ফাইনাল-চ্যাম্পিয়ন সাকিবের কলকাতা

১৯তম ওভারে শেষ বলটাই শেষ পর্যন্ত ঘুরিয়ে দিল ম্যাচটা। মুরালি বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন সাকিব আল হাসান। বেন হিলফেনহসের করা ফুলটসটা উঠেছিল সাকিবের কোমরসমান উচ্চতায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই নো-বল ডাকলেন আম্পায়ার। ওই বলে দৌড়ে ২ রান।


পরের বলটাকে স্কুপ করে সীমানা ছাড়া করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শেষ ওভারে দরকারি ৯ রান চার বলেই তুলে ফেললেন সাকিব ও মনোজ তিওয়ারি। আইপিএলের পঞ্চম আসরে এসেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হলো শাহরুখ খানের।
ঘরের মাঠে হ্যাটট্রিক শিরোপাটা পাওয়া হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। মহেন্দ্র সিং ধোনির দল ১৯১ রান করেও হেরে গেল ৫ উইকেটে। লক্ষ্যটা ছিল বিশাল। আর প্রথম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে হারিয়ে ফেলে বিপদেই পড়ে যায় কলকাতা। তবে এবারের আইপিএলের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যানের অভাবটা বুঝতে দেননি মানবিন্দর বিসলা ও জ্যাক ক্যালিস। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজন যোগ করেন ১৩৬ রান। আস্কিং রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই রান তুলেছেন তাঁরা। ১৩.৪ ওভার স্থায়ী জুটিতে ওভারপ্রতি রান এসেছে ৯.৯৫। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া বিসলা ৪৮ বলে করেছেন ৮৯ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা। ক্যালিস করেছেন ৬৯ রান। এই দক্ষিণ আফ্রিকানের ৪৯ বলের ইনিংসটাতে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। ১৩৯ রানে বিসলার বিদায়ের পর লক্ষ্মীরতন শুক্লা (৩), ইউসুফ পাঠান (১) ফিরে যান অল্পতেই। দলকে জয় থেকে ১৭ রান দূরে রেখে আউট হন ক্যালিসও। এর পরই সাকিব ও তিওয়ারির জুটি বাঁধা। বল হাতে ২৫ রানে ১ উইকেট পাওয়া সাকিব ৭ বলে ১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাদের সূচনাটাও হয়েছিল বিধ্বংসী। উদ্বোধনী জুটিতেই এসেছে ৮৭ রান। দুই ‘ম’ মাইক হাসি আর মুরালি বিজয়ের সেই জুটিটা আরও বড় বিপদের কারণ হতে পারত। পারেনি সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ক্যাচে বিজয় ৩২ বলে ৪২ রান করে ফিরে যাওয়ায়। রজত ভাটিয়াকে ডিপ স্কোয়ার লেগে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু বাউন্ডারির কাছাকাছি থাকা সাকিব দৌড়ে এসে লুফে নেন ক্যাচ। এরপর সুরেশ রায়নার ৩৮ বলে করা ৭৩ রানেই ১৯১ রান করে চেন্নাই। ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.