আল কায়েদা বাংলাদেশে জঙ্গী হামলা চালাতে পারে by শংকর কুমার দে

 আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে জঙ্গী হামলার পর আল কায়েদার পরবর্তী টার্গেট বাংলাদেশ। আল কায়েদা পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জেএমবি ও হুজির সহায়তায় বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়েছে।
জামায়াত_শিবিরের সহায়তায় জেএমবি ও হুজির সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আল কায়েদার বাংলাদেশে জঙ্গী হামলা চালানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভৌগোলিক কারণে ও প্রতিশোধ গ্রহণের ব্যাপারে বাংলাদেশে আত্মঘাতী ও জঙ্গী হামলার জন্য আল কায়েদা নিরাপদ ও সুবিধাজনক দেশ হিসাবে বেছে নিচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা এই ধরনের আশঙ্কার কথা সরকারের উচ্চ পর্যায়কে জানিয়েছে। এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ার করে বলেছে, আল কায়েদা ও তালেবান দৰিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দৰিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ায় মার্কিন স্থাপনাগুলোতে গাড়ি বোমা হামলা চালাতে পারে। এসব অঞ্চলে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কভাবে চলাফেরা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত_শিবির ছাত্রলীগের কর্মীদের নৃশংসভাবে খুন, ম্যানহোলে লাশগুম, হাত ও পায়ের রগ কেটে হাতুড়ি বাটাল দিয়ে নির্মমভাবে পেটানোর সন্ত্রাসী তা-বলীলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর দ্য স্টাডি অব টেররিজম এ্যান্ড রেসপন্সেস টু টেররিজম (এসটিএআরটি) দৰিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সাউথ এশিয়ায় টেররিজম পোর্টাল সংস্থার ওয়েব সাইটে জামায়াত_শিবির সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অধিদফতরের সঙ্গে এসটিএআরটি কর্মরত থাকার কারণে এই সংস্থার তালিকায় জামায়াত_শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরার অনেক গুরম্নত্ব ও ভয়াবহ ইঙ্গিত দিচ্ছে। জামায়াত_শিবিরের সঙ্গে দেশের জঙ্গী সংগঠনগুলোর সম্পৃক্ততার সুবাদে পাকিসত্মানের লস্কর_ই_তৈয়বার সহায়তায় আল-কায়েদা বাংলাদেশে এসে ঘাঁটি গাড়ার সুযোগ পেয়েছে।
আল কায়েদা আফগানিসত্মান ও পাকিসত্মানে প্রায় প্রতিদিনই আত্মঘাতী গাড়ি বোমা ও জঙ্গী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের মুম্বাইয়ে আল কায়েদার সহায়তায় পাকিসত্মানের লস্কর-ই_তৈয়বা জঙ্গী হামলা চালিয়েছে। ভারতের মুম্বাইয়ে জঙ্গী হামলার আগে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনসহ বিভিন্ন্স্থানে ্আরও যেসব জঙ্গী হামলা হয়েছে, তার জন্য আল কায়েদা ও লস্কর-ই-তৈয়বাকে দায়ী করা হয়েছে। ভারতের পর এখন নিরাপদস্থান হিসাবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে আনত্মর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা। বাংলাদেশের জঙ্গি ও জামায়াত_শিবিরের সহায়তায় পাকিসত্মানের লস্কর-ই_তৈয়বার সঙ্গে একযোগে আল কায়েদা দেশে জঙ্গী হামলা চালানোর আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
পাকিসত্মানের লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা ভারতীয় জঙ্গী মাওলানা মনসুর আলীকে কয়েক মাস আগে গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে, সে ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশে আত্মগোপন করে এ পর্যনত্ম ৫টি মাদ্রাসায় ছদ্মবেশে শিৰকতা করেছেন। পাকিসত্মানের লস্কর-ই-তৈয়বার আরেক নেতা মুফতি ওবায়দুলস্নাহ গ্রেফতার করে গোয়েন্দা সংস্থা। জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, বাংলাদেশে তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য পাকিসত্মানের গোয়েন্দা সংস্থা ্আইএসআই এর অর্থ ও অস্ত্র যোগান দিচ্ছে।
মাওলানা মনসুর আলী ও মুফতি ওবায়দুলস্নাহ্ বাংলাদেশের হুজি ও জেএমবির জঙ্গীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে তারা অবহিত ছিল এমন তথ্যও দিয়েছে তারা গোয়েন্দা সংস্থাকে। জঙ্গীদের সঙ্গে জামায়াত_শিবিরের দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা থাকার সুবাদে তাদের সহায়তায় পাকিসত্মানের লস্কর-ই-তৈয়বা বাংলাদেশে এসে তৎপরতা শুরম্ন করার পর ধরা পড়েছে। আনত্মর্জাতিক সংগঠন আল কায়েদা জঙ্গী জামায়াত শিবিরের সহায়তায় বাংলাদেশে জঙ্গী হামলা ও আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা এই ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়কে অবহিত করেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মী খুন করে ম্যানহোলে লাশ গুম ও হাত পায়ের রগ কেটে হাতুড়ি বাটাল দিয়ে নৃশংসতার জন্ম দেয়ার ঘটনায় সরকার কঠোর পদৰেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য দেশীয় জঙ্গীদের সহায়তায় তারা লস্কর-ই-তৈয়বা ও আল কায়েদাকে মাঠে নামাতে পারে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। জামায়াত_শিবিরের সহায়তায় আল কায়েদার জঙ্গী হামলা চালানোর ব্যাপারে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এসব তথ্য সত্যে পরিণত হলে বাংলাদেশে আল কায়েদার আত্মঘাতী ও জঙ্গী হামলা ভয়াবহ হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

No comments

Powered by Blogger.