চরাচর-একুশের মাস আমাদের আন্দোলিত করুক

আবার বসন্ত। আবার ফিরে এলো একুশে ফেব্রুয়ারির অবিস্মরণীয় দিন, ৬০ বছরের স্মৃতিগন্ধ নিয়ে। বছরের হিসাবে বড় কম নয়, অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গিয়ে দিনটি আমাদের কাছে বসন্তের সমার্থক হয়ে গেছে। কবি অনেক দিন আগে বসন্তকে ভুবনবিজয়ী বলে গেছেন। একুশে ফেব্রুয়ারি তাঁর দেওয়া অভিধাকে সার্থক ও সুপ্রযুক্ত করেছে।


আমরা সবাই এ দিনটির ইতিহাস জানি। সারা বিশ্বে মধ্যে ভাষা ব্যবহারকারী মানুষদের হিসাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে যে বাংলা ভাষা, সেই ভাষা মাতৃভাষা যাদের, তারাই বাঙালি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৩৫৮ সালের ৮ ফাল্গুন বাঙালি জাতির একাংশ সে দিনকার পূর্ব পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী দ্বারা জবরদস্তি উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়ে মাতৃভাষার অপমৃত্যু ঘটানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকার রাস্তায় রক্ত ঝরিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
এক দশক অতিক্রম করার আগেই ১৯৬১ সালের ১৯ মে ভারতের পূর্ব প্রান্তের সীমায় অবস্থিত বরাক ভূখণ্ডের শিলচরে পুনরাবৃত্তি ঘটল সেই অভাবনীয় ঘটনার। সেখানে মাতৃভাষা বাংলার অস্তিত্ব রক্ষায় বুকের রক্ত ঢেলে দিলেন ১১ জন শহীদ। একুশে ফেব্রুয়ারির বিশ্বজননীতার সেই তো শুরু। একুশে ফেব্রুয়ারির পাশে এসে দাঁড়াল ১৯ মে, মোটামুটি একই ভৌগোলিক পরিমণ্ডল। নদীমাতৃক দেশ আমাদের। এক নদীর পানি মিশে যায় অন্য নদীর পানিতে। এভাবে মিলেমিশে একই স্রোত চলে যায় মোহনার দিকে। মানুষেরও একই স্বভাব। আর সমভাষী হলে তো কথাই নেই। বাঙালি জাতিসত্তার বাঙ্ময় প্রকাশ- অমর একুশের বিশ্ব মাতৃভাষা দিবসে রূপান্তরিত হওয়ার পেছনে যেসব ঘটনা বা উদ্যোগ ছিল, সংক্ষেপে সেই সূত্রগুলো জানা আমাদের সবার প্রয়োজন সত্য জানার অধিকারে। তথ্যে প্রকাশ, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি অন্যতম শহীদ আবদুল জব্বরের জন্মস্থান গফরগাঁও থেকে 'গফরগাঁও থিয়েটার'-এর তরফে সর্বপ্রথম ১৯৯৭ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। ১৯৯৮ সালের ২৫ মার্চ জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার জনৈক এনামুল হক। দিন কয়েক পর কসোভোর বহুভাষিক ও বহুজাতিক মাতৃভাষাপ্রেমী গ্রুপ মহাসচিবের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঘোষণার প্রস্তাব করে এবং প্রস্তাবের উত্তরে জাতিসংঘের মহাসচিবের দপ্তর থেকে বিষয়টি প্যারিসে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক কর্ম পরিচালনা কেন্দ্র ইউনেসকোর গোচরে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। কানাডাভিত্তিক মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড নামের সংগঠনের বাংলাভাষী সদস্য রফিকুল ইসলাম ও আবদুুস সালাম এ বিষয়ে ইউনেসকোর দপ্তরে যোগাযোগ করলে তাঁদের জানানো হয় যে প্রস্তাবটি আসতে হবে সেই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এটাই নিয়ম। এটা জেনে যাওয়ার পর কানাডাপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৯ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি লিখে পাঠান। চিঠি পেয়ে শিক্ষামন্ত্রী
 

No comments

Powered by Blogger.