এর সুফল তিনি নেবেন। তাঁর ব্যক্তিগত সততার সুনাম আমরা শুনেছি। সে জন্য তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই। মহিউদ্দিন ৫০ বছর আর নতুন মেয়র রাজনীতিতে আছেন ৪০ বছর। মহিউদ্দিন ‘আমৃত্যু’ রাজনীতি করবেন। জনাব আলমের সামনে সংসদ নির্বাচনের টিকিট ঝুলছে। তদবির করে আর হতাশ হতে হবে না। হয়তো তিনি কার কাছ থেকে নেবেন, সেটা একটা প্রশ্ন।
মাই লর্ডকে প্রশ্ন করুন। কবে অবসর নেবেন। তিনি অবমাননা বোধ করবেন। মহিউদ্দিন সম্পদের বিবরণী দেননি। কাউন্সিলরদের কাছ থেকে আদায় করেননি। একই পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন নতুন মাই লর্ড। তাঁর ব্যক্তিগত সততা হয়তো থাকবে। কিন্তু উল্লিখিত লর্ড-ভেসেল শর্ত তাঁকে মানতে হবে। শর্ত ভাঙতে চাইলে তিনিই ভেঙে যাবেন। তেমন ঝুঁকি নেওয়ার লোক তিনি নন বলেই শুনিছি। চ্যালেঞ্জ নিতে সংকল্প হচ্ছে? আচ্ছা নিন। নাগরিকদের পক্ষে এই একটি কাজ করে দেখান। লর্ড-ভেসেলের সুতাটা ছিন্ন করুন। অবসরের ঘোষণা দিন কিংবা নিজের ও পোষ্যদের সম্পদ ও দায়দেনা এবং স্বার্থের সংঘাতের বিবরণী প্রকাশ করুন। মাই লর্ড মেয়র, আপনাকে আমরা অভিনন্দন জানাব। অপেক্ষায় রইলাম।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.