উইকিলিকস-জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ by মশিউল আলম

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের এগারো মাসের আইনি লড়াই এখন এক জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত ২ নভেম্বর ব্রিটিশ হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর সুইডেনে তাঁর প্রত্যর্পণ প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠল। রায় ঘোষণার পরের ১৪ দিনের মধ্যে তাঁকে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে।


আট দিন পেরিয়ে গেছে, এখনো নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি যে অ্যাসাঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করবেন। অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে তিনি আপিল আবেদন করতে পারবেন না—এমন আশঙ্কা অনেকে ব্যক্ত করেছেন। ভিসা, মাস্টারকার্ড, পেপল, আমাজন, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও ব্যাংক অব আমেরিকা—ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থ লেনদেনকারী এসব প্রতিষ্ঠান একযোগে উইকিলিকসের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উইকিলিকসের সমর্থকেরা ওয়েবসাইটটিকে চাঁদার অর্থ পাঠাত। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো উইকিলিকসকে সেবা দেওয়া বন্ধ করার পর উইকিলিকসের অর্থ সংগ্রহের ৯৫ ভাগ পথই রুদ্ধ হয়ে গেছে। উইকিলিকসের ব্যয় এত দিন মেটানো হচ্ছিল তাদের জমানো অর্থ থেকে। তা এত দিনে ফুরিয়ে এসেছে। তাই গত ২৬ অক্টোবর থেকে ওয়েবসাইটটি প্রকাশনা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। উইকিলিকস ও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্যে ১১ মাস ধরে চলছে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ মামলা। এ মামলা পরিচালনার ব্যয় বিপুল; ইতিমধ্যে তাঁর উকিল-বাহিনীর পাওনা হয়েছে অনেক টাকা। আত্মজীবনী প্রকাশের জন্য তিনি লন্ডনের এক প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে পাঁচ লাখ পাউন্ড অগ্রিম নিয়েছিলেন। মামলার খরচ চালানো ও উইকিলিকসকে সচল রাখতে গিয়ে সেই অর্থ এখন প্রায় নিঃশেষ।
অ্যাসাঞ্জ ভেবেছিলেন, হাইকোর্টই হবে তাঁর মামলার শেষ ধাপ: ব্রিটিশ হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের প্রত্যর্পণ ওয়ারেন্ট নাকচ করে দেবেন। কিন্তু তা যখন হলো না, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা চালিয়ে যাওয়ার অর্থ অ্যাসাঞ্জ কী করে সংগ্রহ করবেন? তাই অনেকের ধারণা, অ্যাসাঞ্জ অর্থের অভাবেই সুপ্রিম কোর্টে আপিলের আবেদন করতে পারবেন না। তবে তাঁর কিছু বিত্তবান বন্ধু ও সমর্থক আছেন, তাঁরা এই ঘোর সংকটের মুহূর্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। তাঁদের সহযোগিতায় অ্যাসাঞ্জ যদি আপিল আবেদন করতে পারেনও, তাতে কোনো ফল না-ও হতে পারে। কারণ, ব্রিটেনের সর্বোচ্চ আদালত ধর্ষণ বা যৌন অসদাচরণের মতো ব্যক্তিগত বিষয়ের মামলা সাধারণত আমলে নেয় না; দেশের শাসনতন্ত্র বা জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বড় বড় বিষয় তার বিবেচ্য। ফলে, অনেকেই আশঙ্কা করছেন (অ্যাসাঞ্জের শত্রুরা আশা করছেন) যে অ্যাসাঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে আপিলের অনুমতি চাইলে সুপ্রিম কোর্ট তা নাকচ করে দেবে। তা-ই যদি ঘটে, তাহলে অ্যাসাঞ্জের আর ব্রিটেনে অবস্থানের কোনো সুযোগ থাকবে না, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে সুইডেনে পাঠিয়ে দেবে। সুইডেনে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে এক বিরাট বিপদ।
সুইডেনে কথিত যৌন অসদাচরণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ভীষণ লাঞ্ছনাকর পরিস্থিতিতে ফেলা হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি কথা বলতে ভীষণ অস্বস্তি বোধ করেন। মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএন গত বছর তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটি থেকে উঠে চলে যান। এখন সুইডেনে গিয়ে তাঁকে মুখোমুখি হতে হবে দুই তরুণীর সঙ্গে তাঁর দৈহিক সংসর্গের খুঁটিনাটি নিয়ে হাজারো প্রশ্নের। এটা তাঁর জন্য অবশ্যই খুব বিব্রতকর হবে। তা ছাড়া, সুইডেনের নারী অধিকারসংক্রান্ত আইনগুলো ভীষণ কঠোর, অ্যাসাঞ্জের ধারণা হয়েছে দেশটির নারীবাদী অ্যাকটিভিস্টদের একটা বড় অংশ পুরুষবিদ্বেষী। সুইডেনকে তিনি বলেন ‘সৌদি অ্যারাবিয়া অব ফেমিনিজম’; তাঁর বিশ্বাস, দেশটিতে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না।
