আদমদীঘিতে তালাবদ্ধ ঘর থেকে চার শ্রমিক উদ্ধার, মালিক গ্রেপ্তার

গুড়ার আদমদীঘিতে ইটখোলার একটি ঘরে চার দিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা চার শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ইটখোলার মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটকে রাখা ওই শ্রমিকদের কয়েক দিন ধরেই বেদম মারধর করা হয় বলে তাঁদের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।উদ্ধারকৃত শ্রমিকরা সবাই কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গমবাড়ী গোড়াইরঘুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হচ্ছেন সাজু


মিয়া (৩৫), শাহ আলম (৩২), ফেরদৌস (২৫) এবং তোফায়েল হোসেন (৩৮)। এ সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এমডিবি ইটখোলার মালিক ও উপজেলার সান্তাহার নামা পৌওতা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম।
দায়েরকৃত মামলা ও উদ্ধার পাওয়া শ্রমিকদের কাছে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কাচকুল নামক স্থানে জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর ভাই দস্তগীর আলমসহ এমডিবি মার্কা ইটখোলা পরিচালনা করে আসছেন। সেখানে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকদের এনে কাজ করানো হতো। সম্প্রতি মজুরির টাকা নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ কারণে ওই চার শ্রমিক গত ২৪ নভেম্বর কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বাড়ি যাওয়ার বিষয়টি মোবাইল ফোনে পরিবারের কাছেও জানান তাঁরা।
উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা জানান, বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পেঁৗছলে ইটখোলার মালিক সেখানে গিয়ে তাঁদের পথ আটকায়। মজুরির টাকা দিতে আর কোনো সমস্যা হবে না_এমন আশ্বাস দিয়ে পুনরায় ইটখোলায় ফিরিয়ে আনেন তাঁদের। ইটখোলায় পেঁৗছার পর পরই তাঁদের বেদম মারধর শুরু করেন ইটখোলার মালিক দুই ভাই। এরপর একটি কক্ষে তাঁদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। গত চার দিন তাঁদের ওই ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। বরং প্রতিদিনই তাঁদের মারধর করা হয়েছে। এদিকে বাড়িতে না ফেরায় শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন তাঁদের খোঁজে ইটখোলায় এসে আটক রাখার বিষয়টি জানতে পারে। গতকাল সোমবার দুপুরে তারা আদমদীঘি থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে চার শ্রমিককে উদ্ধারসহ ইটখোলার মালিককে গ্রেপ্তার করে।
আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শ্রমিকরা এ বিষয়ে মামলা করেছেন। মামলার অপর আসামি দস্তগীর আলমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

No comments

Powered by Blogger.