খোলা জানালাঃ রাজনীতি কোন্ পথে by ড. তারেক শামসুর রেহমান

দীর্ঘ ৬৪ দিন পর বিরোধী চারদলীয় জোটের সংসদে ফিরে আসা এবং একাধিকবার সংসদ থেকে ওয়াকআউটের ঘটনা, সংসদের বাইরে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র অসন্তোষ ও ছাত্র অসন্তোষের রেশ ধরে তিনজন মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু এবং দেশব্যাপী ‘শিবির খেদাও’ অভিযানের পর সঙ্গত কারণেই যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে রাজনীতি এখন কোন্ পথে।
জাতির সম্মুখে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি ইস্যু রয়েছে, যা নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তা আলোচনা হচ্ছে না। মহান জাতীয় সংসদে এ দেশের দু’জন জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংসদের স্পিকার বার বার বলে আসছেন সংসদে সব অসাংবিধানিক শব্দগুলো এক্সপাঞ্জ করা হবে; কিন্তু ‘খুনি’ শব্দটি এক্সপাঞ্জ করা হয়েছে কিনা আমরা নিশ্চিত নই; কিন্তু আমার দুঃখ লাগে যখন দেখি এ দেশের দুই কৃতী সন্তানকে ‘খুনি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আরও দুঃখ লাগে যখন দেখি দলের সিনিয়র পর্যায়ের নেতারা এই বিতর্কের অবতারণা করেন। এটা ইচ্ছেকৃত কিনা, আমরা বলতে পারব না। কিন্তু এই প্রবণতা যদি বন্ধ করা না যায়, তাহলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না।
সংসদের চতুর্থ অধিবেশন এখন চলছে। অনেকটা আগ্রহ নিয়েই টিভিতে আমি সংসদীয় কার্যক্রম দেখি; কিন্তু আমরা যারা রাজনীতি ও গণতন্ত্র নিয়ে চর্চা করি, আমরা কি খুব আস্থা রাখতে পারছি এই সংসদীয় কার্যক্রমের উপর? আমার মনে হয় না। সংসদে যেভাবে উচ্চস্বরে চিত্কার করে বক্তব্য রাখা হয়, তা তো সংসদীয় ভাষা নয়। নবম জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে ইউএনডিপি বিদেশ থেকে প্রশিক্ষক এনে ঢাকার চার তারকা হোটেলে এমপিদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল এমপিদের শেখানো কীভাবে সংসদে বক্তব্য রাখতে হয়, কীভাবে বিল উত্থাপন করতে হয়, কীভাবে বিরোধীদলের বক্তব্য খণ্ডন করতে হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ভালো। আমি এতে দোষের কিছু দেখি না; কিন্তু আমাদের এমপিরা কি শিখলেন? আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রাই বা কি শিখলেন? বার বার অতীতের কথা বলা হয়। অতীত টেনে আনা হয়। দোষারোপের যে রাজনীতি, সেই রাজনীতি থেকে আমরা আজও বের হয়ে আসতে পারছি না। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দীর্ঘ বক্তৃতা হলো। এটা সংসদীয় রীতি। কিন্তু সেই ভাষণের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে দলের এমন অনেক সিনিয়র নেতা (একজন যিনি ১৯৭৩ সালেও সংসদ সদস্য ছিলেন) অতীতকে যখন টেনে আনেন, যখন বিরোধীদলের একজন সিনিয়র নেতাকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন, তখন সত্যি সত্যিই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে আমরা কি গণতন্ত্রের জন্য উপযুক্ত? সরকার একটি রূপকল্প উপস্থাপন করেছে। অর্থাত্ সরকার ২০২১ সালকে সামনে রেখে কী কী করতে চায়। ২০২১ সালে বাংলাদেশের বয়স গিয়ে দাঁড়াবে ৫০ বছর। ওই সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কী হবে, তাদের খাদ্য, জ্বালানি ও মানবিক নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব কীভাবে, সেই পরিকল্পনা এখনই নিতে হবে। সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনা করতে গিয়ে এসব বিষয় নিয়ে তাদের মতামত দিতে পারতেন। কিন্তু না! আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যদের কাছে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে অতীত হাতড়ানো, আর চারদলীয় জোট সরকারের নগ্ন সমালোচনা। সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু প্রতিটি সেশনে, প্রতিটি বক্তৃতায় অসংসদীয় ভাষায় যদি সমালোচনা করা হয়, তাহলে সংসদের ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই।
সংসদ তো দেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য; কিন্তু তা কি হয়? গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার আগেই ভয়াবহ বিদ্যুত্ সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে, এখনই দিনে তিন থেকে চার বার বিদ্যুত্ যায়। এখনই যদি এই অবস্থা, জুলাই-আগস্টে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে? এটা নিয়ে আমাদের সম্মানিত সংসদ সদস্যদের কোনো ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সিদ্ধিরগঞ্জে ১২০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুত্ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন। কিন্তু সেখানে তো গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কবে নাগাদ এ কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদিত হবে, আমরা তা জানি না। গ্যাস যেখানে নেই, সেখানে তাহলে বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হলো কেন? এসব প্রশ্ন তো সংসদে আলোচনা হওয়া দরকার। