অরণ্যে রোদন-একটি নিষ্ঠুর কল্পকাহিনী এবং... by আনিসুল হক

শিপন, রিপন আর নিপন—তিন ভাই। তাদের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ৩৩ আর ২৮। শিপন বড়। রিপন মেজ। ছোটটা জন্মায় রিপনের জন্মের পাঁচ বছর পর। তার নাম রাখা হলো আগের দুই ভাইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে। নিপনের চেয়ে নিপুণ ভালো। শব্দটার একটা অর্থ হয়। কিন্তু মা-বাবার কাছে অর্থের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো অন্ত্যমিল।


ওদের বাবা মারা গেলেন অসময়ে। তিন শিশুপুত্রকে নিয়ে অগাধ জলে পড়লেন মা। তাঁরা ঢাকা শহরে একটা ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রথম ধাক্কা, বাসা ভাড়ার টাকাটা জোগাড় হবে কী করে?
ওদের মা সিতারা বেগমের সামনে দুটো উপায় ছিল। বাচ্চাদের নিয়ে গ্রামে তাঁদের দাদার বাড়িতে যাওয়া। দাদা কৃষক। তাঁর কিছু জমিজমা আছে। সেখানে গিয়ে তাঁরা কষ্টেসৃষ্টে দিন কাটাতে পারেন। আরেকটা উপায় হলো, সিতারা বেগম ঢাকাতেই থাকবেন। নিজে কিছু একটা করার চেষ্টা করবেন। বিয়েতে পাওয়া গয়না বিক্রি করে তিনি বাসা ভাড়া দিলেন। আর চাকরি খুঁজতে লাগলেন। বিএ পাস ছিলেন মহিলা। একটা ব্যাংকে ছোট একটা চাকরি পেলেন। সারা দিন চাকরি করেন। টিফিনের সময় বাসায় ছুটে আসেন কোলের বাচ্চাটাকে দুধ খাওয়াতে। নিপন তখন মোটে ১০ মাসের শিশু।
কী কষ্টের দিনই না গেছে তাঁদের। ছেলেরা আস্তে আস্তে বড় হতে লাগল। তাদের লেখাপড়া বন্ধ হলো না। ভালো স্কুলেই তারা পড়ত। সেইসব স্কুলের বেতন কম ছিল না। সারা দিন ব্যাংকের হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে এসে মা আবার বসতেন বাচ্চাদের পড়ানোর কাজে। তিনি নিজেই ছেলেদের পড়িয়েছেন, এসএসসি পর্যন্ত।
কিন্তু সেই ছেলে তিনটা বড় হয়ে ভিড়ে গেল কুসঙ্গে। তারা নেশা করে আর জুয়া খেলে। তাদের টাকা দরকার। কাড়ি কাড়ি টাকা। যখন টাকার দরকার হয়, তারা করতে পারে না এমন কিছু নেই।
শিপন ভালো চাকরি করত। রিপন করত ব্যবসা। শিপন এখনো তেমন কিছু করে না। জুয়া খেলাটাকেই সে পেশা হিসেবে নিয়েছে। জুয়া আর নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তারা সর্বস্বান্ত। কিন্তু তাই বলে টাকা জোগাড় করা তো বন্ধ করা যাবে না।
তারা ঠিক করল, কিডনি বেচবে। একজন বড়লোকের মেয়ের জন্য একটা কিডনি দরকার। সেই কিডনিটা যার রক্তের সঙ্গে মিলবে, তা পাওয়ার জন্য ১০ লাখ ২০ লাখ টাকা দিতেও তারা প্রস্তুত।
বুদ্ধিটা এল মেজ ছেলের মাথা থেকে। মার রক্তও তো বি-পজিটিভ। মা আর কতদিনই বা বাঁচবেন। অযথা একটা-দুটো কিডনি তার রাখার দরকার কী। মার একটা কিডনি তো বেচে দিলেই হয়। বাকি দুজন ব্যাপারটাকে সমর্থন জানাল। ভেরি গুড আইডিয়া। বুড়ির কি দুইটা কিডনি লাগে নাকি?
তারা মাকে বলল, মা, চল, তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
‘হাসপাতাল। হাসপাতাল কেন রে?’
