নতুন অধিনায়কে জয় চিটাগংয়ের

আইসিসির নির্বাহী সভা শেষে কালই দেশে ফিরেছেন নাজমুল হাসান। বিসিবি সভাপতির দাবি, সভায় যোগ দেওয়া প্রায় সবাই নাকি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন চট্টগ্রামের দর্শকের।
নিজেদের দল হারছে, তার পরও গ্যালারি ভরছে প্রতিদিনই। ক্রিকেটপ্রেমে চট্টগ্রামবাসীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হওয়ার কথা গতকাল। আগের ম্যাচগুলোয় গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ, কাল যেন ‘তিল ঠাঁই আর নাহি রে!’
উপচে পড়া সেই গ্যালারি কাল গর্জে উঠল ক্ষণে ক্ষণে। অবশেষে ঘরের দর্শকদের আনন্দের কিছু উপলক্ষ এনে দিতে পারল চিটাগং কিংস। হারের বলয়ে থাকা দল কাল ষষ্ঠ ম্যাচে এসে পেল দ্বিতীয় জয়। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর অধিনায়কের ব্যাটে চেপে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসকে হারাল ৮ উইকেটে। ‘অধিনায়ক’ শুনে আবার ভাববেন না যেন মাহমুদউল্লাহ। এই টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সের বিচারে কাল চট্টগ্রামের এমন অনায়াস জয়টা ছোটখাটো এক বিস্ময়, তবে বড় বিস্ময় উপহার দিয়েছে দলটি ম্যাচের শুরুতেই। মাহমুদউল্লাহ নয়, চিটাগংয়ের হয়ে টস করলেন ব্রেন্ডন টেলর!
দল থেকে বলা হয়েছে নিজের ওপর চাপ কমাতে সাময়িক বিরতি চেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সত্যিকারের কারণ যা-ই হোক, সিদ্ধান্তটা কাজে লেগে গেছে দারুণভাবে। বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ড প্লেসিংয়ে ছাপ তো রেখেছেনই, পরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১৩৭ রানের লক্ষ্য এমনিতে যতটা সহজ মনে হয়, ক্রমেই মন্থর হতে থাকা উইকেটে কাজটা ততটা সহজ ছিল না মোটেও। কাল প্রথম ম্যাচেই ঢাকার ১৩৭ রান তাড়া করে জিততে পারেনি রাজশাহী। দ্বিতীয় ওভারে নাঈম আউট হওয়ার পর তেমন কিছুর শঙ্কা চট্টগ্রামকে নিশ্চিতই ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু দারুণ সব শট খেলে সেই শঙ্কাকে কাছেই ঘেঁষতে দেননি টেলর। ৩৫ বলে ছুঁয়েছেন টুর্নামেন্টে তৃতীয় ফিফটি, ৪৯ বলে ৬৯ রান করে ফিরেছেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে। রায়ান টেন ডেসকাটের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটি ৯৩ রানের। ৩৪ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংসের পথে ডেসকাট পেরিয়েছেন ৩ হাজার টি-টোয়েন্টি রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার ইনিংসটা সেভাবে গতি পায়নি কখনোই। চতুর্থ উইকেটে ট্রাভিস বার্ট ও রিকি ওয়েসেলসের ২৭ বলে ৪১ রানের জুটিই যা এগিয়ে নিয়েছে দলকে। এই জুটি ভাঙা এনামুল জুনিয়র পেয়েছেন আরও ২ উইকেট। তবে অধিনায়কোচিত পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা টেলরই!

সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস: ২০ ওভারে ১৩৬/৫ (ভিনসেন্ট ৯, শাহরিয়ার ৯, মিজানুর ১৭, বার্ট ২৫, ওয়েসেলস ৩৫, হ্যারিস ২২*, ফরহাদ ২*; এনামুল জুনিয়র ৩/২৮, টেইট ১/২৬, রুবেল ১/২৬)। চিটাগং কিংস: ১৮ ওভারে ১৩৭/২ (বোপারা ১৩, নাঈম ৬, টেলর ৬৯*, ডেসকাট ৪১*; সানজামুল ১/২৬, বদ্রি ১/৩৪)।
ফল: চিটাগং কিংস ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ব্রেন্ডন টেলর।

No comments

Powered by Blogger.