মূল রচনা-ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প by উজ্জ্বল দাশ

সড়ক দুর্ঘটনায় চলনশক্তিহীন হয়ে পড়েছিলেন বুলবুল। প্রবল আত্মবিশ্বাস আর তীব্র জীবনীশক্তির জোরে সেই বুলবুলই এখন গ্রেট ব্রিটেন হুইলচেয়ার রাগবি দলের অন্যতম ভরসা। আসছে লন্ডন প্যারা অলিম্পিকে সোনা জেতার স্বপ্নই দেখছে বুলবুলের দল। সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় তাঁর পূর্ব লন্ডনের বাসায় বসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বুলবুল হোসেইন শোনালেন তাঁর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।


বুলবুলের যখন ১২ বছর বয়স তখন যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমায় তাদের পরিবার। পড়াশোনার পাশাপাশি বুলবুলের শখ ছিল গাড়ির খুঁটিনাটি কাজ শেখার। সেই আগ্রহ থেকেই একসময় ভর্তি হন কার মেকানিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় নিজের ওপর দায়িত্ব ছিল। শেখা আর উপার্জন—দুটোরই ব্যবস্থা করে দিল গাড়ির গ্যারেজে চাকরি। বাদ যায়নি বন্ধুদের নিয়ে এদিক-ওদিক চষে বেড়ানো, দিনভর আড্ডাবাজি। এভাবেই দিন যাচ্ছিল। তারপর? এল ১৯৯৪ সাল। সেই দুঃসহ সময়ের গল্পটা শুনুন বুলবুলের মুখেই, ‘১৯৯৪ সালের মাঝামাঝি আমরা পুরো পরিবার দেশে যাই ছুটি কাটাতে। আট বছর পর দেশে ফিরে আমার ছুটোছুটি দেখে কে! গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে তখনো বিদ্যুতের আলো আসেনি। সন্ধ্যার পর কিছু করার থাকে না। বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন, জেনারেটর কিনবেন আর সে জন্যই ঢাকায় যাবেন। নাছোড়বান্দা আমাকে বাবা বাড়ি রেখে যেতে পারেননি। ঢাকায় পৌঁছে বাবা ঘোরেন জেনারেটরের খোঁজে আর আমার চোখ খোঁজে গাড়ির শোরুম। জেনারেটর কেনা হলো। এদিকে আমার মনের ইচ্ছা টের পেয়ে গেলেন বাবা। আমার পছন্দে শোরুম থেকে হোন্ডা সিরিজের গাড়ি কেনা হলো।
নতুন গাড়ি আর রাস্তাঘাটের অবস্থা চিন্তা করে শোরুমের মালিক আমাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভার সঙ্গে দিলেন। চাচাতো ভাই আর আমি নতুন গাড়ি করে ফিরছি; বাবা পেছনের মাইক্রোবাসে। শুরু থেকেই ড্রাইভার বেপরোয়া। সামনে বসে রীতিমতো ভয় পাচ্ছিলাম। আমি বললাম, “ভাই, এমন রাস্তায় এত জোরে চালানো ঠিক না, গতি কমান।” কথা শেষ হয়েছিল কি না মনে নেই, জায়গাটার নামটাও ভুলে গেছি। নরসিংদীর কাছাকাছি কোথাও ঢাকামুখী মিতালি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ল আমাদের গাড়ি। গাড়ি কেটে আমাকে বের করা হয়েছিল, কথা বলতে পারছিলাম কিন্তু শরীর একচুলও নড়াতে পারছিলাম না।’
সম্ভবত আধঘণ্টা পর পেছনে থাকা বুলবুলের বাবার মাইক্রোবাসটি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দেরি না করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে। পর পর দুটো হাসপাতালে এক্স-রে করা হলো, কিছুই ধরা পড়ছিল না। এরপর প্রায় এক মাসের ওপর নানা ক্লিনিক-হাসপাতালে ঘুরেও অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। নানা চেষ্টা-তদবির করেও কারও কাছ থেকে লন্ডনে ফেরার ছাড়পত্রের ব্যবস্থা হচ্ছিল না। শেষতক সাভারে সিআরপিতে নিয়ে যাওয়া হয় বুলবুলকে। চিকিৎসক জানালেন, আর কোনো দিন উঠে দাঁড়াতে পারবেন না বুলবুল। বাকি জীবনটা বিছানায় শুয়েই কাটাতে হবে তাঁর।
বুলবুল বলে যান, ‘আমার চোখে ভাসছিল ফেলে আসা আমার গ্রাম, লন্ডনের অলিগলি, প্রিয় গ্যারেজ আর গাড়ির কথা ভাবতেই চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল। বারবার মনে হচ্ছিল, আমি কেন বেঁচে গেলাম। নিজেকে নিজে মেরে ফেলার উপায়ও আমার নেই। বিছানায় পড়ে থেকে আমার শরীরের একটা অংশে পচন ধরে, শরীর শুকিয়ে একেবারে জীর্ণ হয়ে যায়।’