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র অসন্তোষ এখন আলোচনার দাবি রাখে। আমরা কি আদৌ এই ‘ছাত্র রাজনীতি’ চাই? যেখানে সরকারি ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি-বাণিজ্য ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে, সেখানে সংসদে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। সংবাদপত্রে প্রায় প্রতিদিনই এ সংক্রান্ত সংবাদ ছাপা হলেও, শিক্ষামন্ত্রী কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০০ বিধিতে কোনো বক্তব্য দেননি। সরকারি দলের কোনো সংসদ সদস্যও সংসদে দাঁড়িয়ে সাহস করে এ বিষয়ে কথা বলেননি। মহাজোটের দু’জন শরিক রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু এখন সংসদ সদস্য। এরা সাবেক ছাত্র নেতা। আমার ধারণা ছিল মেনন ও ইনু সংসদে এ প্রসঙ্গের অবতারণা করবেন; কিন্তু হায়! মেনন ও ইনুরা এখন ব্যস্ত ‘শিবির খেদাও’ নিয়ে। তাদের কাছে এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার পেয়েছে ‘শিবির খেদাও’-এর রাজনীতি। এটা কোন্ ধরনের রাজনীতি? প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে কোনো সরকারিদলের এমপি কি সাহস করে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছেন সরকারিদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মকাণ্ড বন্ধের ব্যাপারে তিনি কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা? না, কেউ করেননি। জনগণের প্রতিনিধি হয়ে তাদের তো এ বিষয়ে প্রশ্ন করার কথা। তারা তা করলেন না। দেশজুড়ে এখন ‘শিবির খেদাও’ অভিযান শুরু হয়েছে। শিবিরের কর্মীরা যদি সত্যি সত্যিই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে, আমরা অবশ্যই তাদের বিচার চাইব। কিন্তু গ্রেফতারকৃত যাদের ছবি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে, তারা কি সবাই শিবির কর্মী? চল্লিশোর্ধ এক ভদ্রলোকের ছবিও দেখলাম। তিনিও কি শিবির করেন? অন্য এক পত্রিকায় ১৫-১৬ বছরের এক বালকের অসহায় ছবি দেখলাম। সেই বালকটিও কি শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত? কেন জানি আমার বিশ্বাস হয় না। পুলিশ সামনে যাকে পেয়েছে, তাকেই গ্রেফতার করেছে। এর মধ্য দিয়ে তো মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলো।
দীর্ঘ ৩০ বছর পর জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হলো। এর কি আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল এই মুহূর্তে? হুট করে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করলে আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যা হতে পারে। বহির্বিশ্বে এই নাম পরিবর্তনে এখন একটি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যে নামটি গত ৩০ বছর আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও লিপিবদ্ধ, সেই নামটি আমরা পরিবর্তন করে দিলাম। এই মুহূর্তে এটা অগ্রাধিকারের বিষয় নয়। এখন বিরোধীপক্ষ যদি প্রতিহিংসার রাজনীতির কথা বলেন, তাহলে তারা কি মিথ্যা বলবেন? সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে কোপেনহেগেন সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যে তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবং যে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তা দ্রুত ছাড়করণের আহ্বান জানান। অথচ সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে আইলা দুর্গত এলাকায় মানুষ এখনও অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে বসবাস করছে। বাজেটে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই অর্থের সঙ্গে যোগ হয়েছিল এর আগের বছরের ৩০০ কোটি টাকা। টাকা বরাদ্দ করা সত্ত্বেও আইলা দুর্গত এলাকার মানুষদের পুনর্বাসন করা হলো না কেন? কেন বাঁধ নির্মাণ করা হলো না? এটা কি আমাদের জন্য অগ্রাধিকারের কোনো বিষয় নয়? সংসদে দাঁড়িয়ে একজন সদস্যও বললেন না আইলা দুর্গত মানুষদের দুঃখ-কষ্টের কথা। উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে দাতারা বললেন জনপ্রশাসনের দক্ষতা বাড়ানোর কথা। বললেন, বেসরকারি খাত থেকে দক্ষ লোকজন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়ার কথা। স্থানীয় সরকারকে সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী করার কথাও তারা বললেন। দুর্নীতি কমানোর লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার কথাও তারা বললেন। দাতাদের নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। দাতারা যে সাহায্য দেয়, তাতে তারা বেশকিছু শর্ত জুড়ে দেয়। এ নিয়ে এ দেশের সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন। দাতাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর