বিএনএস বঙ্গবন্ধুতে যোগ হচ্ছে দুই মার্কিন কপ্টার by এমরান হোসাইন

 বিজ্ঞানের কল্যাণে কোন কিছু এখন কারও অজানা থাকার কথা নয়। এ বাসত্মবতাকে স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কমান্ডার এডাম জে ওয়াল্টার বলেন- কিভাবে উত্তাল সমুদ্রে সকল সম্পদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়,
হেলিকপ্টার অপারেশন চালানোয় পারদর্শী হওয়া যায়_ সেই বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারিক দিক বিবেচনায় হাতেকলমে শিা দিতে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজে "ইউএসএস ইনগ্রাম" তিনদিনের ট্রেনিং সফরে এখন বঙ্গোপসাগরে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং ইউএস নৌবাহিনী যৌথভাবে এ ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে। এ সফরকে গুডহুইল ভিজিট বলে কমান্ডার এডাম জে ওয়াল্টার মনত্মব্য করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে যৌথ ট্রেনিং করতে_করতে বাংলাদেশের নৌসীমানা পাড়ি দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ রণতরীটি সাগর নিরাপত্তায় আরব আমিরাতের বাহরাইন হয়ে সিঙ্গাপুর অতৎপর বাংলাদেশে আসে। এ অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজে কমান্ডার এডাম জে ওয়াল্টার এর নেতৃত্বে ২০০ ক্রুসহ ১৫জন প্রশিতি অফিসার রয়েছেন। বাংলাদেশ নেভীর ১২জন পাইলট গত দু'দিন ধরে কিভাবে হেলিকপ্টার অপারেশনে অংশ নিতে হয়_ তা হাতেকলমে শিা দিয়েছেন। গভীর সমুদ্রে যুদ্ধ জাহাজ থেকে হেলিকপ্টার চক্কর ও ওঠানামা সর্বোপরি এন্টি-টেররিষ্ট মুভমেস্ট পর্যবেণের কলাকৌশল রপ্ত করেন বাংলাদেশের পাইলটরা। এ ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জলসীমা সুরা হবে বলে কমান্ডার এডাম আশাবাদী।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে কুতুবদিয়ার কাছাকাছি এ জাহাজ অবস্থান নেয়। উত্তাল সাগরের ঢেউ মারিয়ে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টায় বাংলাদেশ যুদ্ধ জাহাজ বিএনএস তিতাস ছুটে যায় সেখানে। কোন যানজট ছাড়া এখানে পৌঁছতে পৌনে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। দুপুর ১২টার সময়ও সাগরে ছিল কুয়াশার দাপট। সাধারণত সাগরে খালি চোখে ৫/৬ কিলোমিটার পর্যনত্ম দেখা যায়। কিন্তু এদিন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকায় কাছের বিশাল জাহাজটিকে খুব কাছ থেকে দেখতে হয়। সাগরের বিশাল জলরাশির ওপর কেমন জানি অনড় দাঁড়িয়ে রয়েছে "ইউএসএস ইনগ্রাম"। এ জাহাজকে সংেেপ পেট্রোল ক্রাফট কিলার (পিকে শিপ) বলে। এখানে রয়েছে এন্্িট ইয়ারগানসহ অবাক করার মতো অত্যাধুনিক রণকৌশল প্রযুক্তি। এদিকে ট্রেনিং পর্যবেণ করতে গিয়ে কমোডর কমান্ডিং চিটাগাং নিজাম উদ্দিন আহমেদ
বলেন_ আমাদের দেশে দ্রম্নত জনসংখ্যা বাড়ছে। এ বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য যোগান দিতে শুধু কলখানার ওপর নির্ভর করলে চলবে না। এ জন্য প্রয়োজন প্রাকৃতিক সম্পদ আবিষ্কার ও আহরণ। এখন যুদ্ধ নয়, খাদ্য নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে যে কোন দেশের সঙ্গে এ ধরনের ট্রেনিং প্রোগাম করা যায়।

No comments

Powered by Blogger.