এই কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়—খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশনকে তাঁরা মানবেন না। এই কমিশনের অধীনে তাঁরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এর বিরুদ্ধে তাঁর দল আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এই নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের আজ্ঞাবহ। সরকার তাদের পছন্দের লোকদের বসিয়েছে।
অতীতে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। বিএনপিও এই আজ্ঞাবহ কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে এনে সবার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন ইসি গঠনের দাবি জানান তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগের মতো লগি-বৈঠা নিয়ে সহিংস আন্দোলন করবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ’৬৯-এর মতো গণ-অভ্যুত্থান গড়ে তুলবে। সরকারকে বিদায় করবে। তিনি বলেন, রাস্তায় মানুষ দেখলেই সরকার ভীত হয়ে পড়ছে। কুকুরে কামড়ালে যেমন জলাতঙ্ক রোগ হয়, সরকারের তেমন মানুষাতঙ্ক হয়েছে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে, হরতাল করতে চায় না। কিন্তু সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে ব্যাহত করছে।
বিরোধীদলীয় নেতার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নিত্যদিন হত্যা, গুম, অপহরণের মতো ঘটনা ঘটছে। অথচ এ থেকে প্রতিকার পাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না, নির্বাচন হতেও দেবে না। সরকার যদি একতরফা নির্বাচন করতে চায়, তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকারের বিভিন্ন খাতের ব্যর্থতা তুলে ধরে তিনি অর্থনৈতিক ধস, শেয়ারবাজার-পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বিএসএফ সীমান্তে একের পর এক হত্যা করছে। অথচ সরকার নিশ্চুপ। সরকার ভারতের দাসত্ব করছে। এ জন্য প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত তাদের নেই।
কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ ও তরিকুল ইসলাম এবং বিএফইউজের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.