অ্যাডিলেড টেস্ট-ধবলধোলাইয়ের অপেক্ষায়

জিততে হলে ৪ উইকেটের লেজ নিয়ে তুলতে হবে ৩৩৪ রান। ড্র করতে হলে কাটিয়ে দিতে হবে ৯০টি ওভার। ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে উইকেটে রয়েছেন ‘নৈশপ্রহরী’ ইশান্ত শর্মা। এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জহির খান ও উমেশ যাদব। ভারতের ৪-০-তে হেরে ধবলধোলাই হওয়াটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।


৫০০ রানের লক্ষ্য সামনে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত চতুর্থ দিন শেষে ১৬৬/৬। এর মধ্যেও একটা ‘কৃতিত্ব’, সিরিজে এই প্রথম র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক ১ নম্বর দলটি একটি টেস্ট নিয়ে যেতে পারল পঞ্চম দিনে। তবে তাতে মূল অবদান মাইকেল ক্লার্কেরই। ভারতকে ফলোঅন করালে তো সাড়ে তিন দিনেই ধবলধোলাই সম্পন্ন হয়!
অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অবশ্যই ভারতের কথা ভেবে অমন করেননি। প্রচণ্ড গরমে বোলারদের একটু বিশ্রাম দেওয়াটাই হয়তো ছিল তাঁর লক্ষ্য। কাল লাঞ্চের পর পরই ৫ উইকেটে ১৬৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দেন ক্লার্ক। পন্টিং তখন ৬০ রানে অপরাজিত। ৫৪৪ রানে সিরিজ শেষ করলেন পন্টিং, গড় ১০৮.৮০। যাঁরা সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের শেষ দেখে ফেলেছিলেন, তাঁরাই এখন বলবেন আগামী মার্চ-এপ্রিলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি নিশ্চিততম যাত্রীদের একজন। ক্লার্কের বিদায়ে দিনের প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৩০ রানে নিজের বোলিংয়ে অশ্বিন ক্যাচ ফেলেছেন ক্লার্কের, তবে ৭ রান পরই উইকেটের পেছনে তাঁকে ক্যাচ বানান উমেশ যাদব। সিডনিতে অপরাজিত ছিলেন ৩২৯ রানে, এখানে প্রথম ইনিংসে করেছেন ২১০। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক সিরিজ শেষ করলেন ৬২৬ রান নিয়ে, গড় ১১২.২০।
জয়ের তো প্রশ্নই ওঠে না, ম্যাচ বাঁচানোও প্রায় অসম্ভব—ভারত অন্য রকম কিছু ভাবারও অবকাশ দেয়নি। পঞ্চম ওভারেই পড়ে প্রথম উইকেট, রায়ান হ্যারিসের বলে ৩ রানে কট বিহাইন্ড গৌতম গম্ভীর। তবে ‘নিষিদ্ধ’ ধোনির জায়গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক বীরেন্দর শেবাগের ব্যাটটা শেষ ইনিংসে সম্মান নিয়ে ফেরার প্রত্যয় দেখায় শুরুতেই। নাথান লায়নের অফ স্পিনে আকাশে ক্যাচ তুলে কভারে পন্টিংয়ের হাতে ধরা পড়ার আগে বিস্ফোরক ওপেনার ৫৩ বলে করেছেন ৬২। দ্রাবিড় হ্যারিসের শিকার হওয়ার আগে ৯৫ মিনিট উইকেটে থেকে করেছেন ২৫। তবে এর মধ্যেও তাঁর জন্য একটা ‘স্বস্তি’র ব্যাপার—এবার আর বোল্ড নন, ক্যাচ দিয়েছেন গালিতে। টেন্ডুলকার শততম সেঞ্চুরিটিকে মরীচিকা বানিয়ে ১৩ রানেই ফেরেন সাজঘরে।
এরপর লক্ষ্মণকে নিয়ে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান বিরাট কোহলি একটু লড়াই করেছেন। কিন্তু জুটিতে ৫২ রান ওঠার পর লক্ষ্মণের জন্য দুঃস্বপ্নের সিরিজটি (শেষও কি?) দুঃস্বপ্নই করে রাখেন লায়ন। ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ গালিতে মার্শের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ৩৫ রান। দিনের শেষ ওভারে ইশান্তকে আড়াল করতে অসম্ভব একটি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ২২ রানে রান আউট হয়ে যান কোহলি। পঞ্চম দিন লাঞ্চের আগেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়াটাও বোধহয় নিশ্চিত হয়ে যায় এতে। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।

তিনিও
সিরিজে টেন্ডুলকারের গড় ৩৫.৮৭, অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর সর্বনিম্ন

No comments

Powered by Blogger.