সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে অমূল্য রতন

হাঁটতে হাঁটতেই অমূল্য রত্ন পেয়ে গেলেন কেন উইলম্যান। যুক্তরাজ্যের এই নাগরিক এমন একটি শিলাখণ্ড পেয়েছেন, যার মূল্য হাঁকা হয়েছে ৫০ হাজার ইউরো।
চমৎকার গন্ধযুক্ত শিলাখণ্ডটি আর কিছুই নয়, অ্যাম্বারগ্রিস (তিমি মাছের অন্ত্রে থাকা মোমের মতো পদার্থবিশেষ)। এটি দিয়ে তৈরি করা হয় দামি সুগন্ধি। অ্যাম্বারগ্রিস অনেকের কাছে ‘ভাসমান স্বর্ণ’ হিসেবেও পরিচিত।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর মোরক্যাম্বির সৈকতে নিজের পোষা কুকুরটি নিয়ে হাঁটছিলেন উইলম্যান। হঠাৎ কুকুরটি বেশ বড় একটি পাথরে খোঁচাখুঁচি শুরু করে।
উইলম্যান জানান, বিষয়টি তিনি প্রথমে পাত্তা দেননি। পাথরটি ভালো করে না দেখেই চলে যান। কিছু দূর যাওয়ার পর তাঁর মনে খচখচানি শুরু হয়। পরে ফিরে এসে পাথরের টুকরোটি নিয়ে যান। পাথরটি হাতে নিয়েই তাঁর মনে হয়েছে, এটি অ্যাম্বারগ্রিসের একটি টুকরো।
তিমি মাঝেমধ্যে অ্যাম্বারগ্রিস বমি করে। এই বমি পানিতে ভাসে। দামি সুগন্ধি তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়। অ্যাম্বারগ্রিস যত পুরোনো হয়, এর থেকে ততই কস্তুরিগন্ধ আসে। কিন্তু তাজা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে আসে বাজে গন্ধ।
কুড়িয়ে পাওয়া পাথর খণ্ডটি সত্যিই অ্যাম্বারগ্রিস কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। উইলম্যান সেই পরীক্ষার ফল পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তবে তিনি জানান, ইতিমধ্যে বস্তুটি সাড়া ফেলেছে। অনেকে কিনতে চেয়ে প্রস্তাবও করেছেন। ফ্রান্সের একজন ব্যবসায়ী ৫০ হাজার ইউরো (৬৮ হাজার ডলার) দামও হেঁকেছেন।
স্কটল্যান্ডের জাতীয় জাদুঘরের কিউরেটর অ্যান্ড্রু কিচেনার জানান, অ্যাম্বারগ্রিসের দাম বেশি হওয়ার কারণ একটাই—এতে বিশেষ গুণ রয়েছে। আকর্ষণীয় সুগন্ধি উৎপাদনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাঁচামাল হচ্ছে অ্যাম্বারগ্রিস। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.