অরণ্যে রোদন-‘কেন রুখে দাঁড়াতে হয়?’ by আনিসুল হক

গত ১৪ মে ২০১০ ডেইলি স্টার-এর ম্যাগাজিনে আনুশকা ইউসুফের একটা লেখা ছাপা হয়েছে ‘মি মোই আমি’ শিরোনামে। তিনি শুরু করেছেন এইভাবে, ‘আমার মা এসেছেন ফ্রান্সের একটা চমৎকার ছোট্ট শহর থেকে, আর আমার বাবা এসেছেন বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী থেকে। এবং আমি জন্মেছি আমেরিকান হয়ে।’


তাঁর মনে প্রশ্ন জেগেছে, তিনি কোন সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বলছেন, ‘কোনটা আমি? যে ইউরোপীয় ফরাসি মেয়েটি সকালবেলা ক্রয়সাঁ খায়, যে বাংলাদেশি মেয়েটি সপ্তাহান্তে ভারতীয় ছবি দেখে, নাকি ওই সর্ব-আমেরিকান কিশোরী যে স্কুল শেষে ম্যাগনোল্ডসে যায়?’ তিনটা দেশের তিনটা ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির চিহ্ন হিসেবে লেখিকা তিনটা জিনিসকে বেছে নিয়েছেন, ফরাসি সংস্কৃতি থেকে নিয়েছেন ক্রয়সাঁ, আমেরিকা থেকে নিয়েছেন ম্যাকডোনাল্ডস, আর বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে ধরে নিয়েছেন তিনি ভারতীয় ছবিকে।
তিনি লিখেছেন, ‘আমি আবিষ্কার করেছি যে বাঙালি জীবনচর্যা একজন বালিকার জন্য অনেক উদ্দীপনাময়।...সব সময় টেলিভিশনে একটা বলিউডের ছবির আনন্দপূর্ণ মিউজিক ভিডিও চলবে, মহিলারা পরচর্চা করবে, ডাল ঘোঁটার শব্দ ভেসে আসবে, একজনের কথার ওপরে গলা চড়িয়ে চুটকি বলবে আরেকজন। এটার সঙ্গে নির্ভুলভাবে আমাকে মানিয়ে নিতে হবে, তাই তো?’ মানিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি কষ্ট স্বীকার করলেন। সেটা কী? ‘আমি আমার ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে ভারতীয় নাচ শিখতে শুরু করলাম এবং নিয়মিতভাবে হিন্দি সিনেমা দেখা শুরু করলাম।...বিয়ের আগের অনুষ্ঠানে বলিউড নাচে অংশ নেওয়ার জন্য অনুশীলন করতে শুরু করলাম।’
বাংলাদেশের সংস্কৃতি হিসেবে, বাঙালি সংস্কৃতি হিসেবে তিনি যা কষ্ট করে শিখেছেন তা হলো বলিউডের নাচ। বিয়ের আগে বলিউডের নাচকেই তিনি ভাবছেন বাংলাদেশের বাঙালির সংস্কৃতি। আনুশকাকে দোষ দেব না। এটাই এখন প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। সারা বিশ্বভুবনে হিন্দি সংস্কৃতির কাছে বাঙালি সংস্কৃতির চিহ্নগুলো অপসারিত হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও বহু জায়গায় বহুভাবে এটা ঘটেছে। ঘটানোর জন্য বাস্তব চেষ্টা চলছে।
ভারত নামের বিশাল বহুভাষী রাষ্ট্রের সংহতির জন্য, ঐক্যের জন্য হিন্দির বন্ধন দরকার। তারা চাইবেই সারা ভারতের সব মানুষ, সে বাঙালি কিংবা তামিল যেই হোক না কেন, হিন্দি সংস্কৃতির দ্বারা আবিষ্ট হোক। বাঙালি সংস্কৃতি অনেক শক্তিশালী, তার শেকড় বহু গভীরে প্রোথিত। কিন্তু হিন্দির সঙ্গে বাংলার জনপ্রিয় সংস্কৃতির যে লড়াইটা, তা অসম। কারণ ভারতের জনসংখ্যা এক শ কোটির বেশি। হিন্দি জনপ্রিয় সংস্কৃতির পণ্যগুলো নির্মিত হয় সেই বিশাল বাজারের জন্য, ফলে তার পেছনে কেবল ভারত রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা থাকে না, থাকে বিশাল অঙ্কের পুঁজি। তাই তার সঙ্গে একটা ১০ বা ১৫ কোটি ভোক্তার জন্য বানানো জিনিসের প্রতিযোগিতাটা অসম হতে বাধ্য। ভারত একটা বৃহৎ শক্তি, হিন্দিও একটা বৃহৎ শক্তি। তার কাছে পশ্চিমবঙ্গের লেখক-সাহিত্যিকেরা তাঁদের অসহায়ত্ব নানা লেখায়, নানা সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করে চলেছেন। তাঁরা