পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সবাইকে নিয়েই সমাধান করুন by আতাউস সামাদ

গত শনিবার রাতে বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে দেশের সবাই বাংলাদেশে একটা খণ্ডযুদ্ধের ছবি দেখেছেন, শুনেছেন আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে লাগাতার গুলি ছোড়ার শব্দ। আরও দেখেছেন পাহাড়ের কোলে কুঁড়েঘরে আগুন ধরেছে। সেই আগুনের শিখা ও ধোঁয়া পাহাড়ের মাথা ছাড়িয়ে উঠেছে আকাশে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকা সাজেক ইউনিয়নের গঙ্গারামমুখ ও সীমানাছড়িতে পাহাড়ি ও সমতল থেকে আসা বাংলাভাষী বসত স্থাপনকারীদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ, অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে দাঙ্গায় রূপ নেয় গত শনিবার। তার আগে সংঘর্ষ শুরু হয় আগের রাতে। তখনই নাকি উভয় পক্ষ একে অপরের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে আগুন দেয়। শনিবার এ হামলা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সর্বশেষ খবরে বলা হচ্ছে যে উপদ্রুত এলাকার ছয় কিলোমিটার জায়গাজুড়ে সব ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে যে, ‘বাঙালি ছাত্র পরিষদ’ নামে এক সংগঠনের মিছিল চলার সময় একজন পাহাড়ি অধিবাসীকে মারধর করা নিয়ে উত্তেজনা থেকে হামলা ও পাল্টা হামলা দিয়ে এই দুখজনক সংঘর্ষের সূত্রপাত। তবে সব মহলে দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে এ জন্য যে, ওই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সেনাবাহিনীর একটি দল গেলে তাদের ওপরও হামলা হয় এবং আরও যে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন তাদের অন্তত দুই জায়গায় পথেই অবরোধ করে বন্দুক হামলা চালানো হয়। তাদের রীতিমত চেষ্টা করে উদ্ধার করতে হয়েছে। আমরা টেলিভিশনে পথে হামলার শিকার পুলিশদের আত্মরক্ষার চেষ্টার ছবি দেখেছি। একজন সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের ওপর হামলাগুলো পরিকল্পিত বলে সন্দেহ হয়। কারণ, তিনি যে রাস্তা দিয়ে আসছিলেন তাতে আগেই গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ আটকে রাখা হয়েছিল। তার মন্তব্য ছাড়াও পূর্ব পরিকল্পিত হামলার প্রমাণ মেলে যতক্ষণ ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলেছে তা থেকে। হতাহতের সঠিক সংখ্যা রবিবার সকাল পর্যন্ত জানা যায়নি। পাহাড়িরা দাবি করেছেন যে তাদের অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তারা নিহতদের নামের একটি তালিকাও দিয়েছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে এই যে সংঘর্ষ হলো তার ব্যাপকতা ও তীব্রতা সম্পর্কে এলাকার প্রশাসনের কোনো পূর্ব-ধারণা ছিল কিনা জানি না, কিন্তু পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনের রিপোর্টে আমরা বেশ কয়েক মাস ধরে দেখে আসছিলাম যে সেখানে ক্ষোভ ও পারস্পরিক দোষারোপের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে বসতস্থাপনকারী বাঙালি এবং আগে থাকতেই পাহাড়ে বসবাসকারী উভয় পক্ষের নারীরাই অভিযোগ করে আসছিলেন যে তারা নিরাপত্তাহীনতা ও শ্লীলতাহানির ভয়ের মধ্যে বসবাস করছেন। পাহাড়িদের অভিযোগ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধে পড়েছিলাম—তারা জীবন নির্বাহের জন্য প্রকৃতির ওপর খুবই নির্ভরশীল। তাদের নারীদের পাহাড়ি ছড়ায় যেতে হয় শুধুই সুপেয় পানি আনা এবং স্নানের জন্য নয়, ওই পানি থেকেই খাদ্যের জন্য গুল্ম ও ‘ইছা’ মাছ ধরার জন্য। কিন্তু তারা বাঙালি বসত ডিঙ্গিয়ে ছড়ায় যেতে সাহস পান না। আবার একটি টেলিভিশন প্রতিবেদনে দেখেছিলাম, বসতস্থাপনকারী কয়েকজন নারী অভিযোগ করছেন যে তারা ঘরের অদূরে সবজি বাগান থেকে সবজি আনতে একা যেতে সাহস পান না। কারণ, তাহলে ‘ওরা’ তাদের ‘অপহরণ’ করে নিয়ে যায়। আর পুরুষরা একপক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করার অভিযোগ তোলেন নিয়মিত। পাহাড়িদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে তাদের জমির মালিকানা যেহেতু লিখিত দলিলভিত্তিক নয়, তাই তাদের ভূমি জোর করে নিয়ে নেয়া সহজ। আবার এরকম ক্ষেত্রে তাদের পক্ষে কোর্ট-কাচারিতে মামলা-মোকদ্দমা করা সম্ভব নয় প্রথমত আর্থিক অনটনের কারণে। দ্বিতীয়ত, মামলা করে আদালতে যাওয়ার পথটি প্রায়ই হয় যেহেতু ‘বাঙালি’ বসত পেরিয়ে তাই ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শারীরিক হামলার শিকার হওয়ার ভয় থাকে। অন্যদিকে বসতস্থাপনকারীরা বলেন, তারা তো জমির বন্দোবস্ত নেন সরকারি অফিস থেকে। সরকারের উচিত তাদের ঝামেলামুক্ত জমি দেয়া। তারা সরকারের গাফিলতির জন্য পাহাড়িদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
