সেই ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের নাঙ্গলভাঙ্গা জলার বড়চর গ্রামে অবৈধভাবে নির্মিত সেই ইটভাটা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল শুক্রবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে ওই ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।


সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে নয়টায় পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন পুলিশ, শ্রমিক ও যন্ত্রপাতি নিয়ে বড়চর গ্রামে হাজির হন। ওই সময়ে নির্মাণাধীন ইটভাটার চুঙ্গির পাশের নিচের অংশ প্রথমে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয়। এরপর একে একে পুরো ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের ২০ জন শ্রমিক ওই কাজে অংশ নেন। দুপুরে ওই ইটভাটা অপসারণ শেষে কয়েকটি গ্রামের মানুষ আনন্দ মিছিল করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন: পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকার উপপরিচালক আবদুল্লাহ হাক্কানী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম, কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক শওকত আরা, সদর দক্ষিণ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলিউল্লাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. মুনীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ইটের ভাটার মালিককে বৃহস্পতিবার ঢাকায় নোটিশ করে ডেকে আনা হয়েছিল। তিনি শুনানিতে এসে পরিবেশ অধিদপ্তরকে চ্যালেঞ্জ করেন। রাজনৈতিক হুমকি প্রদান করেন। আমরা আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। শুক্রবার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। শিগগিরই মামলা ও জরিমানা করব।’
গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম আলোয় ‘এবার জলাধারের মুখ বন্ধ করে ইটভাটা’ শীর্ষক একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার বালুরচর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল হাসান মজুমদার ওরফে বাকেরকে ঢাকায় ডেকে নেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। সেখানে শুনানিতে বাকের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং কোনো ধরনের জরিমানা দিতে রাজি হননি।

No comments

Powered by Blogger.