বলছেন, বাঙালি সংস্কৃতি যদি বেঁচে থাকে, যদি আলো-হাওয়া-জল দিয়ে পরিপুষ্ট হয়, তবে তা হবে বাংলাদেশে। কলকাতার মধ্যবিত্ত ছাত্রটি ইংরেজি শিখছে-বিশ্বনাগরিক হওয়ার জন্য, হিন্দিতে চোশত হচ্ছে-সর্বভারতীয় হওয়ার জন্য। বাংলাদেশে এই হুমকির কোনো কারণ ছিল না। বাংলাদেশের বাংলা মাধ্যম থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ ছেলেমেয়ে বেরোচ্ছে মাধ্যমিক স্তর পেরিয়ে, যারা বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য, আমাদের রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-শরৎচন্দ্র-জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রাহমান-হুমায়ূন আহমেদ-প্রথম আলোকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছে, ধারণ করছে, চর্চা করছে।
কিন্তু মুম্বাইয়া সংস্কৃতির পণ্যগুলোর পেছনে আছে বড় বাজেট, আছে বাজারজাত করার আধুনিকতম সব উপায় ও আয়োজন। বাংলাদেশে আমরা হিন্দি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে অবাধ করে দিয়েছি। বাসার ছোট্ট মেয়েটি হিন্দি চ্যানেলে কেশ-প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনের সঙ্গে সুর মেলাচ্ছে—লম্বি লম্বি বাল হ্যায় আচ্ছি আচ্ছি বাল হ্যায়। সুন্দর বাংলা শব্দ ‘ঐশ্বযর্’ তার কাছে ‘ঐশ্বরিয়া’। ‘অভিজিৎ’ তার কাছে ‘আবহিজিৎ’। এমনকি ‘মন্ত্র’র মতো সুন্দর শব্দ তার কাছে ‘মান্ত্রা’। বাংলা শব্দ তার কাছ থেকে অপসারিত হয়ে যাচ্ছে হিন্দি শব্দ ও উচ্চারণ দ্বারা। তবু আরেকটা ভাষা, সে হিন্দিই হোক, উর্দুই হোক, শেখাটা যে কারোর জন্যই ভালো। কিন্তু সংস্কৃতির চিহ্নগুলো যদি অপসারিত হয়ে যায়?
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে সৈয়দ শামসুল হক একটা চমৎকার প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যেটা প্রচারপত্রের আকারে হাতে হাতে বিলি হয়েছিল। লেখাটার শিরোনাম ছিল, ‘কেন রুখে দাঁড়াতে হয়’। সৈয়দ শামসুল হকের উদ্বেগ ছিল, আমাদের সংস্কৃতির চিহ্নগুলো, আমাদের শাড়ি, মেয়েদের কপালের টিপ যেন অপসারিত না হয়ে যায়! আমরা যে হাত দিয়ে ভাত খাই, ওই ভাতই আমাদের সংস্কৃতি, যেমন আনুশকা ইউসুফের ফরাসি মায়ের কাছে ক্রয়সাঁ, আমেরিকান কিশোরীর জন্য ম্যাগডোনাল্ডস, আমার কাছে তেমনি ভাত। ওটা আমি দোসা দিয়ে, ইদলি দিয়ে অপসারিত হতে দিতে পারি না।
সেই কবে শরৎচন্দ্র খোট্টা বেটাদের নিয়ে রসিকতা করেছেন (খোট্টা শালার ব্যাটারা আমাকে কিলায়া কাঁঠাল পাকায়া দিয়া)। জীবনানন্দ দাশ কিছু দিন দিল্লিতে ছিলেন মাস্টারি চাকরি নিয়ে, তাঁর জীবন শুকিয়ে এসেছিল। কলকাতার কৌতুকাভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক আছে, সকালবেলা ফোন গেছে একটা মেড়োর কাছে, সে কিছুতেই ভানুর কথা বুঝছে না, তাকে তিনি গালি দিচ্ছেন, ওপাশ থেকে বলছে, কী, হামকো গালি দিয়া? ভানু বলছেন, না তোমারে গালি দিব না, চুমা দিব, শালা হিন্দুস্তানি মাউড়া, বোঝে না কিছু।
