একুশ আমাদের কাছে যা চায়-ধর নির্ভয় গান by আলী যাকের

আমাদের সংকীর্ণমনা হলে চলবে না। আমাদের সংকীর্ণতা ছাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে আরও অনেক দূরে এবং আমি মনে করি, আমাদের সকলের জন্য এ ধরনের একটি প্রত্যয়, একটি বিশ্বাস আমরা অর্জন করতে পারি, যাতে করে এসব জাতীয় দিবসে আমাদের যে ঋণ আমাদের মাতৃভূমির প্রতি সেই ঋণ পরিশোধ করার জন্য বৃহত্তর, মহত্তর কর্মকাণ্ডে ব্যাপৃত হওয়ার একটি অঙ্গীকার আমরা গ্রহণ করব।


যার ফলে বাংলাদেশ, বাংলাদেশবাসী বিশ্বের সর্বত্র সমাদৃত হবে ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষার মাস। একুশ আমাদের ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমাদের জীবনে একুশের তাৎপর্য অপরিসীম। একুশের কবিতা, একুশের সাহিত্য, একুশ সম্বন্ধে বক্তব্য এসব কিছুই ভাষানির্ভর অবশ্যই হতে হবে। কেননা একুশেতে ভাষার প্রশ্নেই শহীদ দিবসের নির্মাণ। আমরা মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চেয়েছিলাম। তৎকালীন রাষ্ট্রশক্তি সেটি অনুমোদন করেনি। কেবল অনুমোদন করেনি তাই নয়, হত্যা করেছিল তাদের, যারা এই দাবি করেছিলেন যে, বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হোক। সে কারণেই একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস আমাদের জাতীয় দিবস। আমি আজকে একটু অন্যভাবে এই শহীদ দিবসকে দেখতে চাইছি এবং আমার ধারণা, যে চেতনায় নির্ভর করে বাংলাদেশের সৃষ্টি সেই চেতনাকে যদি আমরা আমাদের মূল আদর্শ ও মূল্যবোধের ধারক এবং বাহক হিসেবে ধরে নিই, তাহলে একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য আমাদের জন্য বদলে যায়। এটা কেবল ভাষার প্রশ্নে মানুষের জাগরণ এবং জীবন দান, এতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। আরও বৃহৎ, আরও তাৎপর্যপূর্ণ এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের দিকেই আমাদের দৃষ্টি ফেরায়। কেবল কি ভাষার জন্যই, কেবল কি রাজনৈতিক অধিকারের জন্যই, কেবল কি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই, আমরা আন্দোলন করেছিলাম, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, আমরা লেখালেখি করেছিলাম, আমরা মেধা উদ্বুদ্ধ কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হয়েছিলাম? একুশে কি কেবল তারই প্রতিফলন? আমি করে করি, না। একুশের তাৎপর্য, একুশের গুরুত্ব অনেক বেশি মাহাত্ম্যপূর্ণ, অনেক বেশি প্রয়োজনীয় এবং অনেক বেশি গুরুতর। সে কারণেই আমার আজকের এই পরিণত বয়সের দ্বিতীয় ভাবনা, ভিন্ন ভাবনা এবং বলা যেতে পারে নতুন ভাবনা। আমরা যদি নতুনভাবে এই বিষয়টি সম্বন্ধে ভাবতে না পারি তাহলে জাতি হিসেবে আমরা সুদূর ভবিষ্যতে একটি স্বকীয়তা নিয়ে টিকে থাকতে পারব কি-না সে প্রশ্নও দেখা দিতে পারে। আমি বলছি না যে দেখা দেবেই। কেননা একজন সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমি জানি কোনো কিছুই শাশ্বত নয়। তবুও এই মুহূর্তে আমার যে সন্দেহ তাই আমি ব্যক্ত করলাম। অতএব, আমি মনে করি অত্যন্ত সংকীর্ণ সংজ্ঞা থেকে আমাদের জাতীয় দিবসগুলোকে, যেগুলো জাতীয় স্বার্থের ওপরই প্রতিষ্ঠিত, আমাদের অনেক বেশি ব্যাপক অর্থবহ সংজ্ঞায় পরিণত করতে হবে। এটি এই মুহূর্তে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। আমার কেন যেন মনে হয় যে, আমরা সকলেই একেবারে তাৎক্ষণিকভাবে, প্রয়োজনের কারণে কথা বলে থাকি এবং এসব কথা যারা বলেন তাদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীরা আছেন, শিল্পকর্মীরা আছেন, নাট্যজনরা আছেন, আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছেন। কিন্তু আমরা হয়তো