পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর আশাবাদ ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা by ড. তারেক শামসুর রেহমান

কোপেনহেগেনে সদ্য শেষ হওয়া জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন গত ২২ ডিসেম্বর, যা পরদিন যথারীতি সংবাদপত্রে ছাপাও হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোপেনহেগেনে গিয়েছিলেন। বিশাল এক প্রতিনিধিদলের তিনিও ছিলেন একজন সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববাসী জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে যে ঐকমত্য হয়েছে, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন (?)। যদিও তিনি এটা জানাতে ভোলেননি যে জলবায়ু সম্মেলনের চুক্তিতে বাংলাদেশ পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়নি। পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বেগম জিয়ার একটি বক্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন। কিন্তু ওই সম্মেলনে অংশ নিয়ে আমাদের বড় অর্জন যে কী, তা অবিশ্যি মন্ত্রী মহোদয় খোলাসা করে আমাদের বলেননি। একটি ‘সমঝোতা’ হয়েছে এবং ওই সমঝোতা মানতে বাধ্য করা হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে, যার মাঝে বাংলাদেশ একটি, যে দেশটি কিনা এখন পরিচিতি পেয়েছে এমভিসি বা মোস্ট ভালনারাবেল কান্ট্রি হিসেবে। সারা বিশ্বের তাবত্ গবেষক যখন নিশ্চিত করেই বলছেন কার্বনডাই-অক্সাইড নিঃসরণের হার না কমালে এই বিশ্ব হয়তো একদিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে, তখন কোপেনহেগেন সম্মেলন শেষ হলো, কিন্তু কোনো ‘কমিটমেন্ট’ নেই কোন দেশ কতটুকু কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করবে। অর্থের একটা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে বটে; কিন্তু ওই অর্থ নিয়েও কথা আছে। অর্থ কী মাথাপিছু অনুযায়ী পাওয়া যাবে, নাকি দেশ হিসেবে পাওয়া যাবে—তারও কোনো সমাধান হয়নি। উপরন্তু যে টাকা পাওয়া যাবে, তা বিলি-বণ্টন ও ব্যবহার কে করবে? সরকার না এনজিওগুলো? এখানে দুর্নীতি রোধ হবে কীভাবে? আর একটা বড় প্রশ্ন—কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে হলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দরকার। এই প্রযুক্তি সরবরাহের কথা তো উন্নত দেশগুলো বলেনি? অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নামে আমরা কী আবারও এমএনসি (মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিজ) খপ্পরে পড়তে যাচ্ছি?
সারা বিশ্বই আজ বলছে এটা একটা ব্যর্থ সম্মেলন। গরিব দেশগুলো এই সম্মেলন থেকে কিছুই পায়নি। অথচ আমাদের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানিয়ে দিলেন আমরা একটা বিশাল অর্জন করে (?) ফেলেছি। পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী যখন এ কথা বলেন, তার ঠিক দু’দিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার একটি বক্তব্য সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে, যেখানে ওবামা বলেছেন, জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে হতাশা হওয়াই যুক্তিসঙ্গত। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এখন কী বলবেন? প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ওই বক্তব্যে গাবুরা, শ্যামনগর কিংবা পার্শ্বেমারী গ্রামের মানুষজন আশ্বস্ত হবেন বলে মনে হয় না। সারা বিশ্বের মানুষই জানে বাংলাদেশ আজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। এই পরিচিতিটা বাংলাদেশ অনেক আগেই পেয়েছে। বিশেষ করে ‘সিডর’ ও ‘আইলায়’ আক্রান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। বাংলাদেশকে নিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশেই গবেষণা হচ্ছে এখন। বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। যে প্রশ্নটি অতীতেও উঠেছে এবং কোপেনহেগেনেও আলোচনা হয়েছে, তা হচ্ছে এই বিরূপ পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া। সেটা আমরা কতটুকু করতে পেরেছি—প্রশ্ন সেখানেই। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বা ভবিষ্যতে হব—এর জন্য আমরা দায়ী নই—এ কথাটা সঠিক। এটা বলার মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। কিন্তু আমরা যদি সাহায্যের জন্য তাকিয়ে থাকি, যদি বার বার বিদেশি সাহায্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেই, তাহলে তো মূল সমস্যার সমাধান করা যাবে না। মূল বিষয়টি হচ্ছে সিডর বা আইলায় আক্রান্ত মানুষদের বসবাসের জন্য একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা। ছ’মাস হয়ে গেল আমরা ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে পারলাম না? পার্লামেন্টে ৭০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হলো। কিন্তু একটি টাকাও আমরা গত ছ’মাসে ব্যয় করতে পারলাম না? কেন, এ প্রশ্ন তো করা যায়ই। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এটা বোঝেন কিনা জানি না, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকায় মানুষদের জন্য যদি কোনো কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা না যায়, তাহলে ব্যাপকসংখ্যক লোক ঢাকায় আসবে কাজের সন্ধানে। ইতোমধ্যে বেশকিছু লোক এসেও গেছে। এরা একটা বড় পরিবেশগত সমস্যার সৃষ্টি করবে। এটা খাপ খাইয়ে নেয়ার একটা অংশ হতে হবে। এদের জন্য স্থানীয়ভাবে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আমাদের বন্ধু মানুষ। একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের ‘মালিক’ তিনি। চরাঞ্চলের মানুষদের নিয়ে বিদেশি অনুদানে কিছু ‘গবেষণাও’ করেছেন। এই মুহূর্তে দক্ষিণাঞ্চল চরাঞ্চলের মানুষদের জন্য তিনি কী কোনো কর্মসূচি নিতে পারেন না? ক্ষুদ্রঋণ কী সেখানে সম্প্রসারণ করা যায় না? কাজের একটা ক্ষেত্র যদি সৃষ্টি করা যায়, তাহলে মানুষ ‘বাপ-দাদার ভিটে’ ছেড়ে অন্যত্র অভিবাসী হবে না। সুপেয় পানির বড় অভাব ওই অঞ্চলে। ড. ইউনূস একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, গ্রামীণ-ভিয়েলিয়া ওয়াটার। এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামের মানুষকে প্রতি ১০ লিটার পানি ১ টাকায় বিক্রি করবেন তিনি। মাত্র ১ টাকা। সরকার কী ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলে আইলা উপদ্রুত এলাকায় এই কর্মসূচি দ্রুত সম্প্রসারণের কোনো উদ্যোগ নেবে? এ বিষয়ে কী পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না? যদি খাবার পানির নিশ্চয়তা দেয়া না যায়, তাহলে মানুষ সেখানে বসবাস করবে কীভাবে? পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের খবর যেদিন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, সেদিনও ছাপা হয়েছে (ছবিসহ) আরও একটি সংবাদ—‘দিনাজপুরের ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে শাল সেগুন কাঠ’। সংবাদটি যদি পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী দেখে থাকেন, তাহলে এ ব্যাপারে তিনি কী কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন? প্রতিটি ইটের ভাটাতেই এ চিত্র এখন দেখা যায়। গাছ কেটে তা ইটের ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখবে কে? কোপেনহেগেন সম্মেলনের আগের, একমাস ও পরের কিছুদিন আমি সংবাদপত্র ঘেঁটে দেখেছি গাছ কাটার ও ইটের ভাটায় গাছ ব্যবহার করার প্রচুর সংবাদ আছে। গত ২৪ ডিসেম্বর একটি জাতীয় সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় ৪ কলাম জুড়ে একটি ছবি ছাপা হয়েছে। ছবির ক্যাপশন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপকূলে নির্বিচারে কেটে ফেলা হয়েছে সবুজ বনানী। পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের মানুষ। তিনি নিশ্চয় এই সংবাদটি পাঠ করেছেন। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে জানতে ইচ্ছে করে তার কী করণীয় কিছু নেই? তিনি নিশ্চয়ই আরেকটি সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। সেখানে গিয়েও তিনি বলবেন জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ক্ষতির কথা। কিন্তু আমরা নিজেরা যে নিজেদের ক্ষতি করছি, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে? পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী কিছুদিন আগে আমাদের খুব ভালো ভালো কথা বলছিলেন। ১১ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। বনবিভাগের ৭ লাখ ৫৮ হাজার একর জমিতে ৩ কোটি গাছ লাগানো হবে। জেগে ওঠা চরের ১২ লাখ ৩০ হাজার একর জমিতে গাছ লাগানো হবে। বনবিভাগ চারা উত্পাদন ৪ কোটির পরিবর্তে ১০ কোটি করবে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উত্পাদিত হবে ১৫ কোটি টাকা (আমাদের সময়, ১০ সেপ্টেম্বর)। এই বক্তব্যে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কাজ কী কিছু হয়েছে? দুর্বৃত্তরা যদি সর্বত্র গাছ কেটে নিয়ে যায়, তাহলে ওই গাছ লাগিয়ে কী লাভ? সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে কারা কোথায় কোথায় গাছ কেটে নিয়ে গেছে, কারা ওই চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে জড়িত? কিন্তু ব্যবস্থা কী নেয়া হয়েছে? মনে হয় না। আরও একটা কথা। ইটের ভাটার চিমনি থেকে কালো ধোঁয়ার ছবি আমাদের সবার এক পরিচিত দৃশ্য। ঢাকার উপকণ্ঠে সাভার এলাকার আমিনবাজারের দিকে গেলেই এ দৃশ্য