হুইল চেয়ারের জীবন
হ্যাঁ, হয়তো মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন বুলবুল। এর মধ্যেই হঠাৎ একদিন সিআরপিতে ঘুরতে এলেন এক ব্রিটিশ নার্স দম্পতি। বুলবুল লন্ডন থাকেন শুনে তাঁকে দেখতে এলেন। তাঁদেরই উদ্যেগে ‘মেডিকেল ক্লিয়ারেন্স’ মিলল। সপ্তাহের মধ্যে বুলবুল চলে গেলেন সিআরপি থেকে যুক্তরাজ্যের বাকিংহামশায়ার স্টক ম্যাডিভ্যাল হাসপাতালে। স্পাইনাল সমস্যার জন্য নামকরা এই হাসপাতালে নানা পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানালেন, সময় লাগবে। তবে বুলবুল অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠবেন। জানা গেল, দুর্ঘটনার সময়ই বুলবুলের স্পাইনাল কর্ড ভেঙে গেছে। চিকিৎসকেরা নির্দেশ দিলেন বুলবুলের সামনে তিনি ভেঙে পড়তে পারেন এমন কিছু না বলতে। সব সময় তাঁকে প্রচণ্ড সাহস জোগাতে; যেন আবার বেঁচে থাকার ইচ্ছে খুঁজে পান তিনি। কিন্তু বুলবুল কী ভাবছিলেন?
‘একবার বেঁচে থাকার আনন্দ হারিয়ে ফেলা মানুষের যা হয়, কারও কথা আমার বিশ্বাস হয় না। মেজাজ খারাপ করে নানা খিস্তিখেউর, অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীনের মতো অবস্থা হয়েছিল। হাসপাতালে আমার দেখভালের জন্য সীমাহীন কষ্ট করেছে আমার ছোট ভাই মামুন। আমি আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠব, গ্যারেজে যাব, শেষ করতে পারব পড়াশোনা, এমন কথা কি গল্প বলত।
সত্যি বলতে কি, চিকিৎসক আমার সুচিকিৎসা দিয়েছেন ঠিকই, আমার ভাই মামুন আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছে। লন্ডনে আসার ছয় মাসের মধ্যে আবার আমি নিঃস্ব হয়ে পড়ি, যখন হাসপাতালে শুয়েই জানতে পারি, আমার ভাই মামুন নেই! আমাকে দেখতে আসার পথে লন্ডনের এক হাইওয়েতে দুই বন্ধুসহ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।
পরপর দুটো অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড়ে আমার পরিবার পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। ’
এদিকে, আর্থিক অবস্থাও দিনে দিনে খারাপ হতে শুরু করে বুলবুলদের।
১৯৯৭ সালের প্রথম দিকে বুলবুল ফিরে আসেন তাঁর পরিবারের মধ্যে। সঙ্গী হুইলচেয়ার। ঘরে বসে থাকতে থাকতে যেন অধৈর্য না হয়ে পড়েন, সে জন্য বুলবুলকে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সত্যি কথা, সময় আর কাটেই না। বন্ধুরা দেখতে আসে, তাদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে। যখন ভাবেন তিনি আর আগের তিনি নেই, নিজে থেকে দমে যান।
বুলবুলের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ছোট একটি ঘটনা। ঘটনাটি ১৯৯৮ সালের। সে বছর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লন্ডন হুইলচেয়ার রাগবি দলের ট্রেনিং ক্যাম্পে। যদি তিনি এর মাঝে কোনো আনন্দ খুঁজে পান— এই আশায়। কোচ স্টিভ বুলবুলকে বললেন, চেষ্টা করে দেখো; হাতে যদি চেয়ার চালিয়ে ফোসকা না পড়ে, তাহলে তোমাকে দিয়ে হবে না।
‘শুনে আমার মনে জিদ চাপে, মনে-প্রাণে চেষ্টা করি। খেলার মাঠে হাতে ফোসকা না ওঠায় আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। তারপর বাসায় ফিরে হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি বিরাট ফোসকা; কষ্ট পাওয়ার চেয়ে আমি মনে মনে খুশি হই’ বলছিলেন বুলবুল। ভাবলেন, পরদিন আবার ট্রেনিংয়ে যাবেন কিন্তু এর জন্য বিশেষ হুইলচেয়ার দরকার। নিজের সামর্থ্য নেই প্রায় চার হাজার পাউন্ড দিয়ে চেয়ার কেনার। আত্মীয়স্বজনের কাছে চাইবেন, তা-ও মন সায় দেয় না। দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রিন্স ট্রাস্টে হুইলচেয়ারের জন্য সাহায্য চেয়ে আবেদন করলেন। আড়াই হাজার পাউন্ড মঞ্জুর হয় তাঁর জন্য।

