আর্সেনাল একাডেমিতে রুনা লায়লার নাতি

মাহমুদ মানজুর: বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার একমাত্র মেয়ে তানি লায়লা। যিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন লন্ডনে। তানি লায়লার দুই সন্তান। এরা হলেন জেইন ইসলাম (৮) ও অ্যারন ইসলাম (৫)। গতকাল সকালে এ দুই নাতির সঙ্গে সময় কাটানোর উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়লেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ কণ্ঠশিল্পী। ঢাকা ছাড়ার আগে রুনা লায়লা মানবজমিনকে বলেন, আমার এবারের লন্ডন সফর অন্যবারের চেয়ে বেশ ব্যতিক্রম। কারণ, এবার আমার বড় নাতি জেইন যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব আর্সেনাল একাডেমিতে পাঁচ সপ্তাহ মেয়াদি একটি ফুটবল প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। গত ২৬শে এপ্রিল ক্লাবটি পাঁচ সপ্তাহ মেয়াদি ফুটবল প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে। নাতির এমন সাফল্যে বেজায় খুশি রুনা লায়লা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নাতির এ ধরনের সাফল্যে আমি গর্বিত, আমি অনেক আনন্দিত হয়েছি। কয়েকশ’ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে নিজের নৈপুণ্য দেখিয়ে ২০-২৫ জনের মধ্যে জায়গা করে নেয়াটা কিন্তু সহজ কথা নয়। নাতির এ ধরনের সাফল্য অনেক বড় একটা সম্মান বলেও মনে করছি। রুনা লায়লা এও বলেন, যতদূর শুনেছি এ কোর্সে যদি সে ভাল ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখাতে পারে, তাহলে তাকে পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচন করা হবে। জানা গেছে, আর্সেনালে সাধারণত ১৪ বছর বয়স থেকে পেশাদার ফুটবল খেলতে দেয়া হয় খেলোয়াড়দের। এদিকে দুবাইয়ে ধারণ করা ভারত-পাকিস্তানকেন্দ্রিক সংগীত প্রতিভা সন্ধানের রিয়েলিটি শো ‘কুরুক্ষেত্র’ সম্পর্কে রুনা লায়লা বলেন, আইপিএল আসর শেষ হলেই এর প্রচার কাজ শুরু হবে। কন্যা আর নাতির সঙ্গে মধুর সময় পার করে রুনা লায়লা চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে সংগীতের এই জীবন্ত কিংবদন্তি গানের পাশাপাশি নতুন করে নিজেকে এরই মধ্যে তুলে ধরেছেন ফ্যাশন শিল্পেও। এ উদাহরণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকলেও বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম। নাম লেখালেন ফ্যাশন ডিজাইনারের খাতায়। ২০০৯ সালের পহেলা আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সিগনেচার বাই রুনা লায়লা’ নামে এই অধ্যায়ের যাত্রা শুরু। বিশ্ব বাজারের অভিজ্ঞতা নিয়ে সর্বদা ফ্যাশন সচেতন রুনা লায়লা তার নিজের পছন্দের কাপড়-নকশা নিয়ে অভিষেক আসর থেকে গেল প্রায় দু’বছর দারুণ সাড়া পেয়েছেন। কথা ছিল এ শাড়ির পাশাপাশি আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে রুনা লায়লা নিজস্ব পছন্দ এবং ডিজাইনের অর্নামেন্টস/জুয়েলারিও তুলবেন ‘সিগনেচার বাই রুনা লায়লা’তে। পর্যায়ক্রমে আরও স্থান দিবেন পুরুষ এবং বাচ্চাদের পোশাকেও। আফসোস! অতি সমপ্রতি প্রশংসিত এই কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে গেছে। রুনা লায়লা জানান, এটা একটু কষ্টের। আসলে কারোরই করার কিছু ছিল না। অনিবার্য কারণবশত গুলশানের ইটিসি শোরুমটা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আমার অংশটাও বন্ধ। এ কারণে আমার কার্যক্রমটা ছিল ইটিসিকেন্দ্রিক। রুনা লায়লা আরও জানান, তবে আমার কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকলেও আশা করছি শিগগিরই আবার শুরু করবো। এবার এককভাবেই শোরুম নেয়ার কথা ভাবছি। ব্যস্ততার কারণে কত তাড়াতাড়ি সেটা সম্ভব হবে জানি না। তবে এই কার্যক্রম আমি যেভাবেই হোক অব্যাহত রাখবো। রুনা লায়লা জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে লন্ডন থেকে ফিরে এসেই আমি ফ্যাশন হাউজ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিবো। কারণ আমার গান এবং ডিজাইনের অনেক ভক্ত ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে চাপ দিচ্ছেন। বলছেন দুই ঈদকে সামনে রেখে ‘সিগনেচার বাই রুনা লায়লা’ বন্ধ রাখার কোন অধিকার নাকি আমার নেই! শ্রোতা এবং ক্রেতাদের ভালবাসায় আমি আবার শুরু করবো।

No comments

Powered by Blogger.