মত ও মন্তব্য-শান্তি ও সৌহার্দ্যবাদী সাংবাদিকতা by হারুন হাবীব

অতিসম্প্রতি 'শান্তি ও সাংবাদিকতা সংলাপ' শিরোনামে একটি পেশাগত কর্মসূচির শুভারম্ভ হয়েছে রাঙামাটিতে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও ইন্টারনেট মিডিয়ায় কর্মরত পেশাজীবীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। 'জার্নালিজম অ্যান্ড পিস ফাউন্ডেশন'র (জেপিএফ) উদ্যোগে দিনব্যাপী সংলাপটি রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সহযোগিতায় দেশের এমন একটি অঞ্চলে শুরু হয়েছে, যা দীর্ঘকাল সহিংসতা ও অসহিষ্ণুতায় ক্ষতবিক্ষত ছিল।


এক যুগ আগে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর আজও সেখানে পরিপূর্ণ শান্তি ফেরানো সম্ভব হয়েছে দাবি করা সঠিক হবে না। বোধ করি সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস মনে করেন, এমন একটি উদ্যোগ পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি থেকে শুরু হওয়ায় বাড়তি গুরুত্ব লাভ করেছে। সংলাপটিতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেছি আমি, রোবায়েত ফেরদৌস তরুণ পেশাজীবীদের সামনে শান্তি ও সৌহার্দ্যবাদী সাংবাদিকতার প্রায়োগিক দিক তুলে ধরেছেন। স্থানীয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, এ কে এম মকসুদ আহমেদ, মোহাম্মদ আলী, আনওয়ার আল হক, সবুজ সিদ্দিকী এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে নুরুল আনোয়ারসহ অনেকেই সংলাপে ভূমিকা রেখেছেন। জেপিএফ থেকে বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সারা দেশে 'শান্তি ও সাংবাদিকতা সংলাপ'-এর আয়োজন করা হবে। আমি সাংবাদিকতার শান্তি ও সৌহার্দ্যবাদী ভূমিকাকে কেবল যুদ্ধকালীন সময়ের জন্য নির্ধারিত রাখতে চাইনা, বরং আপাত শান্তিকালীনও যে নিরন্তর অঘোষিত যুদ্ধ চলে আসছে, নিঃশব্দ যে যুদ্ধে অগণিত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রক্তাক্ত হয়, বিপন্ন হয় _সে প্রেক্ষাপটকেই আমি বেশি জোর দিতে চাই।

বর্তমান যুগে সাংবাদিকতার ব্যাপ্তি ও প্রভাব বিস্ময়করভাবে বিস্তৃত। মিডিয়া বা সংবাদপত্র আজ 'ইন্ডাস্ট্রি'ই কেবল নয়, সে আজ অসীমান্তিক, যা সব জাতি, সমাজ ও লোকালয় আবিষ্কার করে, প্রভাবিত করে, এমনকি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রগতিতে এ ব্যাপ্তি রাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে সম্প্রসারিত হয়েছে ব্যাপকভাবে, ছড়িয়েছে গোলার্ধের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। মোটকথা, রাজতন্ত্রী, স্বৈরতন্ত্রী কিংবা উগ্র ধর্মকেন্দ্রিক রাষ্ট্র ও অঞ্চল বাদে, সংবাদমাধ্যম আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে স্বাধীন, অধিকারমুখী, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং সার্বভৌমত্ব প্রত্যাশী_যা মুক্ত তথ্যপ্রবাহের যুগের এক তাৎপর্যময় অগ্রগতি। এর পরও বলতে হবে যে এ যুগে রাষ্ট্রশক্তিই কেবল স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিপক্ষ নয়। এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে বহুবিধ নতুন প্রতিপক্ষ_যারা শক্তিধর এবং মুক্ত, স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠ রোধ করার ক্ষমতা রাখে। এসব প্রতিপক্ষ কখনো শাসকগোষ্ঠীর অসহিষ্ণুতা, কখনো প্রতাবশালী