সিসিমপুর-বিউগল বাজাবে শিকু

টুকটুকি, শিকু ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে দোকানদার গুণী ময়রা, লাইব্রেরিয়ান আশা, খামারি মুকুল, স্কুলশিক্ষক সুমনা, ফেরিওয়ালা বাহাদুর, গরু পার্বতী, মোরগ শেরালী, মুরগি বিজলি আর দুই ভেড়া—মানিক ও রতন।

ছাপা হচ্ছে গোল্লাছুটে সিসিমপুরের বটতলায় সবাই জড়ো হয়েছে। বটতলার বেদিতে দাঁড়িয়ে আছে টুকটুকি আর শিকু। শিকুর হাতে একটা বড়সড় বিউগল। টুকটুকি সবাইকে উদ্দেশ করে বলল, বন্ধুরা, আজকের এই অনুষ্ঠানে বিউগল বাজিয়ে শোনাবে শিকু।
শিকু বলল, ধন্যবাদ। সে বিউগলটা দেখিয়ে বলল, এটা হলো বিউগল। পিতল দিয়ে তৈরি একটি পেঁচানো বাদ্যযন্ত্র...!
টুকটুকি ফিসফিসিয়ে বলল, শিকু, কথা না বলে তাড়াতাড়ি শুরু করো।
শিকু কোনো দিকে কান না দিয়ে বলেই চলল, ...দেখো, এই যে বিউগলে একটি ফুটো, আর সামনে একটা চোঙা। ফুটো দিয়ে ফুঁ দিলে এই চোঙা দিয়ে শব্দ বের হবে। আর এই যে তিনটি চাবি দেখছ, এগুলো চাপ দিয়ে শব্দ দিয়ে সুর তৈরি করা যাবে।
টুকটুকি ফিসফিসিয়ে বলল, শিকু, বিউগল বাজাও।
শিকু মুখের সামনে বিউগল নিয়ে ফুঁ দেয়। একবার দুবার তিনবার, কিন্তু বিউগল বাজে না।
টুকটুকি বলল, কী ফুঁ ফুঁ করছ, বাজাও!
সবাই বলে উঠল, হ্যাঁ হ্যাঁ, বাজাও! শিকু আরও জোরে ফুঁ দিল। তবু বিউগল বাজল না।
টুকটুকি বলল, বাজাও শিকু, বাজাও। আমাকে ভাসিয়ে দাও তোমার বিউগলের সুরে।
শিকু আরও জোরে ফুঁ দিল। না, এবারও বিউগল বাজল না। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
শিকু বলল, বুঝেছি, বিউগল বাজাতে অনেক জোরে ফুঁ দিতে হবে। তারপর শিকু বড় করে শ্বাস টেনে জোরসে একটা ফুঁ দিল। সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ জোরে বিউগল বেজে উঠল। করতালিতে মুখরিত হলো চারদিক।
কিন্তু বিউগল এত জোরে বাজল যে সেই তোড়ে টুকটুকি ভেসে যেতে লাগল।
টুকটুকি চিৎকার করে বলল, শিকু, থামাও থামাও। উড়ে যাচ্ছি...ভেসে যাচ্ছি!
শিকু বিউগল বাজানো থামাল। টুকটুকি খড়কুটো ঝাড়তে ঝাড়তে উঠে এসে বলল, বাব্বা! যেন ঝড় বয়ে গেল। তুমি সত্যিই তোমার বিউগলে ফুঁ দিয়ে আমাকে ভাসিয়ে দিচ্ছিলে শিকু।

No comments

Powered by Blogger.