ইউরোপিয়ান ফুটবল-ইব্রার শততম গোলের রাতে উজ্জ্বল মিলান

কটা মাত্র গোল দরকার ছিল জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের। তিনি করলেন দুটো! ব্যস, হয়ে গেল সিরি এ'তে তাঁর গোলের সেঞ্চুরি! পরশু রাতে মিলানের হয়ে ইব্রার এ জোড়া গোলের সঙ্গে আরো দুটো গোল করেছেন তাঁর সতীর্থ থিয়াগো সিলভা আর আলেজান্দ্রে পাতো। শিয়েভো ভেরোনার বিপক্ষে মিলানের জয়ের ব্যবধানটাও তাই বেশ বড়, ৪-০ গোলের। মৌসুম শুরুর দিকে পারফরম্যান্সে যে মলিন ভাবটা ছিল সেটা কাটিয়ে উঠে এরই মধ্যে পয়েন্ট তালিকায়


দ্বিতীয় স্থানেও উঠে এসেছে মিলান। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৪। মিলানের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সিরি এ'র শীর্ষস্থানটা আগের মতোই জুভেন্টাসের।
পারফরম্যান্স খুব একটা উজ্জ্বল হয়নি তবে কোনোরকমে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয়েছে মিলানের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানেরও। পরশু রাতে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে সিয়েনাকে। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে দলের হয়ে একমাত্র গোলটা করেছেন ইন্টারের ফরোয়ার্ড লুক ক্যাস্তাইগনোস। জয়ের পরেও পয়েন্ট তালিকায় খুব একটা উন্নতি হয়নি ক্লাওদিও রানিয়েরির দলের। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এখনো তারা পয়েন্ট তালিকার ১৫ নম্বরে!
সিরি এ'তে রাতের অন্য ম্যাচে পালেরমো ২-০ গোলে হারিয়েছে ফিওরেন্টিনাকে, সিসেনার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে জেনোয়া আর বোলোনিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে ক্যালিয়ারি। জার্মান বুন্দেসলিগায় আবারও হোঁচট খেয়েছে জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। গত মৌসুমের চমক জাগানো দল মেইঞ্জের কাছে তারা পরশু রাতে হেরেছে ৩-২ গোলে। ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট করে বেশি নিয়ে শীর্ষস্থান যৌথভাবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও মুনশেনগ্ল্যাডবাখের।
জুভেন্টাসের হয়ে দুই মৌসুমে ২৩ গোল, তারপরের তিন মৌসুমে ইন্টার মিলানের হয়ে ৫৭টি। এর পরেই সিরি এ থেকে স্প্যানিশ প্রিমেরা লিগায় চলে গিয়েছিলেন ইব্রা। বার্সেলোনার হয়ে ম্লান দুটো মৌসুম কাটানোর পর আবার ফিরে গেলেন এসি মিলানে। পরশু রাতে ম্যাচটা যখন শুরু হয় তত দিনে তাঁর নামের পাশে ৯৯টি সিরি এ গোল জমা হয়েছে। সেটাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে মাত্র ১৬ মিনিট সময় নিলেন সুইডিশ এ তারকা। মিলান অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল তার আগেই ৮ মিনিটের সময় করা থিয়াগো সিলভার গোলে। ৩৩ মিনিটে দলের হয়ে আরো একটা গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পাতো। আর বিরতির আগে শেষ মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে ইব্রা তাঁর দ্বিতীয় গোলটা করলে বড় জয় নিশ্চিত হয় মিলানের।
ইন্টারের জয়টা এসেছে বেশ কষ্টেসৃষ্টে। মাঝারি শক্তির দল হয়েও ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় ইন্টারকে ভুগিয়েছে সিসেনা। অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। খেলা শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগে ক্যাস্তাইগনোসের আচমকা গোলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ক্লাওদিও রানিয়েরির দল। এপি, সকারনেট

No comments

Powered by Blogger.