চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিংনগর সীমান্তে গতকাল বুধবার ভোরে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি এক যুবক মারা গেছেন। নিহত রুহুল আমিন (২৮) শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তারাপুর-সোনাপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।


রুহুলের আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, ভোরে সীমান্তবর্তী বোরো ধানের জমিতে সেচ দেওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন তাঁর লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে।
রুহুলের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরেজমিনে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিএসএফের সদস্যরাই রুহুল আমিনকে শটগানের ছররা গুলিতে হত্যা করেছে। রুহুলের বুকে অসংখ্য গুলির আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা গেছে।’
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) শিংনগর সীমান্ত ফাঁড়ির নায়েব সুবেদার মনোয়ার হোসেন বলেন, রুহুল আমিন গরু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। তবু বিজিবি তাঁর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং এ নিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে পত্র দেয়। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসএফ শিংনগর সীমান্তের শূন্যরেখায় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে মিলিত হয়।
সুবেদার মনোয়ার বলেন, কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের ওই বৈঠকে রুহুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএসএফ জড়িত বলে অভিযোগ করে বিজিবি। বিএসএফ অস্বীকার করে জানায়, যে ধরনের অস্ত্রের গুলিতে রুহুলের মৃত্যু হয়েছে, বিএসএফ তা ব্যবহার করে না। গরু চোরাচালান নিয়ে বিবাদের জের ধরে ভারতীয় চোরাচালানিরাও এ ঘটনা ঘটাতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে উদ্ঘাটনের চেষ্টা করবে বিএসএফ।
এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে বলা হয়, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের চোখ এড়িয়ে ভারতীয় সন্ত্রাসীরা কীভাবে গুলি করে বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করতে পারে? এর দায় বিএসএফকেই নিতে হবে।
শিবগঞ্জ থানার এসআই মাসুদ পারভেজ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে রুহুল আমিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.