কিন্তু যেসব অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অ্যাসাঞ্জকে পাকড়াও করে সুইডেনে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ চলছে (এখনো কোনো চার্জশিট বা অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়নি), সেগুলো খুব গুরুতর অপরাধের অভিযোগ নয়। শারীরিক মিলনের সময় সুরক্ষাব্যবস্থা বিপন্ন হলে এক তরুণী অ্যাসাঞ্জকে থামতে বলেন, কিন্তু অ্যাসাঞ্জ থামেননি—এই অভিযোগ এনে বলা হচ্ছে এটা ধর্ষণের শামিল অপরাধ (মাইনর রেপ)। আরেক তরুণীর অভিযোগ, অ্যাসাঞ্জ তাঁর সঙ্গে কাজটি করেছেন যখন তিনি (ওই তরুণী) ঘুমিয়ে ছিলেন এবং অ্যাসাঞ্জ সে সময় কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা নেননি। এটাকে বলা হচ্ছে ‘সেক্সুয়াল কোয়ের্শান’ বা যৌন বলপ্রয়োগ।
অ্যাসাঞ্জ যদিও সব সময় দাবি করে আসছেন যে দুই তরুণীর (দুজনই উইকিলিকসের সমর্থক ও অ্যাসাঞ্জের ভক্ত) সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে তাঁর যা কিছু ঘটেছে, উভয় পক্ষের সম্মতিতেই ঘটেছে, কোনো অপরাধ তিনি করেননি, তবু তিনি মামলায় হেরে যেতে পারেন। কারণ, যেসব পরিবেশ-পরিস্থিতিতে ওই দুই তরুণীর সঙ্গে তাঁর দৈহিক সংসর্গ ঘটেছে, তাতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার মতো কোনো সাক্ষ্য-আলামত অ্যাসাঞ্জের হাতে নেই। উপরন্তু সুইডিশ পুলিশ যখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো তলব করল, তখন তিনি তাদের মুখোমুখি না হয়ে লন্ডনে আত্মগোপন করে রইলেন—এটাও তাঁকে আইনি যুক্তিতর্কের দিক থেকে দুর্বল অবস্থানের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কারণ, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অ্যাসাঞ্জ যদি নিজেকে নির্দোষই মনে করেন, তাহলে সুইডিশ পুলিশের মুখোমুখি হয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জবাব দিতে তাঁর আপত্তি কেন? মোটকথা, দুই সুইডিশ তরুণীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সক্ষম হবেন—এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। যেহেতু এখনো অভিযোগপত্র গঠন করা হয়নি, তাই বলা কঠিন দোষী প্রমাণিত হলে অ্যাসাঞ্জের কী শাস্তি হতে পারে। তবে কোনো কোনো আইনবিশারদ বলেছেন, মাইনর রেপ ও সেক্সুয়াল কোয়ের্শানের দায়ে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে দুই বছরের কারাদণ্ড।
উইকিলিকসের প্রাণপুরুষ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘ দুই বছর বন্দী হয়ে থাকবেন সুইডেনের কারাগারে—এর চূড়ান্ত ফল দাঁড়াবে ওয়েবসাইটটির নিশ্চিত অকালমৃত্যু। এই বিপদ অবশ্যই এড়াতে চান জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কিন্তু চূড়ান্ত বিপদের তুলনায় বছর দুয়েকের কারাবাস তাঁর কাছে কিছুই নয়। তিনি বেশ ভালো করে জানেন, তাঁর শত্রুরাও বিশ্বাস করে না যে দুই সুইডিশ তরুণীর সঙ্গে তাঁর যৌন অসদাচরণের শাস্তি দিতেই তাঁর বিরুদ্ধে এত আয়োজন। তিনি জানেন, এটা একটা অজুহাত মাত্র। আসল মতলবটা হলো তাঁকে শেষ পর্যন্ত আমেরিকার মাটিতে হাজির করা।
লন্ডনের হাইকোর্টে অ্যাসাঞ্জের উকিলেরা তাঁর সুইডেনে প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করতে গিয়ে যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলোর একটা হলো, তাঁকে সুইডেনে পাঠানো হলে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করবে তাঁকে সেই দেশে নিয়ে যেতে; যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জের ওপর নির্যাতন চালানো হবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা করে তাঁকে অন্যায়ভাবে দণ্ড দেওয়া হবে। সুইডেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে, তার একটি বিধান হলো, সুইডেনে বিচারাধীন কোনো আসামিকেও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী প্রত্যর্পণ করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন গত ডিসেম্বর থেকে ভাবছে, দেশটির গুপ্তচরবৃত্তি-সংক্রান্ত আইন এসপাইয়োনেজ অ্যাক্টের আওতায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করাবে; এ আইনে দণ্ডিত কোনো ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মার্কিন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা অ্যাসাঞ্জকে ‘হাই-প্রোফাইল টেরোরিস্ট’ আখ্যা দিয়েছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, অ্যাসাঞ্জকে সুইডেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার পর তাঁকে পাঠানো হবে কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগারে। সেখানে বন্দী করে রেখে তাঁর বিচার চলবে এসপাইয়োনেজ অ্যাক্টের অধীনে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই মতলব সম্পর্কে সচেতন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বরাবর বলে আসছেন, দেশটিতে যদি আইনের শাসন আর সংবিধানের প্রথম সংশোধনী কার্যকর থেকে থাকে, তবে তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে কোনো মামলাই হবে না। কারণ, তিনি একজন প্রকাশক; গোপন মার্কিন নথিপত্র তিনি প্রকাশ করেছেন মাত্র, গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে হস্তগত করেননি। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রকাশককে কোনো কিছু প্রকাশ করার দায়ে শাস্তি পেতে হয়নি। ১৯১৭ সালের আইন এসপাইয়োনেজ অ্যাক্টকে বলা হয় একটি অচল আইন, যার কোনো প্রয়োগ আর নেই বললেই চলে। তা ছাড়া, আইনটি প্রকাশনা কর্মকাণ্ড ও প্রকাশকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। এসব ছাড়াও অ্যাসাঞ্জ যে যুক্তিটি তুলে ধরছেন তা হলো, মার্কিন গোপন নথিপত্র প্রকাশের দায়ে যদি তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়, তবে দেশটির শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস-এর জন্যও একই রকমের শাস্তি প্রযোজ্য হবে। কারণ, উইকিলিকসের দেওয়া তথ্যগুলো নিউইয়র্ক টাইমসও প্রকাশ করেছে।
মার্কিন সেনাসদস্য ব্র্যাডলি ম্যানিং ও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মধ্যে সংযোগ ছিল, অ্যাসাঞ্জ ম্যানিংকে গোপন নথিপত্র চুরি করে পাচার করতে প্ররোচিত করেছেন এবং ম্যানিংই সব মার্কিন গোপন নথিপত্র অ্যাসাঞ্জকে দিয়েছেন—এটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। কিন্তু এ পর্যন্ত তাঁরা ম্যানিং ও অ্যাসাঞ্জের মধ্যকার কোনো সংযোগসূত্র চিহ্নিত করতে পারেননি। অ্যাসাঞ্জ কখনো বলেননি উইকিলিকস গোপন মার্কিন নথিপত্র কীভাবে পেয়েছে। উইকিলিকস ওয়েবসাইটে এমন ব্যবস্থা আছে, যেকোনো ব্যক্তি নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে যেকোনো নথিপত্র, ভিডিওচিত্র বা অডিও রেকর্ড আপলোড করতে পারে। তাই, অ্যাসাঞ্জ যদি জেনেও থাকেন কে তাঁকে নথিগুলো দিয়েছে, তিনি সংগতভাবেই দাবি করতে পারেন যে তিনি তা জানেন না। তিনি জানেন কিন্তু বলছেন না, এটা প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব।
কিন্তু এসব সত্ত্বেও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। কারণ, তিনি স্পষ্টতই পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, এমনকি তাঁর স্বদেশ অস্ট্রেলিয়ার সরকারসহ বিশ্বের বড় বড় করপোরেশন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচণ্ড রোষানলে। তাঁকে ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত উইকিলিকসকে ধ্বংস করে দিতে একসঙ্গে চলছে বহুমুখী আক্রমণ। ইউরোপ বা যুক্তরাজ্যের তথাকথিত আইনের শাসন তাঁর পক্ষে খুব একটা কাজ করছে না; প্রথমে যুক্তরাজ্যের একটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও পরে হাইকোর্টের আদেশে ১১ মাস ধরে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে খাঁচাবন্দী জন্তুর মতো। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনো চার্জই গঠন করা হয়নি, সুইডেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে মাত্র। যুক্তরাজ্যেই যদি এই অবস্থা, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জকে কী পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে। আইনের শাসন, সংবিধানের প্রথম সংশোধনী—কিছুরই তোয়াক্কা করবেন না বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির শাসকেরা।
অ্যাসাঞ্জ নিজে এসব বেশ ভালোভাবে জানেন ও বোঝেন। কিন্তু তিনি ঘাবড়ানোর পাত্র নন। আজন্ম যোদ্ধা তিনি, ঘাবড়ে যাওয়ার উপায় তাঁর নেই। তিনি সারা পৃথিবীর জনগণকে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
mashiul.alam@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.