আপনার চোখে পড়বে। গত সপ্তাহে সিলেট গিয়েছিলাম। নরসিংদী থেকে শুরু করে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাস্তার দু’ ধারে অসংখ্য ইটের ভাটা। আর প্রতিটি চিমনি থেকে বেরুচ্ছে কালো ধোঁয়া। এই কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য শুধু খারাপই নয়, বরং কিছুটা হলেও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আমার বিনীত জিজ্ঞাসা—এই কালো ধোঁয়া উদিগরণ কি হতেই থাকবে? বাংলাদেশ কোপেনহেগেনে সাহায্য চেয়েছে, আগামী নভেম্বরে মেক্সিকোতে গিয়ে সাহায্য চাইবে, অথচ নিজ দেশের পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, দাতারা এ ধরনের প্রশ্ন যদি করে, তাহলে আমরা কি জবাব দেব? মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, আইন কি ইটের ভাটায় গাছের ব্যবহার, কালো ধোঁয়া উদিগরণ অনুমোদন করে? যদি না করে, তাহলে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, বিনীতভাবে তা আমি জানতে চাই। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশ সফর করতে ভালোবাসেন। মাসের কতদিন তিনি বিদেশে থাকেন, এ তথ্যটি এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। কিন্তু পরিবেশ কূটনীতির ব্যাপারে, খুব যে সফল হয়েছেন, তা বলতে পারব না। পরিবেশ কূটনীতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর পররাষ্ট্রনীতির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য এখন। কিন্তু আমাদের পরিবেশ কূটনীতি বলতে কি কিছু আছে? ডেনমার্ক কপ-১৫ আয়োজন করতে গিয়ে নিজেরা পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছিল। এটা পুষিয়ে উঠতে তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ‘কার্বন ক্রেডিট’ দিচ্ছে (বাংলাদেশের কিছু ইটের ভাটায় কালো ধোঁয়া হ্রাসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার)। আমরা এর কিছুটা ভাগীদার হচ্ছি বটে। কিন্তু ডেনমার্কের কাছ থেকে তা আমরা আরও বেশি আদায় করে নিতে পারতাম? এখানে কী আমাদের কূটনৈতিক ব্যর্থতা নেই? আমি বিশ্বাস করি, ডেনমার্ক আমাদের সমস্যা সম্পর্কে জ্ঞাত। আমাদের সফল কূটনীতিই আমরা তাদের কাছ থেকে আরও বেশিকিছু আদায় করে নিতে পারব। সমস্যা হচ্ছে এটা বোঝার ও এটা নিয়ে কাজ করার। পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী কিংবা আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ডিয়ান-এ জন ভাইডালের প্রবন্ধটি পড়েছেন কীনা, জানি না। না পড়ারই কথা—কেননা এত সময় তাদের কই? দক্ষিণ এশিয়ায় অকাল বন্যার কথা, খড়ার কথা বলা আছে ওই প্রবন্ধে। কিন্তু কই বাংলাদেশের পরিবেশের এই যে ক্ষতি এবং এর পেছনে যে কারণ, সে কথাগুলো কি আমরা বলেছি কোপেনহেগেনে? গত ২৪ ডিসেম্বরের সংবাদপত্রে ছাপা হওয়া আরেকটি সংবাদ—পদ্মায় পানি নেই। আরেকটি জাতীয় সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় ৫ কলামব্যাপী ছবিসহ সংবাদ কালীগঙ্গা নদীর বুকে ধু ধু বালুচর। অথচ আমরা গঙ্গা পানি চুক্তি করেছিলাম পানি পাব বলে। ভারতীয় সদ্য বিদায় নেয়া বহু বিতর্কিত হাইকমিশনারও বলে গেলেন, চুক্তির চেয়েও বাংলাদেশ বেশি পানি পাচ্ছে। কিন্তু সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবি ও সংবাদ কি সে কথা বলে? আমরা চুক্তি করতে ভালোবাসি। কিন্তু এসব চুক্তি আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। এ সবই আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। আরেকটি দুঃসংবাদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, যখন টিপাইমুখ বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং তা চালু হবে। এটা আমাদের বড় ক্ষতি ও শঙ্কার কারণ। কিন্তু আমরা কি টিপাইমুখের কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছি? আমরা জানাইনি। আমাদের পরিবেশ কূটনীতির ব্যর্থতা এখানেই।
তাই পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী যখন বড় অর্জনের কথা বলেন, আমি ঠিক ভরসা রাখতে পারছি না। ‘বড় অর্জন’ আমি ঠিক খুঁজে পেলাম না। টাকা পাওয়া যাবে কী যাবে না, এটা আমাদের বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। অভ্যন্তরীণভাবেই আমাদের নিজস্ব সম্পদ নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন সব কর্মসূচি পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সংসদীয় রাজনীতিতে এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলেরও একটি ভূমিকা রয়েছে। তাদের বক্তব্যও বিবেচনায় নিতে হবে। আত্মতুষ্টি নিয়ে বসে না থাকাই মঙ্গল।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
ই-মেইল : tsrahmanbd@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.