‘তোমার না বাতের ব্যথা। কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পার না। একটু ডাক্তার দেখিয়ে আনি।’
মা সিতারা বেগমের চোখে জল চলে এল। কতদিন তার ছেলেরা এমন সুন্দর করে কথা বলেনি।
হাসপাতালে গেলেন মা। নানা পরীক্ষার পর ছেলেরা জানল, তার মায়ের কিডনি ম্যাচ করেছে, এই কিডনি বিক্রয়যোগ্য। মাকে তারা জানাল, তার একটা অপারেশন হবে। হলেই বাতের ব্যথাটা একেবারে চলে যাবে।
মাকে তারা শুইয়ে দিল অপারেশন টেবিলে। তার পেট কেটে একটা কিডনি বের করে নিল তারা। ভালোই দান মারতে পারল তিন ছেলে। ২১ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। প্রত্যেক ছেলের ভাগে পড়ল সাত লাখ করে।
বৃদ্ধা মা জানলেনও না যে তার একটা কিডনি বিক্রি করে দিয়েছে তাঁর ছেলেরা।
দিন যায়। ছেলেদের টাকার নেশা আরও বেড়ে যায়। তাদের আরও টাকা দরকার।
কী করা যায়? টাকা আসবে কোত্থেকে?
মার তো আরও একটা কিডনি আছে। এটাও তো আমরা বেচে দিতে পারি।
তারা আরেকটা হাসপাতালে গিয়ে বলল, আমাদের কাছে একটা কিডনি আছে। লাগলে বলবেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঠিক আছে। দরকার হলে অবশ্যই আপনাদের জানাব।
কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানে না, যার কিডনি নেওয়া হবে, তার শরীরে কিডনিই আছে একটা।
এবার আরও বড়লোক পার্টি পাওয়া গেছে। এইবার টাকা পাওয়া যাবে অনেক বেশি।
ডাক্তার যদি একমাত্র কিডনিটা অপসারণ করতে রাজি না হন। তাহলে মাকে বেডে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলতে হবে। যাতে মৃত মানুষের কিডনি নিতে ডাক্তারের হাত না কাঁপে। তিন ছেলে উত্তেজিত। এই কাজটা সুচারুরূপে করতে পারা সহজ কাজ নয়। কিন্তু টাকার জন্য তারা করতে পারবে না, পৃথিবীতে এমন কিছুই তাদের নেই। যদি দরকার হয়, ছেলেরা নিজেরাই ছুরি চালাবে। মায়ের কিডনিটা কেটে নিয়ে তারা দিয়ে আসবে যথাস্থানে।
মা, চল, তোমাকে একটা ক্লিনিকে নিয়ে যাব।
মার বুকটা আবার প্রশান্তিতে ভরে উঠল। তাঁর মুখে আশ্বাসের হাসি। ছেলেগুলো তাঁকে সত্যিই কত ভালোবাসে।
প্রিয় পাঠক, এটা একটা কাল্পনিক কাহিনী। কাহিনীটাও মৌলিক নয়। আমাদের অত্যন্ত প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই প্রথম আলোতেই তার কলাম সাদাসিধে কথায় এই রকম একটা কাহিনী অতি দক্ষতার সঙ্গে অনেক বেশি মর্মস্পর্শী আর অনেক বেশি লক্ষ্যভেদী করে পরিবেশন করেছিলেন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল ওই গল্পটা ফেঁদেছিলেন একটা বক্তব্য পেশ করার কৌশল হিসেবে।
তাঁরই দেখাদেখি আমি এই মায়ের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করা ছেলেদের গল্প রচনা ও পরিবেশন করছি। আমারও একটা বক্তব্য আছে। সেটা এখন বলি।
টাকার জন্য আমরা সবকিছু করতে পারি। সবকিছুই কি করতে পারি? আমরা কি নিজের মায়ের শরীর কেটে সেটাও বিক্রি করে দিতে পারব? শুধু টাকার জন্য? তাতে মায়ের মৃত্যু যদি হয়, অপূরণীয় ক্ষতি যদি হয়, তবুও আমাদের হাত কাঁপবে না, চোখের পাতা পড়বে না?
