একাত্তরের এই দিনে

* পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জেড এ ভুট্টো সন্ধ্যা ৬টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর পার্টি জাতীয় ঐক্যের আওতার মধ্যে একটি কার্যক্রম ও গ্রহণযোগ্য শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য স্থায়ী ফর্মুলা বের করতে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা
চালাবেন। তিনি বলেন, তাঁদের এখানে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে মতৈক্যের ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করা এবং সাধারণ বিষয়গুলোর অনুসন্ধান এবং ভ্রাতৃত্ব, সমঝোতা ও সহযোগিতার মনোভাব পুনরুজ্জীবিতের চেষ্টা করা।
* বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভুট্টো এমএল নাবিক লঞ্চে চড়ে পাঁচ ঘণ্টা নৌভ্রমণ করেন। দুই নেতার ওই নৌবিহারে শরিক ছিলেন এমন একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায় যে বঙ্গবন্ধু ও ভুট্টোর ৭০ জনের বিরাট দলসহ নৌযানটি কিছুদূর যাওয়ার পর দুই নেতা একটি আলাদা ছোট্ট লঞ্চে আরোহণ করেন। তাঁরা সেখানে দুই ঘণ্টাকাল আলোচনা করেন। তাঁদের মধ্যে এই দীর্ঘ আলোচনা সম্পর্কে দলের অন্যরা যদিও অজ্ঞ, তথাপি তাঁদের মতে উভয় নেতা গত তিন দিনের বৈঠকের জের টেনে আলোচনা করেন। নৌবিহারে আওয়ামী লীগের সৈয়দ নজরুল ইসলাম, খন্দকার মোশতাক, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, আবদুল মোমিন, নূরজাহান মোর্শেদ, বদরুন্নেসা আহমদ সাজেদা চৌধুরী, গাজী গোলাম মোস্তফা, মোস্তফা সারওয়ার ও আওয়ামী লীগদলীয় এমএনএ এবং এমপিএরা ছিলেন বলে এপিপিপির খবরে প্রকাশ। পিপলস পার্টির মধ্যে ছিলেন জে এ রহিম, পীরজাদা আবদুল হাফিজ, হানিফ রামে, শেখ রশিদ, রফিক রাজা এবং মেজর জেনারেল থ্যাকার ও অন্যান্য নেতা। পিপলস পার্টি সূত্রে প্রকাশ, ড. মোবাশ্বের হাসান এই দলে ছিলেন না, কারণ তিনি গতকাল লাহোরের পথে ঢাকা ত্যাগ করেন।
* জননেতা মণি সিং রাজশাহী জেল থেকে এক তারবার্তায় হাবিবুর রহমানের মুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তাঁকে অভিনন্দন জানান। এখানে উল্লেখ্য, দেশে দ্বিতীয় দফা সামরিক আইন জারির পর মণি সিং ও হাবিবুর রহমানকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

No comments

Powered by Blogger.