এসএসসি সমমান পরীক্ষা শুরু ৩ ফেব্রুয়ারি, পরীক্ষার্থী কমেছে লক্ষাধিক

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি এসএসসি, দাখিলসহ সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষায় ১০ শিক্ষাবোর্ডের আওতায় ১৩ লাখ ৩ হাজার ২০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
যা গতবারের চেয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৫৪ জন কম।  বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য দেন।  
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার দশটি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় অংশ নেওয়া মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৬৮ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৫ জন ছাত্রী। মোট ২৭ হাজার ৭৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৭৫৮টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের আওতায় এসএসসি-তে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৭, দাখিল পরীক্ষায় ২ লাখ ২৫ হাজার ২৬, ভোকেশনাল ৮৮ হাজার ৩৬০ জন অংশ নেবে।আর বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছে ২৯৩জন পরীক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ৫ মার্চ পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ৬ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে পরীক্ষা শেষ করে মে মাসেই ফল প্রকাশ করা হবে।

আটটি সাধারণ বোর্ডের আওতায় এসএসসিতে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮২ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ১ হাজার ৩৩৫ জন ছাত্রী।
দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২ লাখ ২৫ হাজার ২৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৬২ জন ছাত্রী এবং ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৪ জন ছাত্রী।
আর কারিগরি বোর্ডের আওতায় অংশ নেয়া ৮৮ হাজার ৩৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৪ হাজার ১২৪ জন ছাত্র এবং ২৪ হাজার ২৩৬ জন ছাত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আটটি সাধারণ বার্ডের আতায় এসএসসিতে ছাত্রী সংখ্যা বেশি হলেও মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে ছাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা কমেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, এবার ২৭ হাজার ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গতবার ২৬ হাজার ৮৫৫টি প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা পীরক্ষায় অংশ নেয়। গতবারের চেয়ে এবার ২১৮টি বেশি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে।

এবার মোট পরীক্ষার্থী কম হলেও ২৯৪টি কেন্দ্র বেড়েছে। এবছর ২ হাজার ৭৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। গতবছর ২ হাজার ৪৬৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

বিদেশের জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপলী, দোহা, আবুধাবী, দুবাই ও বাহরাইন কেন্দ্র থেকে ২৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এর মধ্যে ১২৩জন ছাত্র, আর ১৭০জন ছাত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, গণিত ও উচ্চতর গণিত ছাড়া এবার অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালস জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে এবং অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।

মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার দিন দিন কমছে উল্লেখ করে শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, ২০১২ সালে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ২০১১ সালে ২২ শতাংশ, ২০১০ সালে ৩৬ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুন নূর, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম ওয়াহিদুজ্জামানসহ উর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.