গোলাম আযমের নেতৃত্বে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়-যুদ্ধাপরাধী বিচার- এসপি মাহবুবের সাক্ষ্য

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় সাক্ষী এসপি মাহবুব উদ্দিনের জেরা সম্পন্ন করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। ৬ আগস্ট প্রসিকিউশনের তৃতীয় সাক্ষী হাজিরের দিন ধার্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনাল-১।


অন্যদিকে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী আলবদর মনোয়ার হোসেন খান ওরফে মোহন মুন্সীর জেরা সম্পন্ন করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। আজ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে তৃতীয় সাক্ষী কমান্ডার জহিরুল হক জবানবন্দী প্রদান করবেন। মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -২ এ এই জেরা অনুষ্ঠিত হয়। গোলাম আযমের মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম (৬৭) ১৫ জুলাই জবানবন্দী পেশ করেন। মঙ্গলবার তাঁকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ও মনজুর আহমেদ আনসারী। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু ও প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। অন্যদিকে কামারুজ্জমানের জেরার সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর কেএম সাইফুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর নূরজাহান বেগম মুক্তা। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষী মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের জেরার কিছু অংশ নিম্নে দেয়া হলো।
প্রশ্ন : বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা নির্বাচিত এমএনএ স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠন করা হয়েছে। এই গণপরিষদে পূর্ব পাকিস্তান থেকে এমএনএ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শুধু যারা স্বাধীনতা বিরোধী তারা বাদ পড়েছিল। এর মধ্যে নুরুল আমিন ছিলেন।
উত্তর : তিনি আওয়ামী লীগে ছিলেন না।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে যে এলাকায় কোম্পানির দায়িত্বে ছিল সেখানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে গঠিত হয়েছিল।
উত্তর : এপ্রিল মাসে গোলাম আযম ও অন্যান্যের নেতৃত্বে শান্তি কমিটি গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রাজাকার বাহিনী গঠন হয়। তবে তারিখ বলতে পারব না। এটা একটি সরকারী অধ্যাদেশের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৭ মে’র আগ পর্যন্ত কোন রাজাকারকে গ্রেফতার করে আপনার নিকট উপস্থাপন করা হয়েছিল কিনা।
উত্তর : বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়েছে। তারিখ বলতে পারব না।
প্রশ্ন : আলবদর, আলসামস কোন বিধিবদ্ধ বাহিনী ছিল না।
উত্তর : জানি না। তবে তাদের বেশির ভাগই ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিল।
প্রশ্ন : সাতক্ষীরা অঞ্চলে দায়িত্বে ছিলেন। সেই অঞ্চলের রাজাকার, আলবদর, আলসামসের কমান্ডার কারা বলতে পারবেন।
উত্তর : প্রধানদের নাম স্মরণে নেই।
প্রশ্ন : দালাল আইনে পর্যালোচনার জন্য যে কমিটি ছিল সে কমিটিতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও এসপির একজন প্রতিনিধি থাকত।
উত্তর : থাকত কিনা আমার মনে নেই।
প্রশ্ন : আটকে পড়া পাকিস্তানী সৈন্যদের বিষয়ে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
উত্তর : হয়েছিল।
প্রশ্ন : ওই চুক্তি অনুযায়ী আটকেপড়া পাকিস্তানী সেনাদের মধ্যে যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল তাদের বিনা বিচারে পাকিস্তান পাঠানো হয়েছিল।
উত্তর : আমার সঠিক জানা নাই।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী সরকারী এবং নির্দিষ্ট পোশাকে ছিল।
উত্তর : ছিল কিনা জানিনা তবে দু’একজনকে ধরে আনলে তাদের পোশাক পরা দেখতাম।
প্রশ্ন : আপনি যে অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করেছেন সে অঞ্চলের আলবদর, আলশামস ও রাজাকারদের প্রধানদের নাম কি ছিল জানেন।
উত্তর : আমার স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : ওই এলাকায় কতজন আলবদর, আলশামস ও রাজাকারকে চিনতেন।