করপোরেট পুঁজি বা 'বিগ বিজনেস', কখনো সুসংঘবদ্ধ চোরাচালানিচক্র, কখনো উগ্র ধর্মবাদী বা অসহিষ্ণু আদর্শবাদী, কখনো উগ্র বাণিজ্যবাদী, কখনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িতদের 'সেলফ সেন্সরশিপ' বা আত্মনিয়ন্ত্রণ বা গোষ্ঠীস্বার্থ। এসবকে খুব ছোট প্রতিপক্ষ ভাবা সঠিক হবে না। সাংবাদিকতা 'প্রফেশনের' চেয়ে অনেক বেশি 'মিশন', কাজেই নৈতিকতাসম্পন্ন সাংবাদিক হেরে যান না। বলতেই হবে, ইত্যাকার নতুন প্রতিপক্ষের আবির্ভাবের পরও সৎ ও বলিষ্ঠ সাংবাদিকতা পরাভূত থাকেনি। এগিয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম বৃহৎ পুঁজির বৃহৎ শিল্প। রাশি রাশি টাকা ছাড়া কোনো মিডিয়া_প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক_পরিচালনা সম্ভব নয়। তবে পুঁজির পূজাতেই যদি সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে তা হয় দুর্ভাগ্যজনক। নৈতিক ও আদর্শিক অবস্থান থেকে সরে ব্যবসা বা তেজারতিই মূল লক্ষ্য হলে সাংবাদিকতা বৃন্তচ্যুত, লক্ষ্যচ্যুত হয়। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সৎ ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে। সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা, মানবাধিকার সমুন্নত করা, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধাচরণ, দুর্বল জনগোষ্ঠী বা অবিচারের লক্ষ্যবস্তুর পক্ষ ধারণ করা এ পেশার নৈতিক ভিত্তি। এসব থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনোই সুযোগ নেই।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মানুষে মানুষে, গোত্রে, বর্ণে, ধর্মে বিভেদ নিরন্তর। এসব বিভেদের ভিত্তি কখনো ইতিহাস, কখনো ধর্ম, ভাষা বা সংস্কৃতি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এসব বিভেদকে কেউ কেউ আবার সযতনে লালন করেন! যাঁরা করেন, তাঁদের কেউ কেউ আবার প্রভাবশালী_তাঁরা মানুষে মানুষে দেয়াল তৈরি করে মুনাফা অর্জন করেন। সংবাদ পেশাজীবীরা এ ব্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন করলে পেশার নৈতিক ভিত্তির প্রতি সুবিবেচনা করা হবে। জোর দিয়েই বলতে চাই যে মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতাকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ এ বিভেদ যত বাড়ে, ততই সামাজিক ও রাষ্ট্রিক প্রগতি বিনষ্ট হয়_মানবতা তার প্রার্থিত প্রগতির সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, শান্তি ও সৌহার্দ্যবাদী সাংবাদিকতা একদিকে যেমন বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সরবরাহ করে, নেতিবাচক বা চটকদার বিষয়েই নিজেকে কেবল সীমাবদ্ধ রাখে না; অন্যদিকে সত্যসন্ধানী প্রতিবেদন এবং নিরপেক্ষ পর্যালোচনায় সমাজকে শিক্ষিত করে, সহনশীল করে, যুক্তিবাদী করে, মানবিক গুণসম্পন্ন করে। সৎ সাংবাদিকতা সত্য ও সুন্দরের আরাধনা করে। সত্যবিরোধী অবস্থান নিলে; পুঁজি, রাজনীতি বা যেকোনো কোটারি স্বার্থের নামেই সে অবস্থান নির্ধারিত হোক না কেন_যথার্থই তা সত্য, সুন্দর ও মঙ্গলের বিপরীতে দাঁড়ায়। এতে সমাজ প্রতারিত হয়, বিভাজিত হয়, সংকট দীর্ঘায়িত হয় এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত হয়। উদার গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা সর্বজনস্বীকৃত। সৎ ও স্বাধীন সাংবাদিকতা