একই সময়ে পাহাড়ে আরও দুটি উপদ্রব দেখা দিয়েছে। এর একটি হলো—বড় লোকদের রাবার বাগান অথবা ফল বাগান করার জন্য একেকজনকে যে শয়ে শয়ে একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাতেও পাহাড়িদের স্বার্থ দেখা হয়নি। যেমন—এর ফলে ‘জুম’ চাষ করা কঠিন হয়ে পড়েছে, এ অভিযোগ পত্রিকায় দেখেছি। তা ছাড়া কোনো কোনো বাগান মালিক তাদের বরাদ্দ পাওয়া জমির বাইরেও ভূমি জবরদখল করছেন বলে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়। এ হলো গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া।
অন্য সমস্যাটি হলো, সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি। এদের চাঁদা না দিয়ে নাকি কোনো বেসামরিক ব্যক্তির পক্ষে পাহাড়ি এলাকায় চলাচল করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে যেসব কৃষক (পাহাড়ি বা বসতকারী) ও জেলে তাদের পণ্য নিয়ে হাটে হাটে যান তারা এই চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে বাধ্য হন। বিভিন্ন এলাকায় দোকানদাররাও একই ধরনের কথা বলেছেন।
এসব সমস্যার সমাধান সম্ভবত আরও কঠিন হয়ে গেছে রাজনৈতিক বনিবনার অভাবে। পাহাড়িদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে দ্বন্দ্ব তো প্রকাশ্য। সঙ্গে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ঝগড়া। গরিব বসতস্থাপনকারীদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও প্রভাব সৃষ্টি করতে বেশ তত্পর বলে মাঝেমাঝেই শোনা যায়। কিছু এনজিও ‘সুশীল’ ব্যক্তিত্বের হস্তক্ষেপ এবং বিদেশিদের নাকগলানোর কথাও উঠতে দেখি। এসব পক্ষই যদি এখন জটিলতা সৃষ্টি করতে নামে তাহলে এই মাত্র বাঘাইছড়ি এলাকায় যা ঘটেছে তাকে বর্ণনা করতে হবে এক আগ্নেয়গিরির প্রারম্ভিক অগ্নি উদিগরণ হিসেবে। আরও বড় অগ্ন্যুত্পাত হওয়ার ভয় থাকছেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আগের আমলে বিদ্রোহী শান্তিবাহিনীর নেতা সন্তু লারমার সঙ্গে চুক্তি করে সেই বিদ্রোহের অবসান ঘটান। কিন্তু সন্তু লারমা বারবার বলে আসছেন, অস্ত্র সমর্পণ করা ছাড়া শান্তিচুক্তির বাকি অংশ পালিত হয়নি, অর্থাত্ সরকারের যা যা করা দরকার ছিল তা সরকার করেনি—না আওয়ামী লীগ সরকার না বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আর তার প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ তো চায় বসত প্রতিষ্ঠাকারীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাইরে সরিয়ে নেয়া হোক। সম্প্রতি সন্তু লারমার ওপর পার্বত্য চট্টগ্রামে এক বন্দুক হামলাও হয়েছে। আবার সরকার সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু জায়গা থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএনপি যার সমালোচনা করেছে। বসত স্থাপনকারীরাও অনেকে বলেছেন, শান্তিচুক্তিতে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে এবং সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করে তাদের নিরাপত্তা দুর্বল করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের এরকম সন্দেহ হতেই পারে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি করায় তার কৃতিত্বকে ম্লান করার অপচেষ্টায় কেউ লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন মনে করতে পারেন যে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তাদের আশঙ্কাকে সঠিক প্রমাণ করেছে, এবার সরকার পারে তো সামলাক।
