টিআর-কাবিখার বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন হওয়ার কথা যেভাবে

জনসংখ্যা, দরিদ্রতা ও আয়তনের অনুপাতের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় খাদ্য ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমে সাধারণ ও বিশেষ দুভাবে টিআর ও কাবিখার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সাধারণ বরাদ্দ দেওয়া হয় সরাসরি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে। আর বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয় সাংসদদের অনুকূলে।


সাধারণ বরাদ্দ: জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও ও পৌরসভার মেয়রদের কাছ থেকে বরাদ্দের বিপরীতে প্রকল্প তালিকা চাওয়া হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির সভায় প্রাপ্ত বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে ভাগ করে দেন। ইউনিয়ন কমিটি প্রকল্প তালিকা অনুমোদন করে পাঠায় উপজেলা কমিটির কাছে। উপজেলা কমিটি যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের জন্য তালিকা পাঠায় জেলা প্রশাসকের কাছে। জেলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক প্রকল্প তালিকা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে পাঠান উপজেলায়।
বিশেষ বরাদ্দ: এলাকার নির্বাচিত সাংসদ ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদদের অনুকূলে সরাসরি বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প বাছাই, গ্রহণ, কমিটি গঠন সবকিছুই সাংসদদের অনুমোদনক্রমে হয়ে থাকে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন ধাপ: সাধারণ ও বিশেষ উভয় বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি প্রকল্পের বিপরীতে পাঁচ-সাত সদস্যের প্রকল্প কমিটি জমা নেওয়া হয়। এরপর ইউএনও বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য-টাকা এক বা একাধিক কিস্তিতে উত্তোলন-ছাড় আদেশ (ডিও) প্রদান করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) টিআর ও কাবিখা কর্মসূচি তদারক করেন।
বরাদ্দ পাওয়ার ২০ দিনের মধ্যে টিআরের কাজ শুরু ও পরবর্তী এক মাসের মধ্যে শেষ করার নিয়ম। আর কাবিখার ক্ষেত্রে ৬০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার বিধান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ না হলে বা কাজ না করে বরাদ্দ আত্মসাৎ করলে প্রকল্প কমিটির কাছে একক মূল্য ফেরত চাওয়ার নিয়ম রয়েছে। ৪৫ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে দ্বিগুণ মূল্য জরিমানা আদায় ও এতেও ব্যর্থ হলে কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করার নিয়ম রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.