লন্ডন হুইলচেয়ার রাগবি দল
শুরু হয় লন্ডন হুইলচেয়ার রাগবি দলকে ঘিরে বুলবুলের বেঁচে থাকার স্বপ্ন। নিজেকে ট্রেনিংয়ে ব্যস্ত রাখেন, খেলা না থাকলে বাসার কাছের পার্কে চেয়ার নিয়ে ছুটে যান। তাঁর চেষ্টা, একাগ্রতায় কোচ খুশি হন। দেশের ভেতর ছোটখাটো টুর্নামেন্টে খেললেন শুরুতে, বিভিন্ন দেশে ক্লাব পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গেলেন; সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময়। ২০০৬ সালে সুযোগ এল সুইজারল্যান্ডে ইংল্যান্ড জাতীয় হুইলচেয়ার রাগবি দলের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার। দলীয় ফলাফল রানারআপ; ব্যক্তিগত ঝুলিতে ১.০ ক্যাটাগরিতে বেস্ট ইন ইউরোপ। কিন্তু এই ১.০-এর বিশেষত্ব?
বুলবুল বুঝিয়ে বলেন, ‘হুইলচেয়ার রাগবি খেলায় একটি দলের মোট পয়েন্ট হবে খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের ভিত্তিতে করা শ্রেণীবিন্যাসের মাধ্যমে মোট আট পয়েন্ট। ০.৫ থেকে ৩.৫ পর্যন্ত হতে পারে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অবস্থান; যেখানে আমি ১.০। যেকোনো দলের চারজন করে খেলোয়াড় খেলতে শুরু করবেন। দলের প্রয়োজনে অদলবদল হবে ৩২ মিনিটের খেলায়।’
এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বুলবুল হোসেইনকে। দুবার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ওয়ার্ল্ড বেস্ট (১.০) নির্বাচিত হন। গ্রেট ব্রিটেন প্যারা অলিম্পিক হুইলচেয়ার রাগবি টিমের হয়ে খেলেছেন বেইজিং প্যারা অলিম্পিক। বেইজিংয়ের কথা বলতেই শোনালেন দল চূড়ান্ত করার আগের উত্তেজনাপূর্ণ দিনগুলোর কথা।
‘আমি ছাড়া দলের সবাই শ্বেতাঙ্গ, অপেক্ষমাণ তালিকায়ও আমার মতো কেউ নেই। অনেক কঠোর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে অলিম্পিকের দলে জায়গা হয় আমার। বেইজিংয়ে দলীয় নানা সমস্যায় আমরা খালি হাতে ফিরেছি। জেদ চাপে, নিজের বাড়ির আঙিনায় আগামী আগস্ট মাসে বসছে প্যারা অলিম্পিকের আসর। নিজেকে উজাড় করে প্রস্তুতি নিচ্ছি, চোখ সোনার দিকেই। আর এটিই হয়তো আমার শেষ অলিম্পিক।’
২০০০ সালে বিয়ে করেন বুলবুল। স্ত্রী শেফা বেগম। স্বামীর ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন শেফা।
আলাপচারিতার শেষ দিকে বুলবুলের দুই পুত্র রেজোয়ান (১০) ও ইকরামকে (৫) নিয়ে বসার ঘরে হাজির হলেন বুলবুলের মা লিলি বেগম (৬২)। বললেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় এক ছেলে হারিয়েছি, মৃত্যুর হাত থেকে কোনোভাবে বাঁচল বুলবুল। দীর্ঘ কষ্টের দিন পার করে আমার ছেলে এখন অন্য দশজনকে সাহস জোগাচ্ছে, এটাই আমার গর্ব। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয় সড়ক দুর্ঘটনায়। ’
ওঠার আগে লন্ডন প্যারা অলিম্পিকের পর কী করবেন, এমন প্রশ্নে বুলবুল শোনালেন অন্য গল্প।
‘আমি বেড়ে উঠেছি বাংলাদেশের কাদামাটির গন্ধ মেখে। দুর্ঘটনায় আমার স্বাভাবিকত্ব হারিয়েছি ঠিক, হারাইনি আমার নাড়ির টান। বেইজিং প্যারা অলিম্পিকের উদ্বোধনী প্যারেডে গ্রেট ব্রিটেন দলের পাশেই উড়ছিল বাংলাদেশের পতাকা। খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম, ভেতরের আমিটা দৌড় দিতে চাইছিল আমার পতাকার নিচে। সুযোগ আসুক কিংবা না-ই আসুক; আমার চেষ্টা থাকবে একবার প্যারা অলিম্পিকে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর।
আমার অভিজ্ঞতায় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা একটু সহযোগিতা পেলে বিশ্বের যেকোনো হুইলচেয়ার রাগবি দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। আমি সেই স্বপ্নই দেখি।’
বুলবুলকে নিয়ে গর্বিত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তক ফ্রিম্যান সিটি অব লন্ডন খেতাবপ্রাপ্ত এনান আলী বলছিলেন, প্যারা অলিম্পিকে বুলবুলই আমাদের দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের স্বপ্ন। জীবনের দীর্ঘ কঠিন সময় তিনি পার করে এসেছেন। শুধু বাঙালি বলে নয়, বুলবুল যেকোনো দেশের, যেকোনো মানুষের জন্যই বেঁচে থাকার এক অনুপ্রেরণার নাম।

