সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী-পদ্মা সেতু ও ছাত্রলীগ নিয়ে বিব্রত সরকার

দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে সরকার বিব্রত বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআইডির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারের চার বছরে বিভিন্ন খাতের অগ্রগতি এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসীর তাণ্ডব অবশ্যই গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে বিব্রত করে। আর পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আমরা বিব্রত।' তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরপরই সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মন্ত্রী দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সচিব থেকে শুরু করে মন্ত্রীকে পর্যন্ত তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে, আমরা দেশি-বিদেশি সবার সহযোগিতায় তদন্তকাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নিচ্ছি।' তিনি আরো বলেন, যেকোনো প্রশাসনের ভেতর দুর্নীতির ঘটনা প্রশাসনকে বিব্রত করে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা রাজনীতিকেও বিব্রত করে। সরকার এসব 'বিব্রতকর' ঘটনা পাশ না কাটিয়ে মোকাবিলার চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেন ইনু।
গত সোমবার সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের হামলা-ভাঙচুর প্রসঙ্গে ইনু বলেন, 'আমি মনে করি, অতর্কিত হামলা মোকাবিলা করা কঠিন। তবে গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও কিভাবে অতর্কিত হামলা হতে পারে, তার তদন্ত করে দেখা হবে।' জামায়াত-শিবিরের ওই তাণ্ডবের ঘটনায় প্রশাসন ও গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, 'অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা এটাই প্রমাণ করে, জামায়াত-শিবির শুধু যুদ্ধাপরাধীদের দোসরই নয়, তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত।'
জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্য মন্ত্রীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার প্রকাশ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সরকারের ভেতরে এক মন্ত্রীর সঙ্গে আরেক মন্ত্রীর বক্তব্যে পার্থক্য থাকলে সমন্বয়হীনতা প্রকাশ পায় না। সমন্বয়হীনতা প্রকাশ পায়, নীতিগত ব্যাপারে যদি পাল্টাপাল্টি অবস্থান থাকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই কথা বলেছেন।'
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে শুধু পাঁচটি পত্রিকা রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটা অনুরোধপত্র। বাধ্যবাধকতা নয়, নির্দেশও নয়। অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় চাইলে অন্য পত্রিকাও রাখতে পারবে।'

No comments

Powered by Blogger.