অধিনায়কদের প্রত্যাশা- স্বাগতিক ভারত, ব্যাটে-বলে লড়াই শুরু বৃহস্পতিবার

 আর মাত্র দু’দিন, এরপরেই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। অবশ্য মহিলা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর বলেই হয়ত এ নিয়ে মানুষের মধ্যে খুব উত্তেজনা কিংবা উৎসুক্য মনোবৃত্তি কাজ করছে না।
তবে আট অধিনায়কেরই প্রত্যাশা মাঠে গড়ানোর পর বিপুল দর্শক সমাগম ঘটবে মাঠে তাঁদের সমর্থন যোগাতে। বৃহস্পতিবার থেকে আটটি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতায় নামছে। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, আয়োজক ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা এবং ‘বি’ গ্রুপে গত আসরের আয়োজক অস্ট্রেলিয়া, গত আসরের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্ব থেকে ছয়টি দল নিয়ে সুপার সিক্স এবং পরে সরাসরি ফাইনাল খেলবে শীর্ষ দুটি দল। ভারতের ৫টি ভেন্যুতে এ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী তিন সপ্তাহ ধরেই ভারতে চলবে দশম মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। মুম্বাই ও কটকের মোট পাঁচটি ভেন্যুতে হবে সবমিলিয়ে ২৪টি ম্যাচ। রবিবার বিশ্বকাপের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাত্র চারটি দলের অধিনায়ক। আয়োজক ভারতের মিতালি রাজ, ইংল্যান্ডের শার্লট এডওয়ার্ডস, শ্রীলঙ্কার শশীকলা শ্রীবর্ধনে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেরিসা এ্যাগুইলেরা। সাধারণ মানুষ কিংবা ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে এখন মহিলা ক্রিকেট নিয়ে তেমন আগ্রহ না থাকলেও চার অধিনায়কই তাঁদের বক্তব্যে দাবি করেছেন কতটা উন্নতি করেছে মেয়েরা মাঠের নৈপুণ্যে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক শার্লট মনে করিয়ে দেন ১৯৯৭ সালের বিশ্বকাপে নিজের ১৮তম জন্মদিনে অপরাজিত ১৭৩ রানের ইনিংসটির কথা। তিনি বলেন, ‘মাত্র ১৭ বছর বয়সে শুরু করেছিলাম। কিন্তু এতদিনে মনে হচ্ছে আমাদের ক্রিকেটেও পেশাদারিত্বের ছাপ এসেছে। আইসিসির কারণেই এমন ভাল একটি বিষয় ঘটেছে। এছাড়া আইসিসির বর্তমান কার্যক্রম অনেক তরুণীকেই ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। এ বিষয়টি মহিলা ক্রিকেটের উন্নতির জন্য খুবই জরুরী বিষয়।’
ভারতীয় অধিনায়ক মিতালী বলেন,‘১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম আবার আমরা মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন করছি। গণমাধ্যমগুলোর এ বিষয়ে মনোযোগ এবং আগ্রহ সত্যিই বিস্ময়কর। তাই আমি আশা করছি অনেক বেশি দর্শক আসবেন আমাদের খেলা উপভোগ করতে।’ এবার বিশ্বকাপের দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিনটি করে মোট ছয়টি দল সুপার সিক্সে উন্নীত হবে। এরপর গ্রুপ পর্বে যারা পরস্পর মুখোমুখি হয়েছে তাদের মধ্যে আর কোন ম্যাচ হবে না সুপার সিক্সে। তবে অন্য গ্রুপের দলগুলোর সঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলবে। এভাবে শীর্ষ দুটি দল সরাসরি ফাইনালে মুখোমুখি হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি।

No comments

Powered by Blogger.