ঢাকা শহরের জমিজমাগুলো ভরাট করে বিক্রি করার ব্যাপারটা— শুধু ঢাকা শহরেরই বা বলি কেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে, চট্টগ্রামে, সিলেটে, কক্সবাজারে, কুয়াকাটায়, ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোয়—আমরা যেভাবে জমি দখল করছি, প্লট বানাচ্ছি, ভরাট করছি, বিক্রি করছি, সেটা নিজের মাকে খণ্ডবিখণ্ড করে বিক্রি করার মতোই নিষ্ঠুর এবং মাতৃঘাতী, পরিণামে আত্মঘাতী। এই দেশে, এই শহরে তো আমাদের থাকতেই হবে। অবশ্য যারা এই নিষ্ঠুর কাজটা করছেন, (সবার কথা বলছি না, সবাই টাকার জন্য মাতৃঘাতী হয় না), তারা এই দেশে শেষ পর্যন্ত থাকবেন কি না, আর তাদের লুণ্ঠিত অর্থের কতটা দেশে আর কতটা দেশের বাইরে রাখছেন, সেটাও একটা প্রশ্ন বটে।
প্রসঙ্গটা সামনে এসেছে ঢাকা শহরের ডিটেইল এরিয়া প্লান বা ড্যাপ নিয়ে। এই পরিকল্পনায় দেখানো হয়েছে, ঢাকা শহরের কোন অঞ্চলটা জলাধার, কোন অংশটা বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল, কোন এলাকাটা উদ্যান, কোনটা অতিফলনশীল কৃষিজমি। কোনটা আবাসিক এলাকা হতে পারে, কোথায় হতে পারে শিল্পকারখানা। এটা শিপন রিপন নিপনরা মেনে নিতে পারছে না। কারণ তাতে তাদের টাকার নেশা নিবৃত্ত হয় না।
আর তারা মনে করে, টাকার জন্য যেমন সব করা যায়, টাকা পকেটে থাকলেও তেমনি সবকিছু করার অধিকার জন্মায়, ধরাকে সরাজ্ঞান করা চলে।
আমাদের জলাধারগুলোকে কেন রক্ষা করতে হবে? কেন আমাদের বন্যাপ্রবাহ অঞ্চলগুলোকে ভরাট করা চলবে না? কারণ তা না হলে সামান্য বৃষ্টিতে ঢাকা শহর তলিয়ে যাবে। আমাদের ঘরে ঘরে পানি ঢুকবে। জলাধারগুলো হলো এই শহরের কিডনি। শুধু কি বন্যা বা জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিচু জমি আর জলাধারগুলোকে রক্ষা করতে হবে? আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে এই জলাভূমির, এই নিম্নাঞ্চল এবং কংক্রিটবিহীন খোলা এলাকার। তা হলো, এগুলো বৃষ্টির পানিকে মাটির গভীরে নিয়ে যায়, ভূগর্ভস্থ পানির সঞ্চয়কে সমৃদ্ধ করে। আমরা জানি, ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে। প্রতিবছর ১০ ফুট পর্যন্ত পানির স্তর নামছে। ১০ বছর পরে এই শহরে গভীর নলকূপ বসিয়েও পানি পাওয়া যাবে না। তখন এই শহরে আমরা পান করার জন্য, রান্না করার জন্য, স্নান করার জন্য এক ফোঁটা পানি পাব না। এই শহর পরিণত হবে পরিত্যক্ত ভুতুড়ে নগরে।
একটা শহর গড়ে উঠতে হবে সুসমন্বিত সার্বিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। যেখানে-সেখানে বিল্ডিং তুললেই তো হলো না। একটা আবাসন প্রকল্পে লোকে যাবে কী করে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, পানির ব্যবস্থা, পার্কিং, খেলার মাঠ, খোলা ময়দান, উদ্যান, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সবটা মিলিয়েই তো ভাবতে হবে। ভাবতে পারতে হবে। পরিবেশের ওপরে তার কী প্রভাব পড়ছে, কী প্রভাব পড়ছে প্রতিবেশের ওপরে, মানবিক কোনো বিপর্যয় ঘটাচ্ছে কি না প্রকল্পটা, অর্থনৈতিক দিক থেকে সেটা গ্রহণযোগ্য কি না, এই রকম নানা ধরনের বিবেচনা মাথায় রেখে সবটা দিক সুন্দরভাবে সামলে নিয়ে তারপরই কেবল একটা প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। সে জন্যই চাই নিয়মকানুন। সে জন্যই আছে সরকার, আছে যথাযথ কর্তৃপক্ষ, আছেন বিশেষজ্ঞরা, আছে নাগরিক সমাজ, পরিবেশবিদেরা।