হুইলচেয়ার রাগবি
হুইলচেয়ার রাগবি প্রথম চালু হয় কানাডায়। শারীরিক অক্ষমতা আছে এমন খেলোয়াড়েরা এই খেলায় অংশ নিতে পারেন। খেলাটি বিশ্বের ২০টির বেশি দেশে খেলা হয় এবং প্যারা অলিম্পিকে এই খেলাটি অন্তর্ভুক্ত।
হুইলচেয়ার রাগবি একটি ইনডোর গেমস। শক্ত কাঠের বোর্ডের ওপরে এই খেলা হয়। প্রতি দলে ১২ জন খেলোয়াড় থাকেন। বল নিয়ে একজন খেলোয়াড় তাঁর হুইলচেয়ারের দুই চাকা গোল লাইন অতিক্রম করাতে পারলে গোল হয়। শারীরিক অক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে একজন খেলোয়াড়কে পয়েন্ট দেওয়া হয় (০.৫-৩.৫)। একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারজন খেলোয়াড় মাঠে থাকতে পারবেন। তাঁদের সম্মিলিত অক্ষমতার পয়েন্ট (ডিজঅ্যাবিলিটি পয়েন্ট) আটের বেশি হতে পারবে না। সূত্র: উইকিপিডিয়া

‘বুলবুল দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়’
ও‘করনার
কোচ, গ্রেট ব্রিটেন প্যারা অলিম্পিক হুইলচেয়ার রাগবি টিম

বুলবুলকে আমি চিনি বেইজিং অলিম্পিকের আগ থেকেই। খুবই পরিশ্রমী, আত্মবিশ্বাসী একজন খেলোয়াড় বুলবুল। হুইলচেয়ার রাগবিতে ১.০ শ্রেণীতে সারা বিশ্বের বুলবুল সামনের সারির একজন। আসছে প্যারা অলিম্পিকে আমাদের গ্রেট ব্রিটেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ, সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় ওই।

No comments

Powered by Blogger.