কেবল এসবের পরিপূরক নয়, পৃষ্ঠপোষকও। রাষ্ট্রশক্তি কিংবা রাষ্ট্রক্ষমতা প্রত্যাশী রাজনৈতিক শক্তির সমালোচনা, সামাজিক অপশক্তিগুলোর অবিচার, দুষ্কর্ম, দুর্নীতিসহ নানাবিধ অনিয়মতান্ত্রিকতা জনসম্মুখে প্রকাশ বা প্রচার করা সাংবাদিকতার আরাধ্য দায়িত্ব। কিন্তু এসব করতে গিয়ে যদি খোদ সংবাদমাধ্যমের ওপরই অনৈতিকতার অভিযোগ বর্তায় এবং যদি তা প্রমাণযোগ্য হয়, তাহলে তা পেশার মহত্ত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি ভারতের সাংবাদিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, এটি hugely important asset for democratic India. এর পরও সাংবাদিকতার কিছু মৌলিক সংকট ও সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরেছেন বিশ্বখ্যাত এই বাঙালি। আমার বিশ্বাস, সাংবাদিকতার এসব সীমাবদ্ধতা উত্তরণযোগ্য। এটি কেবল ভারতের জন্য নয়, আমাদের জন্যও। সেই সামন্তবাদী যুগ থেকে সাংবাদিকতা সমাজকে আধুনিক যুগের পথে ধাবিত করছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও ফ্রান্সের বিপ্লবে সংবাদপত্রের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। বিশ্বনন্দিত দার্শনিক_রুশো, ভলতেয়ার, থমাস পাইন ও জন উইকিস_এঁরা সংবাদপত্রে লিখে সমাজ বদলে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন, গণতান্ত্রিক ও আধুনিকতার পথে অগ্রসর করেছেন। আমাদের মতো দেশেও গণতন্ত্রের পথে, সুবিচারের পথে, অসাম্প্রদায়িকতার পথে, ইতিহাসের পথে মানুষকে ধাবিত করতে বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম যে ভূমিকা রেখে চলেছে; তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে হবে। যুদ্ধ বা সংঘাত নয়, শান্তি ও সৌহার্দ্যবাদী হবে মানুষ_মানব সভ্যতার এটিই স্বাভাবিক প্রত্যাশা। কাজেই যে সাংবাদিকতা সমাজে প্রভূত প্রভাব বিস্তার করে, যা মানুষকে নানা তথ্যে সমৃদ্ধ করে, শিক্ষিত করে, অনুপ্রাণিত করে_তার মানবতাবাদী ভূমিকা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে বৈকি। সাংবাদিকতা পেশা মানুষকে দৈনন্দিন প্রভাবিত করে; এ প্রভাব যেমন চলতি, তেমনি সুদূরপ্রসারীও। কাজেই খবরের বস্তুনিষ্ঠতা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি সাংবাদিকতার সামাজিক দায়বদ্ধতা_যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়, বিভক্ত না হয়, সংকট বা সংঘাত প্রলম্বিত না হয়; সমাজে, রাষ্ট্রে সহনশীলতার সংস্কৃতি তৈরি হয়। আর এ কাজটি কার্যকরভাবে সম্পাদন করতে প্রয়োজন সংবাদকর্মীদের আদর্শিক ও প্রায়োগিক ভিত্তি নির্মাণ। আমাদের বুঝতে হবে যে অর্ধসত্য পরিবেশনা মিথ্যার চেয়েও ভয়ংকর।
দেশ বা জাতিপ্রেম যেকোনো মানুষের অধিকার ও গর্ব। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে, গোত্রে গোত্রে সংঘাত-সংঘর্ষে মানুষ দেশ ও গোত্রভূত হবেন_এটিই স্বাভাবিক প্রবণতা। প্রশ্ন উঠতেই পারে, যে সাংবাদিকতা মানুষকে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন করে, যা বিবেক জাগ্রত করে, সঠিক সত্য উপস্থাপিত করে, সে সাংবাদিকতা শুধুই দেশ ও জাতিপ্রেমের আবেগে আবদ্ধ হলে সত্যানুসন্ধানে তা কতটা ভূমিকা রাখতে সক্ষম? এক জাতীয়তাবোধ যদি অন্য জাতীয়তাবোধকে আঘাত করে, অপমানিত করে; এবং সে আঘাতের বাহক যদি সাংবাদিকতা হয়, তাহলে অবশ্যই চিন্তিত হওয়ার কারণ থাকে। সাংবাদিকতা সৎ ও সত্যের আরাধনা করে, মানবিকতাকে সমুন্নত করে, অনাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সে কারণেই যেকোনো সমাজে সংবাদমাধ্যম মানুষের সামগ্রিক স্বার্থ সংরক্ষণের হাতিয়ার। কাজেই সে হাতিয়ারকে সুবিবেচক হতে হয়, নিরপেক্ষতার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হয়। যেখানেই অধিকার, সেখানেই দায়বদ্ধতা। স্বাধীনতা কখনোই অনিয়ন্ত্রিত হয় না, একপেশে হয় না, তার সুযোগও নেই। সে কারণেই এ পেশার নৈতিকতা ও উচ্চ পেশাগত মান রক্ষার প্রয়োজন পড়ে। অহিংস মহাপুরুষ মহাত্মা গান্ধী নিজেও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। সতর্কবাণী উচ্চারণ করে তিনি বলেছেন যে : an uncontrolled pen serves but to destroy. স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আধুনিক ভারতের জনক পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর ভাষায় : If there is no responsiblity and no obligation atteched to it, freedom gradually withers away.
আমি বিশ্বাস করি, সাংবাদিকতার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। পেশার এ দায়বদ্ধতা পেশার মানুষকেই ভাবতে হবে। ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে সৎ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ভূমিকা অপরিসীম। সাংবাদিকতা শুধু নিজের পেশার স্বাধীনতা রক্ষা করে না, একই সঙ্গে সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে। কাজেই নীতি ও নৈতিকতার বিষয়টি, অধিকার ও দায়বদ্ধতার বিষয়টি উপেক্ষা করার নয়। দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের অন্যতম প্রধান সংঘাতমুখর অঞ্চল। এ অঞ্চলের দেশে-দেশে, গোত্রে-গোত্রে, ধর্মে-ধর্মে, বর্ণে-বর্ণে, উগ্র জাতীয়তা, উগ্র ধর্ম ও উগ্র রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক বিভাজনে নিরন্তর যে যুদ্ধ চলে আসছে, তার মূল ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। সে কারণেই আমি বিশ্বাস করি, শান্তি, সৌহার্দ্য ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সাংবাদিকতার উপযুক্ত ব্যবহার প্রয়োজন। যুদ্ধ, সংঘাত বা সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়িয়ে দেওয়া নয়, জিইয়ে রাখা নয়; উত্তেজনা প্রশমিত করাই সাংবাদিকতার প্রার্থিত ভূমিকা, এখানেই শান্তিবাদী, আদর্শবাদী সাংবাদিকতার গুরুত্ব। আমরা যারা সংবাদকর্মী, আমাদের উচিত হবে, যার যার অবস্থান থেকে পেশার এই শান্তিবাদী ভূমিকা সমুন্নত করা, পেশাকে মহীমান্বিত করা। জানুয়ারির ৩০ তারিখ দেহত্যাগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রবাদপ্রতিম ধর্মগুরু সাধনানন্দ মহাস্থবির, যাঁর সর্বজন পরিচিতি 'বনভান্তে'। শান্তিবাদী এই মহাপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের লেখাটা শেষ করতে চাই। সাংবাদিকতার নৈতিকতা রক্ষা ও শান্তিবাদী ভূমিকার পথে বিস্তর চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু বিশ্বাস করি যে সত্য ও শান্তি প্রত্যাশী সাংবাদিকতার জয় হবে। অঘোষিত যুদ্ধের নিরন্তর আঘাত থেকে সমাজকে বাঁচাতে হবে, সত্য ও শান্তির বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট
hh971@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.