গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা-সবার উপযোগী ভিএএস নীতিমালা প্রয়োজন

বর্তমানে মোবাইল ফোনের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভিএএস) শিল্প কোনো লাইসেন্সের আওতায় নেই। তাই এ ব্যবসায় জড়িত উদ্যোক্তারা তাঁদের মেধার ও কাজের সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। এ জন্য ভিএএসের জন্য সবার উপযোগী নীতিমালা প্রয়োজন।
গতকাল বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বেসিস, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), কনটেন্ট প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সিপিএএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) যৌথভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করে।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘জাতীয় উন্নয়ন ও বিভিন্ন নাগরিকসেবা সম্প্রসারণে প্রস্তাবিত ভিএএস নীতিমালার ভূমিকা’ শিরোনামের মূল প্রবন্ধ পড়েন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর। তিনি তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী নয় কোটি। বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়ের বড় ক্ষেত্রটি হচ্ছে কথা বলা আর মাত্র চার শতাংশ আয় আসে মোবাইল ফোনের অন্যান্য সেবা অর্থাৎ ভিএএসের মাধ্যমে। অন্যান্য দেশে ভিএএস থেকে আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি। এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য, বিনোদন ও লেনদেনভিত্তিক সেবা চলছে।
সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল ফোনভিত্তিক ভিএএস লাইন্সেসের নির্দেশনার একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। বৈঠকে বক্তারা ভিএএসের এ লাইসেন্স নির্দেশনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এতে বক্তব্য দেন বিসিএসের সভাপতি ফয়েজউল্লাহ্ খান, বেসিসের সভাপতি মাহবুব জামান, আইএসপিএবির পরিচালক মক্তবুর রহমান, বাক্যের সভাপতি আহমেদুল হক, বিএমপিআইএর সভাপতি মোস্তফা রফিকুল ইসলাম, সিপিএএবির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ টেলিযোগাযোগ ও ভিএএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের দারুণ সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমানে বিদ্যমান পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে এ ব্যবসায় আর্থিক প্রণোদনা না থাকায় উদ্যোক্তারা সফলতা পাচ্ছেন না। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা সাধারণ ব্যবহারকারীদের নানা ধরনের মোবাইল ফোনভিত্তিক সেবা দিয়েও আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছেন না। নির্দিষ্ট লাইসেন্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না থাকায় এ খাতে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজেদের কাজের মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। তাই সবার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ভিএএস লাইসেন্সিং গাইডলাইন বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে। এ ছাড়া ভিএএসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রাধান্য বেশি দেওয়া উচিত, যার ফলে মোবাইল ফোন অপারেটররাও লাভবান হবেন। —নুরুন্নবী চৌধুরী

No comments

Powered by Blogger.