আন্তর্জাতিক মহলেও বাংলাদেশ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে by হুমায়ুন কবির

বাংলাদেশে বিশ্বের তিনজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তির একই সময় আসাটা কাকতালীয় বলা যায়। তবে এটা তো বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ অবশ্যই। বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে বড় বড় নেতাদের নিজের কাছে পাচ্ছে- এটা উল্লেখযোগ্য তো বটেই, তবে তাঁদের কাছ থেকে আমরা কতটা আদায় করতে পারছি এটা নির্ভর করবে আমাদের অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বের ওপর।


আমরা পেশাগতভাবে পারদর্শী কি না, কিভাবে গোটা অবস্থা আমরা মোকাবিলা করব- সব কিছুর ওপরই নির্ভর করে সাফল্য-ব্যর্থতা।
প্রত্যেকেরই নিজেদের কিছু অগ্রাধিকারের চিন্তা আছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায়। আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা। আমরা চাই আমাদের পণ্য তাদের দেশে শুল্কমুক্ত অবস্থায় প্রবেশাধিকার পাক। সন্ত্রাস দমনে আমরা আমাদের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমাদের এই পথচলায় আমেরিকার সহযোগিতা আছে। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে আন্তরিকভাবে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের এই কাজে সহযোগিতা করছে। আঞ্চলিকভাবে নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা তাদের দৃষ্টিতে পড়তে সক্ষম হয়েছে। তারা আমাদের এই কাজেও সমর্থন দিচ্ছে। বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আমাদের ভূমিকা স্বীকৃত। আমাদের এই কাজেও তারা সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ অঞ্চলের যে দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। বাংলাদেশের এ অবস্থা তারা উপলব্ধি করেছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আরো দৃঢ় হতেই পারে।
অন্যদিকে প্রণব মুখার্জি এমন সময়ে বাংলাদেশ সফর করছেন, যখন আমাদের সম্পর্কটা ঝিমিয়ে পড়া অবস্থায় আছে। এই ঝিমিয়ে পড়া অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তার এই সফর কতটা ভূমিকা রাখবে তা বলা যায় না।
জাপান আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তারা আমাদের বড় অনুদানদাতা। আমাদের দেশের উন্নয়নে অনেক বড় বড় প্রকল্প তারা সহযোগিতা করে বাস্তবায়ন করেছে। জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রীর এই সফরের পর হয়তো সহযোগিতার হাত আরো প্রসারিত হবে। সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। অনেক আশ্বাসও হয়তো পাওয়া যাবে। এমন আশা করার পাশাপাশি অপেক্ষা করতে হবে বাস্তবায়ন পর্যন্তও। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের উদীয়মান অবস্থাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হলে সবার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক প্রয়োজন। এই ইতিবাচক প্রভাব আমাদের চলার পথকে আরো সুন্দর করবে- এমন প্রত্যাশা করা যায়।
গ্রন্থনা : মোস্তফা হোসেইন

No comments

Powered by Blogger.