মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ড-সন্দেহভাজন আরো দুজন গ্রেপ্তার, এসপির অস্বীকার by সুমন বর্মণ,

রসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোর ৪টায় শহরের সাটিরপাড়া কুমিল্লা কলোনি থেকে কাজী আলম (৪৫) ও কবির হোসেন (২৫) নামের দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে। তবে পুলিশ সুপার খন্দকার মুহিদ উদ্দিন দুজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এদিকে গ্রেপ্তার কাজী আলমের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
কাজী আলমের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, 'সোমবার ভোরে একদল সাদা পোশাকের লোক নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদের বাসায় প্রবেশ করে। তারা আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। এ সময় বাসায় থাকা আমাদের পালিত কবির হোসেনকেও নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। আমার স্বামীকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানায়নি পুলিশ। আমি তার অপেক্ষায় আছি।' কাজী আলমের ভাই কাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, 'আমরা এসপি অফিসে অনেক চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। পুলিশ আমাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। আলম অসুস্থ, আমি তাকে ওষুধও দিতে পারিনি।' তিনি বলেন, 'আমরা চিন্তিত। এখনো বুঝতে পারছি না কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নামে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই। সে লোকমান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও নয়।'
পুলিশ সুপার খন্দকার মুহিদ উদ্দিন গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে বলেন, 'বেশ কয়েকটি টিম লোকমান হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে কাজ করছে। তারা এলে বলতে পারব।'
প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত মেয়রের ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা করে। হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 

No comments

Powered by Blogger.