আমি জাতিবৈর নই। ভাষাবৈরও নই। হিন্দি ভাষা শিখতে আমার আপত্তি নেই। আমি নিজে ‘স্বপ্ন নিয়ে’ পাতায় ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবিটা দেখতে বলেছি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। তবু নিজের সংস্কৃতি—আমাদের ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালি, আমাদের রবীন্দ্র-নজরুল-জীবনানন্দ দাশের জন্য খুব মায়া হয়! এর আগে এই প্রথম আলোতেই আমি লিখেছি, হিন্দির সঙ্গে বাংলার লড়াইয়ে আমরা হেরে গেছি। আমি পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছি। আমাদের বানানো টিভি অনুষ্ঠান আর কেউ দেখে না। কেবল গরিব মানুষ, গ্রামগঞ্জে যেখানে স্যাটেলাইট নেই, তারা দেখে। তবু সেই সংখ্যাটা অনেক বেশি। ছয় কোটি লোক বিটিভি দেখে, এক কোটি দেখে স্যাটেলাইট। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, বাংলা ভাষাটা বাঁচায়া রাখছে কৃষক-শ্রমিক সাধারণ মানুষরা, কারণ তারা বাংলায় কথা কয়। এখন আমরা এই কৃষক-শ্রমিকদের মুখেও হিন্দি তুলে দিতে চাইছি, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক যে কৃষক-শ্রমিককে কৃতিত্ব দিয়েছেন এই ভাষাটা বাঁচায়া রাখার। যাদের হিন্দি টিভি চ্যানেল বা ভিসিআর দেখার সুযোগ নেই, তাদের জন্য কাঁধে বয়ে বয়ে হিন্দি ফিল্ম নিয়ে যাওয়ার জন্য বায়না শোনা যাচ্ছে!
কী লাভ বা ক্ষতি হবে তাতে? রবীন্দ্রনাথ যখন বলেন, পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর, তখন তিনি ঢাকাই শাড়ির বিজ্ঞাপন করেন। আর যখন দিল্লি ৬ ছবিতে মাসাক কালির কথা বলা হয়, আর আমাদের ঈদের মার্কেট ভেসে যায় মাসাক কালি শাড়িতে, তখন আমরা সরাসরি ভারতীয় পোশাকের বিজ্ঞাপন করি। আজকে লেহেংগা এসে শাড়িকে প্রতিস্থাপিত করতে চায়। তাতে আমরা কেবল আমাদের সংস্কৃতির চিহ্নই হারাই না, আমরা অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হই। আমার ঢাকাই শাড়ির কারিগরটাকে বঞ্চিত করি। সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য কেবল সংস্কৃতির জন্য দরকার হয় না, সেটা অর্থনীতির জন্যও দরকার, সেটাই এই সময়ে বিশ্বরাজনীতির নিয়ন্তা। নইলে বড়লোক দেশগুলো সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বানায় ও পোষে কি নিতান্তই শখে? সেদিন টেলিভিশনে শিল্পী আনুশেহ একটা অনুষ্ঠানে সরাসরি সংগীত পরিবেশন করছিলেন, অনুষ্ঠানটার নাম ছিল ‘আমার পণ্য আমার দেশ’। তাঁর মা, শিল্পী লুবনা মরিয়ম ফোন করে বললেন, ‘আমি বলব, আমার সংস্কৃতি আমার দেশ’। দুটোই সত্য। আমার পণ্যই আমার দেশ, আমার সংস্কৃতিও আমার দেশ। কথাটা যেন আমরা ভুলে না যাই।
সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, একদল মানুষ যেন বলতে চাইছে, আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণী হিন্দি ছবি দেখে, গরিব মানুষ দেখার সুযোগ পায় না, হিন্দি ছবি দেখার মৌলিক অধিকার থেকে গরিব মানুষকে বঞ্চিত রাখা রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ অন্যায়। বাংলাদেশের নির্মাতারা যদি গরিব মানুষকে ভালো ছবি দেখাতে না পারে, তাহলে আমরা কেন তাদের হিন্দি ছবি দেখতে দেব না? তারা চাইছেন, এখন একই সঙ্গে বোম্বে, মাদ্রাজ, ভুবনেশ্বর, কলকাতা, গুয়াহাটি, জয়পুর ও আগ্রার সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, গলাচিপায় হিন্দি ছবি মুক্তি পাক। শাহরুখ খান-ঐশ্বরিয়া আসবেন তাঁদের ছবির প্রচারণার কাজে। ওই বিজ্ঞ মানুষদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, হিন্দি ছবি হচ্ছে সর্বভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে উন্নত সৃষ্টি, যেটা না দেখলে মানবজনমই বৃথা! এমন মানবজনম আর কি হবে! ওরে মরার আগে সব বাঙালি প্রতি বছরে গোটা ৫২ হিন্দি ছবি দেখে নিয়ে তারপর চোখ বুজিস। নইলে মরার পরে কী বলবি, জীবনে কী দেখেছিস!