ব্যাপারে অসত্য কিছু নেই; কিন্তু দাতারা যখন অদক্ষ জনপ্রশাসনের কথা বলেন, যখন দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করার কথা বলেন, তখন সাধারণ মানুষের কথাটাই তারা বলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করা গেছে, জনপ্রশাসনে যারা কাজ করছেন, তাদের মধ্যে দক্ষতার যথেষ্ট অভাব। সচিবালয়ে সচিবের সংখ্যা এখন চল্লিশের অধিক। এদের অনেকেই অদক্ষ। এমনকি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এরা বাংলাদেশের স্বার্থ আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনায় এরা বাংলাদেশের অবস্থানকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বৈঠকগুলোতে নেগোসিয়েশনে আমাদের ব্যর্থতার কারণে আমরা এখনও আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। তাই বেসরকারি খাত থেকে জনবল নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। অতীতে পাকিস্তান আমলে কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ে বেসরকারি, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের নিয়োগ করা হতো। এখন আমলাদের দৌরাত্ম্যে এমনটি আর হয় না। অদক্ষ আমলাদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সংসদ সদস্যরা এটি নিয়েও সংসদে কথা বলেন না। আরও একটা কথা। বিশ্ব মন্দার কারণে আমাদের খুব একটা ক্ষতি হয়নি—এ কথা সংসদে বলে অর্থমন্ত্রী বাহবা নিতে চাইছেন। রাষ্ট্রের রিজার্ভ ১০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে দাবি করে অর্থমন্ত্রী যুক্তি দেখান বিশ্ব মন্দায় আমরা আক্রান্ত হইনি; কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। চলতি অর্থবছরে প্রথম ৬ মাসে ধারাবাহিকভাবে কমেছে তৈরি পোশাক রফতানি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ওভেন গার্মেন্টসে রফতানি কমেছে ২০ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং নিট গার্মেন্টসে কমেছে ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শুধু চলতি অর্থবছরেই নয়, গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ওভেনে রফতানি কমেছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং নিটে কমেছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ (ডেসটিনি, ১৬ ফেব্রুয়ারি)। এই যে পরিসংখ্যান তা কি অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে? করে না; কিন্তু একজন এমপিকেও পেলাম না যিনি সংসদে দাঁড়িয়ে মন্দা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন। তারা তো বাজেটের সময় অর্থমন্ত্রীর স্তুতি গাইতেই ব্যস্ত থাকেন। তাদের সময় কই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার? সংসদ তো এ জন্যই। সংসদে এ নিয়ে আলোচনা হবে, তারপর সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত হবে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জাতীয় ইস্যু নিয়ে সংসদে কোনো বিতর্ক হলো না। প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে চুক্তি করলেন। চট্টগ্রাম ও মংলা পোর্ট ভারত এখন ব্যবহার করতে পারবে। এতে করে আমাদের জাতীয় স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে, তা আমরা জানলাম না। চুক্তির বিস্তারিত সংসদেও উপস্থাপন করা হয়নি। অতি সম্প্রতি ভারতের এয়ারটেলের কাছে ওয়ারিদের ৭৫ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে। শেয়ার হস্তান্তরে সরকারের ৯৫ কোটি টাকা পাওয়ার কথা; কিন্তু পেয়েছে মাত্র ৭০ লাখ টাকা। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরিতে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে আইএসকে কাজ দেয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তা দেখা দরকার। সংসদে বিষয়গুলো আলোচিত হলে, এ জাতি অনেক কিছু জানতে পারত। এখন আমরা বঞ্চিত হলাম। দাতারা যখন দুর্নীতির অভিযোগ করে, তখন স্বচ্ছতার খাতিরেই সংসদে এসব বিষয় আলোচিত হওয়া প্রয়োজন; কিন্তু তা হয়নি। নামকরণ, আর দোষারোপের রাজনীতি নিয়ে আমরা ব্যস্ত থেকেছি সংসদে। সংসদ হয়ে পড়েছে একদলীয়। সংসদীয় রাজনীতিতে যেখানে সরকার ও বিরোধীদলের মাঝে সমঝোতা প্রয়োজন, সেখানে এই সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই আগামী দিনের রাজনীতি নিয়ে শঙ্কিত আমরা সবাই।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অধ্যাপক
ই-মেইল: ঃংত্ধযসধহনফ@ুধযড়ড়.পড়স

দৃষ্টি আকর্ষণ

গতকাল আমার দেশ-এর সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় ড. মাহবুব উল্লাহ’র নিবন্ধের ১ম কলামের ৭৯নং লাইনে ভুলবশত ফ্রান্সের ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থার নাম ‘মি. জিটি’ ছাপা হয়েছে। আসলে হবে ‘সিজিটি’। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। —বিভাগীয় সম্পাদক

No comments

Powered by Blogger.