বিশেষ সাক্ষাৎকার-আমরা কোনো বিতর্কিত বিষয়ে হাত দেব না by আবদুল মতিন খসরু

সংবিধান সংশোধন নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে। আদালত সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে মত দিয়েছেন। সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল হয়েছে আদালতের রায়ে। এসব বিষয় নিয়ে কালের কণ্ঠের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু


এমপি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলী হাবিব কালের কণ্ঠ : সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলছে। এবারের অধিবেশনেই হয়তো বিষয়টি সংসদে তোলা হবে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে শুরু করতে পারি।
আবদুল মতিন খসরু : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ের আলোকে সামরিক আইনের মাধ্যমে কিছু ধারা যে সংশোধন-সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছিল, তা বাতিল বলে ঘোষিত হয়েছে। আর তারপর সংবিধানকে যুগোপযোগী বা সময়োপযোগী করার প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। আমরা নতুন কোনো সংবিধান রচনা বা প্রণয়ন করছি না।
কালের কণ্ঠ : কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে এগোচ্ছেন আপনারা?
আবদুল মতিন খসরু : আমরা পঞ্চম সংশোধনী, সপ্তম সংশোধনী ও ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ের আলোকে সংবিধানকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে অংশীদারির ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন পদ্ধতি অর্থাৎ এই আইনের যাঁরা সুবিধাভোগী হবেন বা যাঁরা এই আইন প্রয়োগ করবেন তাঁদেরসহ সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবী, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতা, সমাজের বিশিষ্টজন, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, সাংবাদিক_সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। এই আলোচনার উদ্দেশ্য এই যে, সংবিধান হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন, মৌলিক আইন। এর মালিক জনগণ। তার সংশোধন যেন সঠিকভাবে হতে পারে। যাতে সেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তাতে যেন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে, তাদের অংশীদারির প্রতিফলন ঘটে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
কালের কণ্ঠ : এখানে তো মৌলিক কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
আবদুল মতিন খসরু : হ্যাঁ, এটা করতে গিয়ে কিছু মৌলিক বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা কোনো বিতর্কিত বিষয়ে হাত দেব না। ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংশোধন হবে। পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ের মর্মার্থ হলো_আমাদের সংবিধানে যুগের প্রয়োজনের সংযোজন-বিয়োজন-পরিমার্জন করার জন্য সংবিধানের ১৪২ ধারায় পদ্ধতি নির্ধারণ করা আছে। পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী মামলার রায়ে উল্লেখ করা আছে, এই সংবিধানে অসাংবিধানিকভাবে যত পরিবর্তন-সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে, তা বাতিল। সেই আলোকে দেখা যায়, যে চেতনাকে সামনে রেখে এই সংবিধান রচনা করা হয়েছিল তাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সামরিক আইনের মাধ্যমে। আমাদের সংবিধানের মূল চরিত্র বদলে ফেলা হয়। পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী মামলার রায়ে সামরিক আইনের মাধ্যমে করা সব সংযোজন-বিয়োজন-পরিমার্জন বাতিল হয়ে গেলে বাহাত্তরের সংবিধান বা মূল সংবিধান পুনরুজ্জীবিত হয়।
কালের কণ্ঠ : বাহাত্তরের সংবিধান পুনরুজ্জীবিত হওয়ার কথা উঠলেই কিছু প্রশ্ন তো সামনে এসে পড়ে।
আবদুল মতিন খসরু : সে বিষয়েই বলছি। বাহাত্তরের সংবিধান পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পরও কিছু বিষয় আছে, যেগুলো আমরা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে চাই। যেমন সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, সংবিধানের ১২-এর খ, গ, ঘ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইত্যাদি বিষয়ে আমরা সবার মত নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। এই লক্ষ্যে আমরা ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষ কমিটি করি।
কালের কণ্ঠ : কিন্তু বিএনপি তো বিশেষ কমিটির কোনো সভায় আসেনি।
আবদুল মতিন খসরু : বিশেষ কমিটিতে বিএনপির একজন সদস্য রাখা হয়। বিএনপি তখন দুইজন সদস্যের দাবি জানায়। আমরা দুইজন সদস্য বিএনপি থেকে অন্তর্ভুক্ত করি। তার পরও তাঁরা বিশেষ কমিটির কোনো সভায় আসেননি। এর পরও বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করা ছিল। তাঁকে সব সম্মান দেখানো হয়েছে, কিন্তু তিনি কোনো বৈঠকে আসেননি।
কালের কণ্ঠ : কিভাবে এগোচ্ছেন আপনারা?
