আইনটি ভালো, অবিলম্বে কার্যকর করুন-দেয়াললিখন ও পোস্টার নিয়ন্ত্রণ

নির্ধারিত স্থান ছাড়া দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো যাবে না। আইন হয়েছে। প্রজ্ঞাপনও জারি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সবই ভালো। কিন্তু গত ২০ ফেব্রুয়ারি আইনটি পাস হওয়ার পর তা কার্যকর করার উদ্যোগে এত ধীরগতি কেন? অনেক আগেই তো এসব পদক্ষেপ নেওয়া যেত।


দেরি করার সুযোগ নিচ্ছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাঁদের নামে পোস্টার, ব্যানার, দেয়াললিখন সারা রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় দৃষ্টিকটুভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
বিধিমালা তৈরির পর অবৈধ পোস্টার, দেয়াললিখন মুছে ফেলার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, কারও গরজ থাকবে না নিজেদের নামের পোস্টারগুলো সরিয়ে নেওয়ার। সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগে সব পরিষ্কার করবে, আর এর ব্যয় আদায় করা হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সুবিধাভোগীর কাছ থেকে। কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটা তদারকি দল থাকা দরকার। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কার নামে ব্যানার ঝুলছে, কার ছবি ছাপিয়ে নগরবাসীর ‘দোয়া’ চাওয়া হচ্ছে, কোথায় দেয়াললিখন কার গুণ গাইছে—এগুলো তো একেবারে হাতেনাতে ধরা যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান তো আইনেই আছে। পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিন পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড। দু-একটা ক্ষেত্রে দণ্ড কার্যকর করে উদাহরণ সৃষ্টি করলে আইনের বাস্তবায়ন সহজ হবে।
শুধু পোস্টার, দেয়াললিখন কেন, কোনো দলের সমাবেশ বা কোনো দিবস উপলক্ষে রাজপথে তোরণ নির্মাণের হিড়িকও বন্ধ করা দরকার। রাজধানীর রাজপথে সব সময় যানজট লেগে থাকে। সেখানে বিশাল সব তোরণ রাস্তার এক বিরাট অংশ দখল করে রেখে যানজটের বাড়তি কারণ তৈরি করে। অনেক সময় এগুলো সড়ক দুর্ঘটনারও কারণ হয়। তোরণ নির্মাণ বন্ধ করলে জনজীবনের দুর্ভোগ অনেক কমবে।
আইনটি ভালো। সাংসদদের প্রতি আবেদন, তোরণ বন্ধের বিধান যুক্ত করে আইনটি আরও ভালো করুন। এটা সময়ের দাবি।

No comments

Powered by Blogger.