ঢাবি রসায়ন বিভাগে রণেন্দ্র চন্দ্র বৃত্তি by আরিফ কামাল

রণেন্দ্র চন্দ্র দাশগুপ্ত জন্মেছিলেন ১৯০৯ সালের ১ জানুয়ারি শীতলক্ষ্যা তীরের মুড়াপাড়ায়। কৃতিত্বের সঙ্গে স্কুল-কলেজের গণ্ডি অতিক্রম শেষে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। ১৯৩০ সালে বিএসসি সম্মান পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। পরের বছর অরগানিক কেমিস্ট্রি নিয়ে এমএসসিতেও একই ফল_ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম।


তার কন্যা তপতী সেনগুপ্ত এবং জামাতা পবিত্র সেনগুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের হাতে গত ২৭ মার্চ তুলে দিলেন তিন লাখ টাকার একটি চেক। উদ্দেশ্য রণেন্দ্র চন্দ্র দাশগুপ্ত বৃত্তি চালু। প্রতি বছর অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করা শিক্ষার্থীকে এ তহবিল থেকে বৃত্তি দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ ড. মীজানুর রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ইউসুফ আলী মোল্লা, রসায়ন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. নিশাত আহমদ পাশা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অজয় দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, পবিত্র সেনগুপ্ত ও তপতী সেনগুপ্ত ইতিপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ লাখ টাকার অক্ষয় কুমার সেন শর্মা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেন। প্রতি বছর বাংলা বিভাগে এমএ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারীকে এ তহবিল থেকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। অক্ষয় কুমার সেন শর্মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৩৯ ও ১৯৪০ সালে বিএ অনার্স এবং এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তার সঞ্চিত অর্থ তার প্রিয় বাংলা বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদানের জন্য দান করে যান।
রণেন্দ্র চন্দ্র দাশগুপ্ত বৃত্তির জন্য ট্রাস্ট গঠনের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে পবিত্র সেনগুপ্ত বলেন, শিক্ষাজীবনের মতো কর্মজীবনেও সফল ছিলেন রণেন্দ্র চন্দ্র দাশগুপ্ত। তিনি শিক্ষার জন্য অনেককে সহায়তা দিয়েছেন। নিজে যেমন ভালো ফল করেছেন, তেমনি চাইতেন অন্যরাও পরিবার ও সমাজের মুখ উজ্জ্বল করুক। পরে রসায়ন বিভাগের চেয়ারপারসন নিশাত আহমদ পাশা পবিত্র সেনগুপ্ত ও তপতী সেনগুপ্তকে রসায়ন বিভাগের বিভিন্ন অংশ ঘুরিয়ে দেখান এবং বৃত্তি চালুর জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক বিভাগ থেকে প্রতি বছর শত শত ছাত্রছাত্রী কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। জীবনের চলার পথে দু'হাত ভরে সাফল্য কুড়ান অনেকেই। তাদের কেউ কেউ কিংবা পরিবারের সদস্যরা এ ধরনের বৃত্তি ও পদক চালুর জন্য অর্থ দিয়েছেন। তবে এ সংখ্যা অনেক অনেক বাড়তে পারে। আসুন, আমরা সবাই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। শুধুু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আরও অনেক প্রতিষ্ঠানেই এ ধরনের বৃত্তি-পদক চালু সম্ভব।
স আরিফ কামাল :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.