আবদুল মতিন খসরু : সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৪টি সংশোধন হয়েছে। এর দুই-তিনটি হয়েছে সামরিক শাসনের মাধ্যমে। বাকিগুলো হয়েছে সংসদের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সংশোধনী। বিএনপি আমলে হয়েছে সামরিক ফরমানের মাধ্যমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ সংশোধনী। জাতীয় পার্টির আমলে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সংশোধনী। বিএনপি আমলে আবার একাদশ, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ সংশোধনী। সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সংবিধানের সংযোজন-বিয়োজন-পরিমার্জনের কোনো এখতিয়ার কারো নেই। মহান জাতীয় সংসদের সদস্যরাই সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার রাখেন।
কালের কণ্ঠ : আপনি অংশীদারির কথা বলছিলেন। বিএনপি তো সংসদে আসছে না। বিশেষ কমিটির বৈঠকেও আসেনি। তাহলে?
আবদুল মতিন খসরু : বিএনপি যেহেতু পঞ্চম সংশোধনীর জাতক, সেহেতু দলটি এই সংশোধনী বাতিলের বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। একটি বিষয় সবারই মনে রাখা উচিত, একটি সরকারের মেয়াদ মাত্র পাঁচ বছরের। কিন্তু সংবিধান থেকে যাবে। বর্তমানে আমরা আগামী ৫০-১০০ বছরের জন্য উপযোগী একটি সংবিধান করতে চাই। এখানে বিএনপির সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত বিশেষ কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকা, নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা রাখা। বিএনপি সেই ভূমিকা পালন করছে না। বিশেষ কমিটির বৈঠকে বিএনপি আসেনি। আদালতের রায় মানে না, এমন কথা বলে দিতেও বিএনপির বাধে না। বিএনপি যেভাবে প্রধান বিচারপতির কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে, সেটা নজিরবিহীন। রীতিমতো সভা ডেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে বিএনপি বলে দিল, 'আমরা এ রায় প্রত্যাখ্যান করলাম।' এটা প্রত্যক্ষ আদালত অবমাননা। শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শিষ্টাচারবহির্ভূত অমার্জিত এই আচরণ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় বহন করে। দায়িত্বশীল একটি বিরোধী দলের কাছ থেকে আমরা এ আচরণ আশা করতে পারি না। তবে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, সাংবিধানিক শাসনের স্বার্থে আমরা সবার মতামত নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। আমরা এখনো আশা করছি, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। সংসদে যখন বিলটি উত্থাপন করা হবে, তখন মাননীয় স্পিকার এটা নিয়মানুযায়ী আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। আইন মন্ত্রণালয় এটা ক্যাবিনেটে পাস করিয়ে সংসদে উত্থাপন করবে। ওই বিলে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সব রাজনৈতিক দলের সদস্যরা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটি, দফাওয়ারি সংশোধন ইত্যাদিতে যথেষ্ট কথা বলার সুযোগ পাবেন। আমরা আশা করব, বিএনপি তখন অন্তত তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু তখন যদি বিএনপি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে তার দায় বিএনপির ওপরই বর্তাবে।
কালের কণ্ঠ : এ নিয়ে নানা বিতর্কের অবতারণা করা হচ্ছে। সে বিষয়ে কিছু বলবেন?
