ইলিয়াস আলী নিখোঁজ-রহস্য-অগ্রগতি প্রতিবেদনে শুধুই গাড়ির খবর

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ ঘটনার তদন্তে ষষ্ঠবারের মতো আদালতে দাখিল করা ৪৮ ঘণ্টার অগ্রগতি প্রতিবেদনে শুধুই পরিত্যক্ত গাড়ির খবর। প্রতিবেদনে ইলিয়াস আলীকে নিয়ে কোনো তথ্য নেই। বনানী থানার ইন্সপেক্টর কাজী মাইনুল ইসলাম গতকাল বুধবার আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেছেন।


তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ পর্যন্ত ছয়টি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, 'গত ২১ এপ্রিল ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে গাজীপুরের পুবাইলে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।' প্রথম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, 'এম ইলিয়াস আলী ও তাঁর ড্রাইভার আনসারের সন্ধানের বিষয়ে ব্যাপক ও নিবিড় তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের প্রতি থানায় বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে।' এরপর পাঠানো তিনটি প্রতিবেদনে ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে আর কোথাও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে কি না- এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।'
গতকাল জমা দেওয়া ষষ্ঠ প্রতিবেদনে অতিরিক্ত যা বলা হয়েছে তা হলো, 'ইলিয়াস আলীর ব্যবহৃত প্রাইভেট কারের (ঢাকা মেট্রো-গ-২৯-৪৪১৫) বিভিন্ন চিহ্ন সম্পর্কে মতামত প্রদানের জন্য বিআরটিএর বিশেষজ্ঞ দল কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন কার্য সম্পন্ন করা হয়। গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া স্থানের আশপাশের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।'
বিআরটিএর বিশেষজ্ঞ দলের মতামত উল্লেখ করে অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, 'গাড়ির সামনের নম্বর প্লেটের বাম পাশে আনুমানিক ৫ ইঞ্চি তফাতে নির্মাতা কর্তৃক প্রদত্ত শো-বাম্পারের ওপর আঘাতজনিত টোপ রয়েছে। সামনে শো-বাম্পারের বাম দিকের অংশ ফাটা (ভাঙা)। তবে ভাঙাটি অনেক দিন আগের বলে প্রতীয়মান হয়।'
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, 'গাড়ির পেছনে স্টিল পাইপে নির্মিত আলাদা সংযুক্ত বাম্পারের বামপাশ বেঁকে গিয়ে পেছনের প্লাস্টিকের বাম্পারটির রং ওঠে টোপ পড়ে যায়। স্টিল বাম্পারটির মধ্যখান বরাবর বেঁকে ভেতরের দিকে ঢুকে যায়। প্লাস্টিকের শো-বাম্পারটিরও মধ্যখানে হালকা আঘাতের দাগ দেখা যায়। সামনের বাম পাশের দরজায় হ্যান্ডেলের আনুমানিক ১ ইঞ্চি নিচে টোপ ও রং-চটা পাওয়া যায়।'
মতামতে বলা হয়, 'উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে গাড়িটিতে এমন কোনো যান্ত্রিক গোলযোগ বা ত্রুটি নেই। ক্ষতির ধরন অনুযায়ী প্রতীয়মান হয়, গাড়িটির পেছনের মাঝখান থেকে বাম অংশ অন্য কোনো গাড়ি বা বস্তু দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর দায়ের করা জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ এপ্রিল সিএমএম কোর্ট সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে এর অগ্রগতি প্রতিবেদন ৪৮ ঘণ্টা পর পর আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.