টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-জনগণের কল্যাণার্থে হরতালের বিকল্প বের করুন

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার বিএনপির হরতাল ডাকার ইঙ্গিত: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ গতকাল ছাপা হয়েছে; বাকি অংশ আজ ছাপা হলো।


মো. শেখ সাদী, শিক্ষার্থী
সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম।
হরতাল কারোরই কাম্য নয়। হরতাল দেওয়ার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। দেশ ও জনগণের জন্য হরতাল কতটা হুমকিস্বরূপ, এটা বিরোধীদলীয় নেত্রীর জানা উচিত ছিল।
শাহ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম, শিক্ষার্থী
জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট, সিলেট।
বিএনপি এখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। আর মানুষ এখন আস্তে আস্তে বিএনপি সরকারের অভাব বোধ করছে। বেগম জিয়া যদি হরতাল ডাকেন, তবে তা আওয়ামী ক্যাডারদের কল্যাণে সম্পূর্ণ সফল হতে ব্যর্থ হবে। সবার আগে দরকার নিজের দলের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করা। আশা করি, বিএনপি ১৯ মে ঢাকায় সঠিক সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করবে।
মিরাজ উল ইসলাম, শিক্ষার্থী
রিকাবীবাজার, মুন্সিগঞ্জ।
এ মুহূর্তে কঠোর আন্দোলনে না গিয়ে বিএনপি যদি ধৈর্যসহকারে নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারের সব অপকর্ম ও ব্যর্থতাকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়, তবেই ব্যালটের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে এর ফয়সালা হবে বলে আমার বিশ্বাস।
মঞ্জু খন্দকার, সমাজসেবক, চুয়াডাঙ্গা।
বিরোধী দল হরতালের ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে হরতাল করার সুযোগ নেই। হরতাল মানেই লাশ, সন্ত্রাস, ভাঙচুর। দেশের ভাগ্য উন্নয়নের জন্যই সরকারি ও বিরোধী দলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
অঞ্জন বিশ্বাস, চাকরিজীবী
রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
এখন হরতাল ডাকা মানেই দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে ফেলে দেওয়া। আমরা চাই হরতালমুক্ত দেশ।
আফজাল হোসেন, শিক্ষার্থী
জগদন, সুনামগঞ্জ।
দেশে হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম শুরু করার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মানুষ এমনিতেই বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস ও সন্ত্রাস নিয়ে বিপর্যস্ত। তার ওপর যদি হরতাল চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যেতে হবে। হরতাল করে লাভ হবে না।
এস এম অপূর্ণ দুলাল, শিক্ষার্থী
বাগমারা, রাজশাহী।
যদিও হরতাল দেশের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু বর্তমানে সরকার দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাতে হরতাল ছাড়া কোনো উপায় নেই।
মো. মেহেদী জামান, শিক্ষার্থী, বগুড়া।
হরতাল প্রচণ্ড জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এ কারণে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই এভাবে আন্দোলন সফল হবে না।
মো. আবুল কালাম, চিকিৎসক
জামাল খান, চট্টগ্রাম।
বিএনপি যে হরতালের ইঙ্গিত দিয়েছে তা যৌক্তিক। আসলে এর কোনো বিকল্প নেই। জনগণ তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করবে।
শাহীন, ব্যবসায়ী, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
যদিও বর্তমানে বাংলাদেশে হরতাল সমর্থনযোগ্য নয়, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, এ জন্য আমরা হরতাল সমর্থন করছি।
এম এ হাসান, শিক্ষার্থী, পরশুরাম, ফেনী।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি হরতাল সমর্থন করছি।
সুলেমান মাহমুদ, শিক্ষার্থী
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।
দেশের এই অস্থিতিশীল অবস্থায় বিএনপির হরতালসহ অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করি আমি।
মো. ফকরুল ইসলাম, শিক্ষার্থী
আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
