সম্পাদক সমীপে

রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হোক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হচ্ছে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প।’ যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে। দেশের জনগণের চার ভাগের তিন ভাগ গ্রামে বাস করে।


সে কারণে তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা তথা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি ৬ হাজার লোকের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন গত ১৯৯৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
গত অক্টোবর মাসে সরকার ১৩ হাজার পাঁচ শত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দিয়েছেন। সেই আলোকে তারা স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার সহকারীদের সহায়তায় কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে গ্রামের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র সঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোই প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার মডেল হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অতি সম্প্রতি প্রথম আলোর “কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত বক্তারা কমিউনিটি ক্লিনিকের বিভিন্ন সফলতার কথা তুলে ধরেন। একজন বক্তা জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন শেষে থাইল্যা-ে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশে গিয়ে দেখ, কিভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম সফল হয়েছে। বর্তমানে ১৩ হাজার পাঁচ শ’ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) তথা গ্রামের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দাবি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি সরকারের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হোক। যদি বর্তমান সরকার আগামীতে ক্ষমতায় আসতে না পারেন সে ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি পরবর্তী সরকারের রোষানলে পরে বাতিল করে দিতে পারে। তা হলে, একদিকে যেমন ১৩ হাজার পাঁচ শ’ প্রশিক্ষিত কর্মী বেকার হয়ে যাবে, অন্যদিকে লাখ লাখ হতদরিদ্র মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। এমতাবস্থায় বাস্তবতার নিরিখে অবিলম্বে ১৩ হাজার পাঁচ শ’ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী মহাজোট নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিনীতভাবে আবেদন জানাচ্ছি।

মোঃ মোবারক হোসেন
হলদিবাড়ী, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

No comments

Powered by Blogger.