টিপাইমুখ ইস্যুতে সমীক্ষা-ভারতের আনুষ্ঠানিক জবাবের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

বিতর্কিত টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে যৌথ সমীক্ষার আহ্বানের বিষয়ে ভারতের আনুষ্ঠানিক জবাবের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রগুলো গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে জানিয়েছে, যৌথ সমীক্ষা চালাতে বাংলাদেশের আহ্বানের জবাবে আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল পর্যন্ত কিছু জানায়নি ভারত। তবে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেছেন, টিপাইমুখ ইস্যুতে বাংলাদেশি দূতের


ভারতে যাওয়ার বিষয়টি শিগগিরই গতি পেতে পারে। কারণ প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি টিপাইমুখ ইস্যুতে ভারতে দূত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশেষ দূত কে হচ্ছেন জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির কথা শোনা গিয়েছিল। এখন ধারণা করা হচ্ছে, গত বছর টিপাইমুখ ইস্যুতে যে দলটি ভারত সফরে গিয়েছিল, তাদেরই কাউকে বিশেষ দূত হিসেবে আবারও ভারতে পাঠানো হবে। পানিসম্পদমন্ত্রীও এ দায়িত্ব পেতে পারেন বা বিশেষ দূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছেন, টিপাইমুখ ইস্যুতে ভারতে যে প্রতিনিধিদল যাবে, তাতে বিরোধী দলকেও রাখা হবে। এর জন্য বিরোধী দলের কাছে প্রতিনিধি চাওয়া হবে। ২০০৯ সালে ভারতে সংসদীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর সময়ও বিরোধী দলের কাছে প্রতিনিধি চাওয়া হয়েছিল।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিশেষ দূত বা প্রতিনিধিদলের দিলি্ল সফরেই টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে বাংলাদেশ গত ২২ অক্টোবর মণিপুর রাজ্য সরকারের সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের স্বাক্ষরিত বিনিয়োগ চুক্তির বিষয়ে ভারতের বক্তব্য পেতে পারে। এ ছাড়া যৌথ সমীক্ষার বিষয়েও ভারত সরকারের অবস্থানের কথা ওই সফরে সুস্পষ্টভাবে জানানো হতে পারে।
দুই বছর আগে ভারতের বরাক নদে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি আলোচনায় এলে বিশেষজ্ঞ মহল বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে। এরপর একাধিকবার ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু না করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি ভারতে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরের খবর ফাঁস হওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এরপর বাংলাদেশ থেকে দিলি্লতে পাঠানো বার্তায় একই অববাহিকার দেশ বাংলাদেশকে না জানিয়ে গোপনে চুক্তির বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার পাশাপাশি টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হওয়ার আগে দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে যৌথ সমীক্ষার আহ্বান জানানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.