বাজারে নতুন

চলচ্চিত্রযাত্রা লেখক: তারেক মাসুদ প্রকাশনা: প্রথমা প্রকাশন দাম: ২৭৫ টাকা তারেক মাসুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন মাদ্রাসায় শুরু হলেও শেষাবধি তিনি হয়েছিলেন দেশবরেণ্য চলচ্চিত্রকার। তিনি বলেছিলেন, ‘চলচ্চিত্রকার না হলে লেখক হওয়ার চেষ্টা করতাম।’ লেখালেখির প্রতি একটা টান তাঁর বরাবরই ছিল।


গত ২৫ বছরে তাঁর লেখালেখিতে উঠে এসেছে চলচ্চিত্র-ভাবনা, দেশের চলচ্চিত্র নির্মাণের সংকট ও সম্ভাবনা এবং চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট তাঁর নানামুখী অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে এই বইয়ে।

বাংলার মুখোশ
সম্পাদনা: দীপঙ্কর ঘোষ
প্রকাশক: আনন্দ পাবলিশার্স
দাম: ৬০০ টাকা
মুখোশ শিল্পকলার এক অনন্য প্রকাশ। রং ও রূপ উপাদানের বৈচিত্র্যে তৈরি হয় ছদ্মমুখ আর গড়ে ওঠে চরিত্রের মহিমা। আঞ্চলিক রাজ-ঐতিহ্যের ভাঙাগড়া, শিল্পীসমাজের পরিক্রমণের স্থান-কাল, শিল্পের গতিধারা, কৃৎকৌশলের রকমফের সংগ্রহালয়ের নিদর্শন ও প্রদর্শনের তথ্যবয়ানে বাংলার মুখোশ শিল্পের বিস্তারী বুনিয়াদি গড়ে উঠেছে। এই গ্রন্থে মুখোশের যাবতীয় কথা উঠে এসেছে।

কিং অ্যান্ড রেবেল
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অনুবাদ: জগদীন্দ্র ভৌমিক
প্রকাশন: সপ্তর্ষি প্রকাশন
দাম: ৭০০ টাকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জনপ্রিয় নাটক রাজা ও রাজাদ্রোহীকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন জগদীন্দ্র ভৌমিক। বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে আশ্রম বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিছক ইংরেজি ভাষার চর্চার কথা ভেবে যে নাটক রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, প্রায় ১০০ বছরের ব্যবধানে সেই নাটক আবার পাঠকের কাছে ফিরে এল। বইটির দুটি আলাদা অংশে বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষার লেখা রয়েছে।
সূত্র: প্রথমা প্রকাশন, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা।

সংগীত
দুঃখ করোনা, বাঁচো
মৃত্তিকা বাংলা ব্যান্ডের বেশ কিছু গান এরই মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ব্যতিক্রমী সংগীত পরিবেশনার ফলে তারা একটি স্থান করে নিয়েছে। এবার কবি নির্মলেন্দু গুণের কাব্যগ্রন্থ দুঃখ করোনা, বাঁচো নাম নিয়ে বাংলা ব্যান্ড গানের দল মৃত্তিকার একটি অ্যালবাম বাজারে এসেছে। এটি বাজারে এনেছে সংগীতা। মৃত্তিকা দলের প্রধান শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবুর গাওয়া এই অ্যালবামের গানগুলোতে দেশ, মানুষ, সামাজিক অসংগতি ও আশাবাদের গান গাওয়া হয়েছে।
সূত্র: সুরের মেলা, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা।

চলচ্চিত্র
চিত্রা নদীর পারে
পরিচালক: তানভীর মোকাম্মেল
সাতচল্লিশে দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের ওপর যে প্রভাব পড়েছিল, তা এই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে। এই সংকট শেষ হয় ষাটের দশকে। হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে শোষণের শিকার হয় সাধারণ মানুষ। সে সময়ের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, জনগণের ভোগান্তি, অত্যাচারিত হওয়ার পর তাদের জীবনসংগ্রামের কাহিনি এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু।

গ্র্যান তোরিনো
পরিচালক: ক্লিন্ট ইস্টউড
ওয়াল্ট কোয়ালস্কি এক বদমেজাজি বুড়ো। একসময় ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মানতে নারাজ যে তাঁর চারপাশের জগৎটা অনেক বদলে গেছে। চরম অসুখী এই লোকের একমাত্র আনন্দের ও পছন্দের বস্তুটি হচ্ছে একটি পুরোনো দিনের ১৯৭২ সালের গ্র্যান তোরিনো গাড়ি। কিন্তু নিজের গড়ে তোলা জগতের ঘেরাটোপ ছেড়ে ওয়াল্ট বেরোতে বাধ্য হন, যখন প্রতিবেশী এক কোরীয় পরিবার আক্রান্ত হয় পাড়ার মাস্তান দ্বারা।
সূত্র: মুভি প্লাস, রাইফেলস স্কয়ার, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.