চাঁদপুরের ডিজিটাল মেলা-ই-সেবা সমাজে গতি আনবে

চাঁদপুরে আয়োজিত প্রথম ডিজিটাল সেবা ও কম্পিউটার মেলার প্রতি মানুষের আগ্রহ উদ্যোক্তাদেরই বিস্মিত করেছে। কৃষক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চারদিন ধরে চলা মেলায় ঘুরে ঘুরে সেবার ধরন পরখ করে দেখেছেন। সোমবার সমকালে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, মেলায় আসা সবাই ডিজিটাল সেবা ও কম্পিউটারের


বিস্ময়কর সুফল এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী মন নিয়ে ঘরে ফিরেছেন। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ই-সেবা প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত পেঁৗছে দেওয়ার উদ্যোগ যে অনেকটা প্রসারিত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে এ সম্পর্কে অনেকটা আগ্রহী করে তুলতে পেরেছে, চাঁদপুরের ডিজিটাল মেলায় প্রচুর মানুষের আগমন তারই সাক্ষ্য বহন করে। ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরতদের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলা, কম্পিউটারে ছবি লোড করে প্রিন্ট নেওয়া, ফটোকপি, ই-মেইল, কম্পোজ, ফরম ডাউনলোড করা, ভিডিও কলসহ বেশ কিছু সেবা দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বোর্ড থেকে পরীক্ষার ফল জেনে নেওয়া এবং ওই রেজাল্ট প্রিন্ট নেওয়া, নিজের রেজিস্ট্রিকৃত জায়গার অবস্থা সম্পর্কে জানা ইত্যাদি অনেক বিষয়ই মানুষ এখন ই-সেবা কেন্দ্রগুলো থেকে জেনে নিতে পারেন। যাদের কম্পিউটার কেনা ও ইন্টারনেট সুবিধা নেওয়ার মতো অর্থ ব্যয়ের সামর্থ্য নেই, তারা নিজের এলাকার মধ্যেই ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে একই সুবিধা সামান্য অর্থের বিনিময়ে লাভ করতে পারেন। তবে সেবা কেন্দ্রগুলোকে সার্বক্ষণিক সচল রাখা ও সেখানে যাতে একজন নিরক্ষর কৃষকও ই-সেবা পেতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধান করা গুরুত্বপূর্ণ। এই সেবাপ্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই দূর করা দরকার। ই-সেবার প্রতি মানুষের আগ্রহকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এর উদ্যোক্তাদের উচিত, সেবা কেন্দ্রগুলোতে বিকল্প উপায় ব্যবহার করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং নিরক্ষর মানুষও যাতে এই সেবা নিতে পারেন তার জন্য ই-সেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষিত লোকদের রাখার ব্যবস্থা করা। ই-সেবার মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশের সমাজে যে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে সেটা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গতিশীলতাকেও অবশ্যম্ভাবী করে তুলবে।

No comments

Powered by Blogger.