আবদুল মতিন খসরু : বিএনপি এখন বলছে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বর্তমান সরকারি দল অর্থাৎ মহাজোট সরকার সংবিধান নতুন করে লিখছে। এই কথাটি প্রত্যক্ষ আদালত অবমাননাযোগ্য, শিষ্টাচারবহির্ভূত, অসংসদীয় আচরণ। কারণ আদালত স্বাধীনভাবে, আপন বিবেচনায় রায় দিয়েছেন। এখানে কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমাদের দেশের আদালত যে রায় দিয়েছেন, পৃথিবীর যেকোনো দেশের আদালত এই বিষয়ে একই রায় দিতেন। কারণ আমাদের সংবিধানে মার্শাল ল বা সামরিক আইন বলতে কোনো শব্দ নেই। আমাদের সংবিধান কিভাবে সংশোধন-সংযোজন-বিয়োজন করতে হবে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে তা উল্লেখ করা আছে। আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, আইন প্রণয়নের ও সংশোধনের একক ক্ষমতা সংসদের, আদলতেরও না, কোনো সামরিক জান্তারও না। অস্ত্রের বলে, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অথবা সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করা যায় না। এটা স্বতঃসিদ্ধ কথা। কাজেই আদালত আদেশ দিয়ে কোনো অন্যায় করেননি। কিন্তু বিএনপি একটি নীলনকশার অংশ হিসেবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তো সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সংবিধান পরিবর্তন করতে চাই। আমরা একটি ভালো কাজে হাত দিয়েছি। তারা এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অসংসদীয় ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। আক্রমণ করছে বিচার বিভাগকে। সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করা যায় না। এটা আদালত অবমাননার জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিএনপি সেটাই করেছে। কারণ বিএনপি মনে করছে, পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ের মাধ্যমে তাদের অপরাজনীতির অস্তিত্বে আঘাত হানা হয়েছে। এ জন্যই তারা এ বিষয়ে কোনো কার্যক্রম বা আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না। অংশ নিতে লজ্জা পাচ্ছে।
কালের কণ্ঠ : রায় নিয়ে কিন্তু বিতর্ক তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আদালত সংসদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল মতিন খসরু : আদালত আদালতের দায়িত্বই পালন করেছেন। এখানে আদালত কোনো নতুন আইন প্রণয়ন করেননি। আদালতের কাছে যাওয়া হয়েছিল পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীর ব্যাখ্যার জন্য। আদালতের ব্যাখ্যা হচ্ছে, সংসদ ছাড়া কোনো ফরমানের মাধ্যমে সংবিধানের কোনো কিছু পরিবর্তন করা যায় না। সংবিধানেই বলা আছে, 'এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসমঞ্জসপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।' কাজেই সামরিক আইন থেকে শুরু করে সব বাতিল হয়ে যাবে। আসলে বিএনপি এখন লজ্জা পাচ্ছে। সামরিক শাসনের ভেতর দিয়েই তো বিএনপির জন্ম। আমরা বলতে চাই_'জন্ম হোক যথা-তথা' সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সামনের দিকে তাকাতে হবে। আর সংঘাতের রাজনীতি নয়। সমঝোতার রাজনীতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা বিএনপিকে আহ্বান করব আর পালিয়ে না থেকে আসুন, যথাযথ ভূমিকা পালন করুন। দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।
কালের কণ্ঠ : সংবিধান সংশোধনের প্রশ্নে বিএনপি গণভোটের কথা বলেছে।
আবদুল মতিন খসরু : হ্যাঁ, বিএনপি গণভোটের কথা বলেছে। কিন্তু অতীতের গণভোটের অভিজ্ঞতা তো আছে আমাদের। তার পরও সংবিধানে গণভোটের কোনো বিধান নেই। অতীতে যে গণভোট করা হয়েছিল, সেটা হয়েছিল সামরিক ফরমানের মাধ্যমে। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের সংবিধানের অভিভাবক এবং চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিএনপি না রোগে ভুগছে। সংসদে আসছে না। আদালতের রায় মানছে না। সংবিদান মানছেন না। এ জন্য একদিন তাদের জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
কালের কণ্ঠ : বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া, বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্রধর্ম, ধর্মরিপেক্ষতা_এসবের সহাবস্থান কেমন করে সম্ভব হবে?
আবদুল মতিন খসরু : এটা সম্ভব। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। ধর্মের স্বাধীনতা আছে।
কালের কণ্ঠ : এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে যদি কিছু বলেন।
আবদুল মতিন খসরু : সময়ের প্রয়োজনে একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনতে হয়েছিল। এখন সেই বাস্তবতা নেই। আগের সেই দুর্বল নির্বাচন কমিশন নেই। নির্বাচন কমিশন এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। উপনির্বাচনগুলো দেখুন। সেদিনের বাস্তবতা আর আজকের বাস্তবতা এক নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী যে কোনো অনির্বাচিত সরকারই অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক সরকার। সেই অনুমালার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার বলা হয়েছে। আমাদের বিশেষ কমিটি সেই রায় মেনে নিয়েছে। তবুও আগামী সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কিভাবে আরও অধিকতর সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা হবে সেই সম্পর্কে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কালের কণ্ঠ : এখানেও তো বিএনপি আপত্তি জানিয়েছে।
আবদুল মতিন খসরু : বিএনপির তো সব কিছুতেই আপত্তি।
কালের কণ্ঠ : আমরা কি ধরে নিতে পারি যে এবারের অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত বিলটি তোলা হবে।
আবদুল মতিন খসরু : অবশ্যই।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
আবদুল মতিন খসরু : আপনাকেও ধন্যবাদ। কালের কণ্ঠের পাঠকদের আমার অভিনন্দন।

No comments

Powered by Blogger.