উত্তর : একজনকেও চিনতাম না।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার দলিলপত্র বই সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে।
উত্তর : বইয়ের সব খ- আমার কাছে আছে।
প্রশ্ন : এ বই সম্পাদনার সময় বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছিলেন যুদ্ধ সম্পর্কিত কোন দলিলপত্র থাকলে তা দেয়ার জন্যÑ বিষয়টি আপনি জানতেন কিনা।
উত্তৃর : এ সম্পর্কে আমি জানি না।
প্রশ্ন : চুকনগর হত্যাকা- সম্পর্কে কোন তথ্য আপনি তাকে দিয়েছিলেন কিনা।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার দলিলপত্রে বইয়ে সম্পাদনকালে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
উত্তর : হয়নি।
প্রশ্ন : অন্যকোন গবেষক তার গবেষণাকালে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির, ডা. এমএ হাসান সাহেবের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল।
উত্তর : ব্যক্তিগতভাবে মুনতাসীর মামুনের সঙ্গে ৫/৭ বছর হলো পরিচয় আছে। মাঝে মধ্যে দেখা হয়। শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গেও একই অবস্থা।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের ডকুমেন্টারি লেখক সামছুল আরেফিনের সঙ্গে পরিচয় আছে।
উত্তর : মেজর সামছুল আরেফিনের সঙ্গে পরিচয় আছে। তবে বাংলাদেশ ডকুমন্টোরির লেখক কিনা জানি না। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে তাঁর সঙ্গে পরিচয়।
প্রশ্ন : বিহারী খান নামে কোন ব্যক্তির নাম শুনেছেন।
উত্তর : শুনিনি।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন খাজা খয়ের উদ্দিন।
উত্তর : শুনেছি।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির সিদ্ধান্ত কি প্রক্রিয়ায় হতো।
উত্তর : ধারণা নেই।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য সংখ্যা কত।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় কমিটির জামায়াতের কতজন সদস্য ছিল।
উত্তর : গবেষণার সময় ছিল না। তবে গোলাম আযমের নাম শুনেছি।
প্রশ্ন : শহীদুল হক মামা মিরপুরের অধিবাসীÑ নাম শুনেছেন।
উত্তর : ইদানিং শুনেছি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে।
প্রশ্ন : তাঁর সঙ্গে আপনার দেখা হয়েছে।
উত্তর : দেখা হয়েছে, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে একজন মুসলিম লীগের নেতার বাড়ি থেকে পরিকল্পনার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।
উত্তর : আমি জানি না।
প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি ।
উত্তর : সত্য নয়।
এরপর সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত করা হয়। জেরা শেষে ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করে। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১ জুলাই ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দী পেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন (৬১), এরপর দ্বিতীয় সাক্ষী এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমদ তাঁর জবানবন্দী দেন। সকালে গোলাম আযমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী ৫ ধরনের অপরাধের ৬২টি অভিযোগে অভিযুক্ত করে গত ১৩ মে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-১। গত ১১ জানুয়ারি গোলাম আযম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। এ আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে ৯ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
কামারুজ্জামান ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী আলবদর মনোয়ার হোসেন খান ওরফে মোহন মুন্সীর তৃতীয় দিনের মতো জেরা সম্পন্ন করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। আজ তৃতীয় সাক্ষী জবানবন্দী প্রদান করবেন। মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই জেরা অনুষ্ঠিত হয়। একই ট্রাইব্যুনাল আসামি পক্ষের ডিজিটাল অডিও ভিডিও রেকর্ডিং দেখার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। জেরার কিছু অংশ নিম্নে দেয়া হলো।
প্রশ্ন : কি গাছ বিক্রি করেছেন।
উত্তর : ২টা আম গাছ ও একটা কাঁঠাল গাছ বিক্রি করেছি।
প্রশ্ন : গাছগুলোয় কত মণ কাঠ হয়েছিল।