আমরা অনুরোধ করব, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা মোকাবিলা ও সমাধান করার চেষ্টা করতে। ওই এলাকায় রয়েছে এক জনগোষ্ঠী, যারা বঞ্চিত ছিল এবং এখন তারা নিজেদের নৃতাত্ত্বিকভাবে বিপণ্ন বলে মনে করে। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে হতভাগ্য ভূমিহীন এক জনগোষ্ঠী, যারা এক টুকরো জমি ও একটি জীবিকার আশায় প্রতিকূল পরিবেশে আস্তানা গাড়তে চেয়েছে। এদের কাউকে নিয়েই ‘রাজনীতি’র খেলা করা উচিত হবে না। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের কোনো স্থলসীমান্তেরই পরিস্থিতি এখন সুস্থির নয়। মিয়ানমারের সঙ্গে রয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা। রোহিঙ্গাদের অনেকে এখন বাংলাদেশ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমাচ্ছে বলে বাংলাদেশের এ সমস্যা আরো বিস্তৃত হয়েছে। আসামের উলফা নেতা রাজখোয়া ভারত কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি হলেও তিনি আটক অবস্থায় ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হননি। এ অবস্থায় আসাম আবার অশান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই। একই সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে মাওবাদীদের সহিংস আন্দোলন নতুনভাবে ক্রিয়াশীল রূপ নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ওপর কড়া নজর থাকবে তাদের সন্ত্রাসীরা যাতে কোনো সহায়তা না পায় এ অজুহাতে। একই সঙ্গে চলছে সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী খুন এবং দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে বিএসএফ এই খুন করা থেকে নিবৃত্ত হবে না সহজে। এই অবস্থায় সরকারের জন্য সুবুদ্ধির কাজ হবে প্রধান বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করা এবং সেরকম ডাক এলে বিরোধী দলের উচিত হবে সাড়া দেয়া। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার শুরু ভারত বিভাগের সময় থেকেই। তখন রাঙামাটির কিছু নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানের ভাগে পড়া সহজে মেনে নিতে পারেননি। পাকিস্তান আমলে কাপ্তাই জলবিদ্যুত্ প্রকল্পের জন্য কাপ্তাই হ্রদ তৈরি করে জনবহুল এবং উর্বর বিস্তীর্ণ এলাকা গভীর পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। ওই প্রকল্পের ফলে যারা উদ্বাস্তু হন আজও বোধহয় তাদের সবাই পুনর্বাসিত হন নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাহাড়িদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্ক সব সময় সহজ ছিল না। (সম্ভবত চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করায়)। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩, তারিখে ঘোষণা দেন, ‘দেশের সব লোক বাঙালি বলে বিবেচিত হবে।’ (সূত্র : বাংলাদেশের তারিখ, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান)। এ ঘোষণা পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বকীয়তা রক্ষায় উত্সুক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীরা গ্রহণ করেনি। ফলে গণপরিষদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের নীতির বিরোধিতা করে পার্বত্য জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার কনিষ্ঠভ্রাতা সন্তু লারমার নেতৃত্বে শান্তিবাহিনী গঠিত হয় ৭ জুন, ১৯৭৩ (সূত্র : উপরোক্ত)। পরে জেনারেল জিয়া উত্তপ্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতকারী পাঠালে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। তার সময়ই সশস্ত্র শান্তি বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধ জেনারেল এরশাদের শাসনামলে তীব্র আকার ধারণ করে; কিন্তু একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে পেরে না ওঠায় বিদ্রোহীদের আক্রমণে ভাটা পড়ে। ১৯৯১ সালে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুদিন পরে শান্তিবাহিনী ‘অস্ত্র সংবরণ’ করার ঘোষণা দেয়। সরকার সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। অবশেষে শান্তিচুক্তি হয় শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলের শুরুর দিকেই। এ চুক্তি অনুযায়ী শান্তিবাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করে। শান্তিবাহিনী প্রধান তার যে অস্ত্রটি শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়ে অস্ত্র সমর্পণের সূচনা করেন, তা এখন ‘জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শনী হিসেবে রক্ষিত আছে। আমরা চাই আর কোনো বিদ্রোহী বাহিনী সৃষ্টি না হোক। আর কোনো অস্ত্রসমর্পণ যেন প্রয়োজন না পড়ে। এটা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ঐক্য খুবই প্রয়োজন। আশা করব, এজন্য সরকারই উদ্যোগ নেবে।
বাঘাইছড়ির সমস্যা যেন আর ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে যত্নবান হতে হবে সবাইকে।

No comments

Powered by Blogger.