বুক অব ফ্যাক্টস-ডানা by আইজ্যাক আজিম

গোল্ডফিশ প্রচুর পরিমাণে পানি খেয়ে এর শত্রুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে। কারণ, আকারে বড় হয়ে যাওয়ায় শত্রুরা ওটাকে গিলে ফেলতে পারে না। প্যাডলফিশ একটি জীবন্ত জীবাশ্ম। ২৩০ মিলিয়ন বছর ধরে অপরিবর্তিত অবস্থায় মিসিসিপি নদীতে আছে, যদিও ওটার ওজন প্রাচীন ওজনের এক-তৃতীয়াংশ।

আর হ্যাঁ, প্যাডলফিশ চীনেও পাওয়া যায়। অনির্দিষ্ট সময় ধরে টুনাফিশ ঘণ্টায় নয় মাইল স্থির গতিতে সাঁতার কাটে। ধরা হয়ে থাকে, ১৫ বছরের টুনা তার জীবদ্দশায় এক মিলিয়ন মাইল অতিক্রম করে।
 পৃথিবীতে এমন মাছ আছে, যারা প্রতিরক্ষার জন্য এবং প্রজনন-পদ্ধতির অংশ হিসেবে শব্দ ব্যবহার করে থাকে। যদিও অধিকাংশ মাছের ভোকাল কর্ড নেই, অনেকেই শব্দ তৈরি করতে সক্ষম, সাধারণত তাদের সাঁতার কাটার পটকা কাঁপিয়ে অথবা কঙ্কাল কিছু অংশের সঙ্গে ঘষে থাকে, যার ফলে বাঁশি, কিচকিচ, কাশি ও চূর্ণ করার মতো শব্দ করতে পারে।
 আমরা নিশ্চিত যে তিমি ও ডলফিনের পূর্বপুরুষেরা ডাঙায় বাস করত। কিন্তু আমরা জানি না, ওরা কেমন ছিল এবং আমরা এ-ও জানি না, কীভাবে তিমি ও ডলফিন বিবর্তিত হয়েছে।
 বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণী নীল তিমি এখনো বেঁচে আছে। এই নীল তিমির ওজন হলো প্রায় ২০০ টন, রেকর্ডকৃত সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের ওজনের প্রায় দ্বিগুণ।
 আর্চারকিনা সারফেসের নিচ থেকে পানি ছুড়ে শিকার করে, যেমন: পানির উপরিভাগে ঝুলে থাকা পোকারাই এই মাছের শিকার হয়। মাছটি দুপাশের ফুলকার ঢাকনাগুলো সংকুচিত করে তালু ও জিহ্বা দিয়ে তৈরি একটি ছোট নলের মধ্য দিয়ে পানি সজোরে ছুড়ে মারে।
 জন্মের আগে হাঙর বিপজ্জনক হতে পারে। একজন বিজ্ঞানী স্টুয়ার্ট স্প্রিংগার যখন গর্ভবতী হাঙরকে পরীক্ষা করছিলেন, টাইগার শার্কের ভ্রূণ তাকে কামড়ে দেয়।
 ক্রেফিশের লেজের চোখটা যেভাবে কাজ করে, কম্পিউটার উৎপাদনকারীদের কাছে সেটা একটা আগ্রহের বিষয়। এটা হলো একটা পিগমেন্ট-কাপ (ওসেলাস) ধরনের চোখ এবং ক্রেফিশ এটা ব্যবহার করে, যখন ওটা অন্ধকার ফাটলে ফিরে যেতে চায়।
 পাঁচ শতাধিক প্রজাতির মাছ যথেষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। টর্পেডো বে ৬০ ভোল্টের ৫০ অ্যাম্পিয়ার পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। যে অঙ্গগুলো বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে, সেগুলো চ্যাপটা চাকতি আকৃতির কোষে পূর্ণ টিউব দিয়ে গঠিত, একটা গাড়ির ব্যাটারির প্লেটগুলোর মতো।

No comments

Powered by Blogger.