অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ॥ নয়া মহাপরিকল্পনা- কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচনসহ মধ্যম আয়ের দেশ বানাতে নতুন উদ্যোগ নতুন পরিকল্পনায় গোচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক by খায়রুল হোসেন রাজু

বহুমুখী বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সর্বোপরি জাতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অভ্যনত্মরীণ চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লৰ্যে গ্রহণ করা হচ্ছে নতুন নতুন পরিকল্পনা।
কৃষি, ৰুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ শক্তিশালী করতে বাড়ানো হয়েছে ঋণের আওতা। রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে চলছে নানামুখী প্রচেষ্টা। পাশাপাশি জরম্নরী অবস্থার যাঁতাকলে ৰতিগ্রসত্ম শিল্প-বাণিজ্যের পুনর্বাসনে দেয়া হচ্ছে বিশেষ সুযোগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দূরদর্শী কর্মকা-ের ফলে একদিকে বিশ্বমন্দার প্রভাব থেকে রৰা পেয়েছে দেশ, অন্যদিকে বেড়েছে মাথাপিছু আয়। এর আগে কোনো আমলেই জাতীয় অর্থনীতিকে অগ্রসর করতে এত বেশি তৎপর হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, আমি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের লৰ্যে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। এ জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও একাধিক উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কৃষি, এসএমই, শিল্পের বিকাশ, রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি, ব্যাংকগুলো ঝুঁকিমুক্ত করার লৰ্যে ব্যাসেল-২ বাসত্মবায়ন করাসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতা সামনে রেখেই একাধিক কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পৰ থেকে। যাতে করে বাংলাদেশ দ্রম্নত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়। একই সঙ্গে সারা বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ একটি মডেল হিসেবে পরিচিতি পায়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে আর্থিকখাতের বিপর্যয় থেকে তৈরি হওয়া মন্দা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সনত্মোষজনক। গত বছর ৫.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অর্থবছরের গত ছ'মাসে প্রায় ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যদিও প্রতিবেশী দেশগুলোর বড়মাত্রার রফতানি পতনের প্রেৰাপটেও ১০ শতাংশের বেশি রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশে।
ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত তারল্য, মূলধন পর্যাপ্ততা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় থেকে মুক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদৰেপ হাতে নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য ব্যাসেল-২ কার্যকর করা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও কর্পোরেট সুশাসনের বিষয়ে বিশেষ নজরদারি। মূলধন বাজার ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগে যথাযথ নিয়মাচার পালনের ওপর নজরদারি। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ যোগান যাতে খেলাপী ঋণগ্রহীতাদের হাতে সহজেই চলে যেতে না পারে সেজন্য শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লৰ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন বু্যরোর তথ্যপ্রযুক্তি পস্নাটফরমটির আধুনিকায়নের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সব ধরনের আর্থিক লেনদেনের দায়দেনা নিষ্পত্তি দ্রম্নততার সঙ্গে করার জন্য এবং নিষ্পত্তি ঝুঁকি হ্রাসের জন্য অটোমেটেড কিয়ারিং হাউসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। যাতে ব্যাংকগুলো কোন ধরনের লোকসানের মধ্যে না পড়ে। বরং অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারে।
রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। এ লৰ্যে বিশ্বের ২১ দেশের ২৯০টি মানিএক্সচেঞ্জের সঙ্গে প্রায় ৮শ'টি ড্রায়িং এ্যারেজমেন্ট চুক্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে। যাতে করে সারা বিশ্ব থেকে রেমিটেন্স বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হয়। এর ফলে গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের ছ'মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যনত্ম মোট রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৫৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর আগের অর্থবছরের (২০০৮-০৯ জুলাই থেকে ডিসেম্বর) পর্যনত্ম ছ'মাসে রেমিটেন্স এসেছে ৪৫০ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছে ৯৫ কোটি ৯২ হাজার টাকা। এর আগের বছর রেমিটেন্স এসেছিল ৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক নীতি গ্রহণের ফলে গত বছর মাথাপিছু আয় ছিল ৬৯০ মার্কিন ডলার। এ চিত্র অব্যাহত থাকলে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার জন্য বর্তমানে নির্ধারিত মার্কিন ডলার ৯৭৬ মাত্রায় পেঁৗছাতে মাত্র চার বছর সময় লাগবে।
বিশ্ব মন্দা থাকা সত্ত্বেও দেশের ব্যাংকিং খাতের কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং ব্যাংকিং খাতে বেশি মুনাফা অর্জিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাপক মনিটরিংয়ের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। গত বছর সোনালী, জনতা, আগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংক মিলে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। যেটি বিগত বছরগুলোর তুলনায় এক বছরের জন্য এটিই সর্বোচ্চ। এছাড়া বেসরকারী ৩১টি ব্যাংক প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। এর আগের বছর ২০০৮ সালে ছিল ৬ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাপক তদারকির ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিনিয়োগের ৰেত্রে মন্দাভাব থাকলেও এ সরকার ৰমতা গ্রহণ করার পর থেকেই বিনিয়োগে স্থবিরতা কাটতে শুরম্ন করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে আস্থার ভাব ফিরে আসার ফলে উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ শুরম্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশিস্নষ্টরা। বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ মূলধনী যন্ত্রাংশের আমদানি বাড়ছে। রাজস্ব আয়ের ৬ মাসের ল্যমাত্রা পূরণ হয়েছে শত ভাগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর এই ৬ মাসে মূলধনী যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৬২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৮৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয় ৪৫৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয় ৪৭২ কোটি ডলার।
দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি আবুল কাশেম আহমেদ বলেন, বিনিয়োগের স্থবিরতা কাটতে শুরম্ন করেছে। তবে গ্যাস-বিদু্যত ও অবকাঠামো পরিস্থিতি ভাল করা না হলে বিনিয়োগে বাধা আসতে পারে। অর্থনীতিবিদরা এ অবস্থাকে অর্থনীতির জন্য ভাল ও গুরম্নত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বলে মনত্মব্য করেছেন। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কৃষির বাম্পার ফলনের লৰ্যে কৃষকদের নানামুখী সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সহজ শর্তে, প্রয়োজনীয় এবং প্রকৃত কৃষকরা যাতে ঋণ পান এ জন্য মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লৰ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য কৃষি ফলন, সেচ প্রকল্প এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লৰ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বর্গাচাষীরা যাতে ঘরে বসে ঋণ পায় এ জন্য ১২ হাজার কোটির মধ্যে ব্র্যাকের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়নের ফান্ড করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পাশাপাশি কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ হিসাব থেকে কোন প্রকার চার্জ/ফি আদায় করা যাবে না। অর্থনৈতিক কর্মকা-ে কৃষকের যথাযথ অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির লৰ্যে সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ সাকর্ুলার জারি করা হয়েছে।
এদিকে বিতরণকৃত ঋণের মধ্য থেকে গত ছ' মাসে ৫৫৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। কৃষিঋণ বিতরণের মোট টার্গেটের প্রায় ৪৯ শতাংশ বাসত্মবায়িত হয়েছে। নবেম্বর পর্যনত্ম কৃষকদের মাঝে মোট বিতরণ করা হয়েছিল ৪২৪৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। শুধু ডিসেম্বরে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) জগলুল করিম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান কৃষকদের জন্য ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দিয়ে কৃষিখাতের অগ্রগতি আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এ পদৰেপ কৃষির উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অনেক গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে যাওয়ার ফলেই আজ কৃষকরা এত সুবিধা পাচ্ছেন। এটি জাতির জনকেরই কৃতিত্ব। রাষ্ট্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত না হলে আজকে কৃষকরা ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে পারত না। আর কৃষকদের ব্যাংকিং খাতের আওতায় আনাও সম্ভব হতো না।
জাতীয় অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিগ্রসত্ম ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের খেলাপী ঋণ নবায়নের বিশেষ সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময়ে যাঁরা মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনসহ হয়রানির কারণে ৰতিগ্রসত্ম হয়েছেন তাঁরা কোন রকম নগদ অর্থ পরিশোধ (ডাউন পেমেন্ট) ছাড়াই খেলাপী ঋণ নবায়নের সুযোগ পাবেন। এতে করে নতুন করে অথবা পুরনো শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারবেন। একইভাবে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দায় কারণে ৰতিগ্রসত্ম রফতানিমুখী শিল্পের খেলাপী ঋণ নবায়নের সুযোগ দেয়া হয়েছে। ফলে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
ৰুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে (এসএমই) বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ১৪শ' কোটি টাকা রিফাইন্যান্স করেছে। সর্বশেষ ত্রৈমাসিক বিবরণীর ভিত্তিতে গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যনত্ম ৰুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এসব অর্থ রিফাইন্যান্স করা হয়েছে। এতে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লৰ্যে এসএমই খাতের ওপর বিশেষ গুরম্নত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ইন্টারন্যাশনাল উন্নয়ন কতর্ৃপৰ (আইডিএ) এসএমইর বিভিন্ন খাতে রিফাইন্যান্স করেছে। রিফাইন্যান্স করা খাতগুলোর মধ্যে গৃহায়ন, কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস ও বর্জ্য পরিশোধন পস্ন্যান্ট, ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম, তাঁত শিল্প, লবণ, রেশম শিল্প, স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ স্কিম, রম্নগ্ন শিল্প এবং ব্যবসা খাত উলেস্নখযোগ্য। এসব খাতের মধ্যে শিল্প ও সেবাখাতে শত ভাগ রিফাইন্যান্স করা হয়।
এৰেত্রে এসএমই খাতে মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্যে সহজ শর্তে অধিকতর প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কতর্ৃক পুনঃঅর্থায়ন সমুদয় অর্থের নূ্যনতম ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ঋণ পাওয়ার জন্যে নারী উদ্যোক্তাদের জন্যে ব্যাংক রেট ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০ শতাংশ সুদ হার প্রযোজ্য হবে। এছাড়া সামগ্রিকভাবে এসএমই গ্রাহকদের অধিকতর সুবিধা প্রদানে এ পর্যনত্ম ২০০টি এসএমই সার্ভিস সেন্টার খোলার জন্য লাইসেন্স ইসু্য করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ সার্ভিস সেন্টার ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরম্ন করেছে।
এছাড়া বায়োগ্যাস প্রকল্পের আওতায় ১৯ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাস্ট ব্যাংক মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়নে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ দিয়েছে। যাতে ৰুদ্র উদ্যোক্তারা অভ্যনত্মরীণ চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.