উত্তর : কত মণ মনে নেই।
প্রশ্ন : গাছগুলোর সাইজ।
উত্তর : দু’ হাত দিয়ে দেখিয়ে বলেন, এই সাইজ। ঐ সাইজ। এ সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেন, এ অদ্ভুত প্রশ্ন।
প্রশ্ন : গাছগুলো কোন সময়ের লাগানো।
উত্তর : দাদা-নানার সময়ে।
প্রশ্ন : কানের দুল ও গাছ বিক্রির মূল্য অসত্য।
উত্তর : যেভাবে অসত্য বলেছেন, অসত্য বললেন মনে হয় আপনি আমার সঙ্গে ছিলেন।
প্রশ্ন : নানার দোকানে দর্জির কাজ করতেন। বেতন কত ছিল।
উত্তর : বেতন ছিল না। আমরা নিজেরাই দোকানের মালিক।
প্র্শ্ন : কামারুজ্জামান মাইক মেরে (ঘোষণা দেয়া) দেয়। সেটা কোন তারিখ।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : টাঙ্গারপাড়া কোন থানায়।
উত্তর : শ্রীবর্দী থানায়।
প্রশ্ন : বেলুয়া।
উত্তর : শ্রীবর্দী থানায়।
প্রশ্ন : ঐ জায়গা আপনাদের বাড়ি থেকে কত দূর।
উত্তর : প্রায় ১০ মাইল।
প্রশ্ন : স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যাবার কি ব্যবস্থা ছিল।
উত্তর : সাইকেলে চলাচল।
প্রশ্ন : কয়বার গেছেন।
উত্তর : যুদ্ধের সময় একবারই গেছি।
প্রশ্ন : ওখানকার মুজিবর কোন ব্যাংকে চাকরি করত।
উত্তর : সোনালী ব্যাংকে পরে অগ্রণী ব্যাংকে।
প্রশ্ন : উনি কি আপনার আত্মীয়।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : পেটের ব্যথা উঠলে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। শেরপুরে সদর হাসপাতাল ছিল।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : বড় ডাক্তার কে।
উত্তর : মনে নাই।
প্রশ্ন : সে সময় শেরপুরে সদর হাসাপাতাল ছিল না।
উত্তর : ইহা সত্য নয়।
প্রশ্ন : চিকিৎসা করা কথাটি মিথ্যা।
উত্তর : সঠিক।
প্রশ্ন : কামারুজ্জামান দ্বিতীয় তলায় মিটিং করতেন, আপনি তার কাছে থাকতেন।
উত্তর : নিচে থাকতাম।
প্রশ্ন : হান্নান প্রিন্সিপ্যালকে যে চুল কাটল সেই নাপিতের নাম কি।
উত্তর : নাপিত করেনি। মোমিন করেছিল। বাপের নাম বোচা চোর।
প্রশ্ন : প্রিন্সিপ্যাল হান্নান ও তার স্ত্রী আছে।
উত্তর : আছে, শেরপুর শহরে।
প্রশ্ন : তাদের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার তাপস আরেক ছেলে ডাক্তার।
উ্ত্তর : হতে পারে। কে কি করে তা বলতে পারব না।
প্রশ্ন : পাকিস্তানী আর্মিরা উর্দুতে কথা বলে, না ইংরেজীতে কথা বলে।
উত্তর : উর্দুতে কথা বলত। আমরা বুঝতাম না।
প্রশ্ন : আজ থেকে ২০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯২-৯৪ সালে আপনাদের এলাকায় তদন্ত হয়েছিল।
উত্তর : জানি না।
প্রশ্ন : কামারুজ্জামানের বিষয়ে কত দিন আগে প্রথম বলেন।
উত্তর : ডিসি অফিসে।
প্রশ্ন : বক্তব্য দেয়ার পর স্বাক্ষর করেছেন।
উত্তর : করেছি। নাম লিখেছি মোহন। পরে বলেন আলবদর মোহন।
প্রশ্ন : যেখানে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা ছিল।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : জবানবন্দী নিয়েছিল স্বাক্ষর নিয়েছিল ভিডিও করেছিল।
উত্তর : মনে পড়ে না।
প্রশ্ন : জবানবন্দী সময় কতজন লোক জন ছিল।
উত্তর : জনগণ ছিল না।
প্রশ্ন : বড় ভাই এক বছর বড়। কয় ভাইবোন।
উত্তর : ৪ জন। ৭/৮ বছরের বেশি।
প্রশ্ন : আপনার বয়স কত।
উত্তর : ৬০-৬৫ বছর, পরে বলেন ৬৩ বছর।
প্রশ্ন : বড় ভাই কি জীবিত।
উত্তর : আছেন।
প্রশ্ন : লেখাপড়া করেছেন।
উত্তর : করেছেন। নয় ক্লাস পড়েছেন।
প্রশ্ন : চাকরি করতেন।
উত্তর : রেজিস্ট্রার অফিসে মহরার হিসেবে। এবং দলিল লেখক ছিলেন।
প্রশ্ন : আপনার কয় ছেলেমেয়ে ।
উত্তর : ৩ ছেলে ২ মেয়ে।
প্রশ্ন : সবাই বিবাহিত।
উত্তর : বিবাহিত।
প্রশ্ন : লেখাপড়া করেছে।
উত্তর : ১ ছেলে লেখাপড়া করেছে। নাসিম সাত ক্লাসে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়। কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৩১ জানুয়ারি ৮৪ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর গত ১৬ এপ্রিল প্রসিকিউশনের প্রধান গোলাম আরিফ টিপুর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে কামারুজ্জামানের মামলাটি প্রথম ট্রাইব্যুনাল থেকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১৬ মে আসামিপক্ষ এবং ২০ মে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেন।

No comments

Powered by Blogger.