হরতাল দাবি আদায়ের কোনো মাধ্যম হতে পারে না। আর অহেতুক বা ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে হরতাল ডাকলে সেটা সামগ্রিকভাবে দেশকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও স্থবির করে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা কোনো দলের কাছে এটা প্রত্যাশা করি না।
সুলাইমান মিন্টু, আইনজীবী
ঢাকা জজ কোর্ট।
বর্তমানে যে রাজনীতিক সংস্কৃতি রয়েছে, এ অবস্থায় হরতাল থেকে বেরোনো সম্ভব নয়। ক্ষমতায় থাকলে এই দুই দল একই কথা বলে। এবং বিরোধী দল হলেও একই কথা বলে। অতএব হরতাল অনিবার্য।
কাওসার, শিক্ষার্থী, সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম।
হরতাল যেহেতু দেশের সম্পদ ধ্বংস করে, সে ক্ষেত্রে হরতালের বিকল্প চিন্তা করতে হবে।
স্বপন তালুকদার, শিক্ষার্থী
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত লাগামহীন ছাত্রলীগসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীর অপকর্ম রোধে বিএনপির হরতাল ডাকা একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
মনির হোসেন, শিক্ষার্থী
পশ্চিম পাইকপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বাংলাদেশে হরতাল ডাকার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। বিএনপির উচিত সংসদে গিয়ে আলোচনা করা।
তৌহিদ, শিক্ষার্থী, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
রাজশাহীর মহাসমাবেশে বিরোধী দলের নেত্রীর হরতাল ঘোষণার ইঙ্গিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা মাত্র। বিরোধী দলের নেত্রীর প্রতি অনুরোধ, হরতালের জ্বালাও-পোড়াও নীতি বাদ দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করবেন।
জিন্নাহ ভূঁইয়া, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিএনপি আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে হরতাল ডাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। আবার তাদের মনে সংশয়, হরতাল ডাকলে তা সফল হবে কি না। এ জন্য কর্মীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন। এ অবস্থায় হরতাল কখনো সফলতা নিয়ে আসতে পারে না। সহিংসতা ও বিপর্যয়ের রাজনৈতিক ধারা জনগণ কখনোই সমর্থন করে না।
রাজু, শিক্ষার্থী, হাতিরপুল, ঢাকা।
বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের উচিত, এখনই আন্দোলনে না গিয়ে এই সরকারকে অন্তত চার বছর সময় দেওয়া। তখন ব্যর্থ হলে আন্দোলনে যাওয়া উচিত। এখন এধরণের আন্দোলনের অর্থ হলো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের চেষ্টা করা।
সৈয়দ মো. জাহিদ কাদেরী, শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিএনপি হরতাল ডাকতে যাচ্ছে, এটা দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত। সরকারি দলের উচিত এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেওয়া।
ওয়াহিদ মুরাদ, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর।
দুই নেত্রীর ক্ষমতায় থাকাকালীন ও বিরোধী দলে থাকাকালীন বক্তব্য বিবেচনা করলে আমরা বলতে পারি, হরতাল কখনোই জনগণের কল্যাণে নয়। সুতরাং জনগণের কল্যাণার্থে হরতালের বিকল্প কিছু বের করে জনগণের দাবিদাওয়া আদায়ে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যয়; পানি ও গ্যাস-সংকট ইত্যাদি বিষয়ে কথা বললে জনগণ এমনিতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে। হরতাল করলেই দাবিদাওয়া আদায় হয় এ কথা বিশ্বাস করি না।
মো. আবদুর রহমান, শিক্ষার্থী
জিয়া হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এখন দেশের যে পরিস্থিতি তাতে বর্তমানে বিএনপির হরতাল ডাকার সিদ্ধান্ত মোটেও ঠিক নয়। কারণ এখন শিক্ষার্থীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলছে। এ ব্যাপারে বিএনপি ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করি।
মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রভাষক
চরফ্যাশন, ভোলা।
প্রতিটি হরতালে দেশের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ জন্য বর্তমানে আমরা কোনো প্রকার হরতাল কামনা করি না। হরতাল ছাড়া যেকোনো গঠনমূলক আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো যেতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.