কিন্তু বনের বাঘ একবার মানুষের রক্তের স্বাদ পেলে যেমন বন থেকে বেরিয়ে বারবার ছুটে আসে লোকালয়ে, একবার মুনাফার স্বাদ যারা পেয়েছে নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে জমি বিক্রি করার মাধ্যমে, তাদের নিবৃত্ত করবে কে? আর সব সময় জমিও তো বিক্রি করতে হয় না। সেই যে সেলিম আল দীনের নাটকে হুমায়ুন ফরীদি সংলাপ দিয়েছিলেন, আমি তো জমি কিনি না, পানি কিনি, সেটাও এখন আর প্রযোজ্য নয়। এখন ওই সংলাপ হতে পারে, আমি তো জমি বেচি না, নকশা বেচি। কাগজের মধ্যে দাগ কাটা থাকে। এই হলো আপনার প্লট। এটা আপনি কিনতে পারেন। কিস্তি দেন। কিস্তি শেষ হলে জমি। কখনো কখনো এমন হয়, এই প্রকল্পের অনুমোদন তো নেই-ই, ওই জমিও আসলে নেই। ওটা অন্যের জমি। সে কারণেই ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলতে পেরেছেন, যে জমি আপনার নয়, সেটা আপনি বেচেন কী করে। তারপর ছলে-বলে-কৌশলে মানুষের জমি কিনে নিয়ে, দখল করে, কাগজ তৈরি করে, খাসজমি, পরিত্যক্ত জমি, উদ্যানের জমি, নদী, জলাধার, পাহাড়—যাই সামনে পড়ুক সেটাকেই প্লট বানিয়ে বিক্রির চেষ্টা চলে। সব ক্রেতাই ভাগ্যবান ক্রেতা নয়, অনেকে জমি বুঝেও পায় না। কিন্তু এই চক্র এতই শক্তিশালী যে, কেউ তাদের বিরুদ্ধে কিছু করে উঠতে পারে না, নিজের সমস্ত সঞ্চিত টাকা হারিয়ে ক্রেতারা দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়। অনেক সময় পুরো কিস্তির টাকা বুঝে দিয়ে অনেক ঘোরাঘুরির শেষে যে জমিখণ্ডটা ক্রেতা বুঝে পান, বাড়ি বানাতে গিয়ে দেখেন ওই জমিটা সরকারি খাসজমি বা বাগান বা জলাধারের অংশ, এটাতে বাড়ি বানানো যাবে না। আমাদের একেকজন মোগলের বিলাসব্যসন ফূর্তির পেছনে এই রকম কত মধ্যবিত্তের করুণ দীর্ঘশ্বাস আর কত উপেনের দু বিঘে জমি হারানোর অশ্রুজল মিলেমিশে আছে, কে রাখে তার খোঁজ।
তাই আমাদের দাবি, ঢাকার চারদিকে নানা রকম আকর্ষণীয় নাম দিয়ে যেসব আবাসন প্রকল্পের মনোহর বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে, সেসবকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে হবে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত না হলে যেন কেউ কোনো প্রচারমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে না পারে, সে ব্যাপারে আইন করতে হবে। আইন করে যদি তামাকের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা যায়, আইন করে অননুমোদিত বেআইনি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন প্রচারও বন্ধ করা যাবে। কারণ অস্তিত্বহীন, অনুমোদনহীন এসব প্রকল্পের জমি কিনে হাজার হাজার মানুষ সর্বস্বান্ত হতে পারে।
আর যাঁরা আইন মেনে চলবেন, যাঁদের যথাযথ অনুমোদন থাকবে, তাঁরা প্লট বিক্রি করুন। মানুষও উপকৃত হবে, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য-অর্থনীতিও পরিপুষ্ট হবে। আমরা তাঁদের সালাম দেব।
জলাধার ও বনাঞ্চল সংরক্ষণের মাধ্যমে নীল ও সবুজ দেশ গড়ার বিষয়ে সরকারের অবস্থান শক্ত বলে মনে হচ্ছে। এই নীতিনিষ্ঠতার জন্য, এই দূরদর্শী দেশপ্রেমিক অবস্থান নেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই। নির্বাচিত সরকার যখন সত্য ও সুন্দরের পক্ষে কঠোর অবস্থান নেয়, তখন দেশের সমস্ত শুভ শক্তি তার পক্ষে থাকে।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.