রাজধানীতে এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা, যুবক জবাই

 রাজধানীতে দু'টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে দারুস সালাম এলাকায় সন্ত্রাসীরা এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। পল্লবীতে এক যুবককে জবাই ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।
উত্তরায় এক শিশু গৃহপরিচারিকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আরও দু'টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টায় পুলিশ দারুস সালাম থানাধীন গাবতলী বেরিবাঁধ লেন্ডিং স্টেশনের ঢাকা সেন্ট্রাল মার্কেটের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়েরপেছনে নদীর ঘাট সংলগ্ন সিঁড়ির নিচ থেকে বালুর বসত্মা চাপা অবস্থায় অজ্ঞাত (৩৬) এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ বীভৎস লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, কে বা কারা অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে অন্য স্থান থেকে এখানে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে তার লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয়। যাতে কেউ তাকে চিনতে না পারে। এরপর তার পোড়া বীভৎস লাশ বালুর বসত্মায় চাপা দিয়ে রাখে। নিহতের পরনে কালো ট্রাউজার ও গেঞ্জি ছিল। একই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ পলস্নবী থানাধীন ১১ নম্বর সেকশনের সি-বুকের বাউনিয়া বাঁধ নতুন রাসত্মার উত্তর পাশে জনৈক আজগর আলীর বৈশাখী মৎস্য খামার ঘের থেকে অজ্ঞাত (২৫) এক যুবকের জবাই করা ৰত-বিৰত লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ওই যুবককে জবাই করে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য এখানে ফেলে যায়। নিহতের পরনে কালো রঙের ফুলহাতা গেঞ্জি ও প্রিন্টের জিন্সপ্যান্ট ছিল।
গৃহপরিচারিকার রহস্যজনক মৃতু্য
এদিকে একই দিন দুপুরে পুলিশ উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়ি ১/বি নম্বর ফ্যাট থেকে শামিমা (১১) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, নিহত শামিমা দীর্ঘদিন ধরে সোমাইয়া ইয়াসমিনের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করত। তার মৃতু্যর ঘটনা রহস্যজনক। লাশের ময়নাতদনত্মের পর আসল ঘটনা জানা যাবে। তবে নিহতের গৃহকত্রর্ী সোমাইয়া ইয়াসমিন পুলিশকে জানায়, কাজের মেয়ে শামিমা জানালার গ্রীলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পিতার নাম মোঃ খালেক মিয়া, তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মশালা থানার ভাটগাঁও গ্রামে।
দুই লাশ উদ্ধার
অন্যদিকে এদিন সকালে হাজারীবাগ থানাধীন সালাম টেনারিতে বিদু্যতস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল হান্নান (৩৬) নামে এক শ্রমিকের মৃতু্য হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গুরম্নতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। নিহতের পিতার নাম মনোহর। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের মহাতানপুর গ্রামে। এ ছাড়া বুধবার গভীর রাতে উত্তরায় প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৪০৮৬)-এর চাপায় অজ্ঞাত (৩৫) এক পথচারীর মৃতু্য হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ প্রাইভেট কার ও চালক দুলালকে (৩৫) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভোরে নিহতের লাশ ময়নাতদনত্মের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। নিহতের পরনে চেক কালো প্যান্ট ও আকাশি রংঙের শার্ট ছিল।

No comments

Powered by Blogger.