নেটিজেন-দেশ, মাটি ও মানুষ রক্ষায় এ সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ!

ফেইসবুকে আমাদের ফ্যানপেজে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চলছে জমজমাট আলোচনা। নানা মতের মানুষ সেখানে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। আমরা সব মতই ধারণ করতে চেষ্টা করছি এ পাতায়। আপনার মতামত জানাতে ক্লিক করুন facebook.com/Rajkut.KK প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে তাঁর ভাষণে বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হতে দেওয়া হবে না।'


এ মন্তব্যটি বাঁধসংক্রান্ত বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থানকে সুনির্দিষ্ট করে না। কারণ দলটি বিরোধী দলে থাকলে কী ভূমিকা পালন করবে, তা শেখ হাসিনার বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। আবার দেশের জন্য চরম হতাশাজনক বাস্তবতা হলো_বিএনপির শাসনামল ভারতের স্বার্থ আদায়ের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক সময়। কারণ তখন ভারতসংক্রান্ত বিষয়ে প্রবলভাবে বিরোধিতা করার কেউ থাকে না।
এসব জটিলতার ফলে ভারত কি তার স্বার্থ আদায় করে নেবে, আর আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো মেতে থাকবে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে?

পয়েট ফখরুল ইসলাম
সরকার ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে যে তারা জনগণের সরকার নয়। তারা ভারতের তাঁবেদার সরকার। টিপাইমুখে বাঁধ হওয়ার চুক্তি হয়েছে, কিন্তু তারা কোনো প্রতিবাদ করছে না। ট্রানজিট, বাণিজ্য সুবিধাসহ অনেক সুবিধা দিয়ে নিজেদের ধন্য মনে করছে। ট্রাকভরা ইলিশ দিয়ে নিজেদের মহত্ত্ব প্রমাণ করছে। কিন্তু দেশের ক্ষতি হচ্ছে, এমন কাজে প্রতিবাদ করছে না। কি আশ্চর্য! সীমান্তে এখনো প্রতিদিন বিএসএফের গুলিতে মানুষ মরছে আর সরকার কথিত বন্ধুত্ব রক্ষায় মরিয়া। হায় রে আওয়ামী লীগ!

আকাশ ডি-কস্টা আকশু
১৯৭১ দেখিনি, কিন্তু আফসোস নেই। কারণ আমি এখন ১০০ ভাগ প্রস্তুত টিপাইমুখ বাঁধ রোধে প্রয়োজনে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য। ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে ভারত একবার আমাদের মেরেছে। এখন টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে মারতে চায়। সরকার কিছু না করলে, এই সরকারও রাজাকার হয়ে যাবে।

ইয়থ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন
বাংলাদেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসতে থাকা একটা উদ্বেগের বিষয়। এ নিয়ে সরকারি ও ব্যবসায়ী মহল থেকেও যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু যাঁর ওপর সব কিছুর দায়িত্ব, তিনি নিরুদ্বেগ ও বেপরোয়া। তিনি বলছেন, 'বৈদেশিক মুদ্রা ঘাটতি হলে কী এসে যায়? ১৯৭৪ সালেও রিজার্ভের সংকট ছিল, কিন্তু দেশ কি তখন অচল ছিল?'
বাস্তবতা হলো, তখন সাধারণ মানুষের জীবন অচল হয়ে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসে শেখ হাসিনা যেসব কথা বলছেন, তা থেকে মনে হয়, এ ধরনের লোকরা যখন ইতিহাসের দিকে পেছন ফিরে তাকান, তখনো তাঁদের নিজেদের জন্য অসুবিধাজনক কোনো কিছু চোখে পড়ে না। এর মূল কারণ, জনগণের জীবন অচল হলেও তাঁরা সেই অবস্থাকে অচল মনে করেন না। কাজেই ১৯৭৪ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ না থাকা এবং আমেরিকা কোনো খয়রাতি গম পাঠাতে অস্বীকার করার ফলে বাংলাদেশ নিজের টাকায় কোনো খাদ্য আমদানি করতে না পারায় যে লাখো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, এতে তাঁদের কিছু আসে-যায় না। কারণ এই মৃত্যু হলেও তাঁদের সরকার তো ছিল! তাঁরা নিজেরা তো ভালোমতো খাওয়া-দাওয়া করেই বেঁচে ছিলেন!

রাজীব চৌধুরী
বিএনপি গণতন্ত্রবিরোধী আচরণ শুরু করেছে। তারা যেভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে এবং আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অংশগ্রহণ নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে, এতে তা-ই মনে হয়। গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ চেয়েছিল। এখন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আরেকটি অজুহাত হলো ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম।

শেখ মো. মাইজুদুল ইসলাম

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বললেন, 'টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।' বিদেশ সফরে শতক অর্জনকারী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের উত্তর দেওয়ার ভয়ে সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে চলে গেলেন।
বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের প্রশ্নে জর্জরিত প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ দূত দিলি্ল যাবে।
আবার আমাদের সুশীল সমাজের বিরাট একটা অংশ মুখে কুলুপ দিয়েছে। আমাদের কি কোনো অভিভাবক নেই? বিরোধীদলীয় নেতাকে শুভেচ্ছা, মনমোহনকে চিঠি দেওয়ার জন্য। কিন্তু সংসদে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্নের কাঁটায় বিদ্ধ করলে আরো ভালো হতো। সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে ভারত, এর পরও আমাদের ব্যর্থ সরকার ও প্রশাসনের কোনো উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।

গ্রন্থনা : সাইফুল আমিন

No comments

Powered by Blogger.