সিনেমা যে কত বড় মাধ্যম, কত শক্তিশালী মাধ্যম, বড় পর্দার প্রভাব যে কত ব্যাপক ও কত গভীর, সেটাও যদি বলে বোঝাতে হয়! এখনই ঢাকার উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হিন্দি নাচগানের আয়োজন করে, তখন যে কী হবে! আর আনুশকা ইউসুফ তো সেটাকেই বাংলাদেশি ও বাঙালি সংস্কৃতি বলে ধরে নিয়েছেন।
বাংলাদেশের হলে হলে হিন্দি ছবি দেখানোর দাবি যাঁরা করছেন, তাঁদের যুক্তিটা আমি বোঝার চেষ্টা করছি। তাঁরা বলছেন, যেহেতু এত দিন ধরে বাংলা ছবিকে সুরক্ষা দিয়ে কোনো লাভ হয়নি, আমরা ভালো ছবি ঢাকায় নির্মিত হতে দেখিনি, কারণ বাংলা ছবিওয়ালাদের কোনো প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়নি, তাই হিন্দি ছবি আনতে হবে, তাহলে প্রতিযোগিতা হবে, তখন বাংলাদেশের ছবির নির্মাতারা হিন্দি ছবির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এমন ছবি বানাতে বাধ্য হবেন। প্রটেকশন দিয়ে যদি অন্য কোনো লাভ হয়ে না থাকে, বাংলাদেশের সংস্কৃতির চিহ্নগুলো হিন্দি সংস্কৃতির চিহ্ন দ্বারা পুরোপুরি অপসারিত হয়ে যায়নি, এই একটা লাভ তো হয়েছে। আর সূর্য দীঘল বাড়ি কি দিল তো পাগল হ্যায়-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে? মাটির ময়না প্রতিযোগিতা করবে কুচ কুচ হোতা হ্যায়-এর সঙ্গে? এটাকে প্রতিযোগিতা বলে? সারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছবিগুলো আনুন—ইরান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা এমনকি ভারতের, কোনোই আপত্তি নেই, তবে তা আন্তর্জাতিক বিচারে ভালো ছবি হতে হবে এবং ভারতে হলিউডি ছবির ক্ষেত্রে যে রকম স্থানীয় ভাষায় ডাবকৃত হওয়া বাধ্যতামূলক, আমাদের দেশেও তাই করতে হবে, এই দেশে বিদেশি ছবি অবশ্যই বাংলায় ডাব করে চালাতে হবে। আর একটা প্রশ্ন, আমরা কেন হিন্দি চ্যানেলগুলোকে এই দেশের টিভিতে এমন অবাধ করে দিয়েছি, যখন ভারতে আমাদের চ্যানেলগুলো দেখানো হয় না বললেই চলে! প্রতিটা হিন্দি চ্যানেলের জন্য বাড়ি-প্রতি অন্তত পাঁচ টাকা করে কর নিলেও তো সরকারের কোষাগারে কিছু জমা হয়!
আনিসুল হক: সাহিত্যিক, সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.