বিস্মৃত হই যে, তাৎক্ষণিক প্রয়োজন ছাড়াও এই জাতির জন্য, এই দেশের জন্য এবং সর্বোপরি ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য বিরাট একটা পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের মাধ্যমে। এটা আমাদের অনুধাবন করা দরকার এবং সেভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্মাণ করা দরকার। এই বিষয়টির তাৎপর্য লঘু নয়। আমরা আমাদের জাতীয় দিবসগুলোকে এ রকম সংকীর্ণভাবে দেখার জন্যই হয়তো শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রে বড় কিছু অর্জন করতে পারিনি। কথাটা কি অগ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে? হতেই পারে। সব কথা সকলের মনঃপূত হবে এটা আশা করা অন্যায়। তবে তিরিশ বছরের ওপর শিল্পাঙ্গনের একটি শাখায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আমার উপলব্ধি হলো, আমরা একটি প্রক্রিয়ার শুরু করতে পেরেছি মাত্র। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতেই বলব। একটু বিস্তারিতভাবে বলি, একুশে ফেব্রুয়ারি যখন আসে এবং আমরা যখন ভাষা আন্দোলনের ওপর কোনো নাটক খুঁজতে যাই, তখন দেখি যে একমাত্র শহীদ মুনীর চৌধুরীর 'কবর' ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো নাটক একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে লেখা হয়নি। আমরা যখন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস বা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ওপর কোনো নাটক খুঁজি, তখন দেখতে পাই ঘুরেফিরে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা দু'তিনটি নাটক ছাড়া বিশেষ কোনো কাজ এই দিবসগুলো নিয়ে সরাসরিভাবে লেখা হয়নি। এটা এই ইঙ্গিত করে যে, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস কিংবা শহীদ দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে কেবল দিবস হিসেবে আসে না! আসে আরও অনেক বড় তাৎপর্য নিয়ে। আসে আমাদের আত্মোপলব্ধির ইঙ্গিত নিয়ে, আমাদের আত্মসচেতনতার ইঙ্গিত নিয়ে। আমরা বাঙালি হিসেবে নিজেদের পুনঃআবিষ্কার করি। এটিই হচ্ছে বড় কথা। তার মানে এই যে, স্বাধীনতা আমরা অর্জন করলাম, যে ভাষা দিবসে শহীদ হলেন বাঙালি এর মধ্য দিয়ে একটি চেতনা আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে এলো, প্রতিষ্ঠা পেল। কী সেই চেতনা? চেতনাটি হলো, আবহমান বাংলার যা কিছু সুন্দর, যা কিছু সুকৃতি সেটাই আমাদের উত্তরাধিকার। এভাবে চিন্তা না করলে আস্তে আস্তে জাতি হিসেবে আমরা একটা সীমাবদ্ধ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যাব। জাতি হিসেবে আমাদের চিন্তা-ভাবনায়, আমাদের আনন্দ-দুঃখে যে ব্যাপকতা কাজ করার কথা সে ব্যাপকতাটি খুঁজে পাব না। এই সংকীর্ণতা নিয়ে বাস করতে করতে একটি অতি সংকীর্ণ মানসিকতা ভারাক্রান্ত জাতিতে আমরা পরিণত হবো। এটি আদৌ আমাদের জন্য কাম্য নয়। আমাদের চিন্তার প্রসারতা বাড়াতে হবে। আমাদের চেতনাকে সমৃদ্ধ করতে হবে এমন সব সুকৃতি দিয়ে, যা বাঙালির গর্ব। কয়েক বছর আগে আমি ভারতীয় একটি জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে তাদের প্রজাতন্ত্র দিবসে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান দেখছিলাম। এই অনুষ্ঠানে ভারতের তথ্যমন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছিল। আমরা দেখলাম যে, ওই অনুষ্ঠানে একজন অত্যন্ত প্রথিতযশা ভারতীয় চিত্রশিল্পী ছবি আঁকলেন। তাঁর মনে স্বাধীনতা শব্দটির উচ্চারণে যে ভাবটি আসে সেই ভাবনির্ভর একটি ছবি। ভারতের বিশ্বখ্যাত ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী পারভীন সুলতানা দুটি গান গাইলেন, একটি খেয়াল আর একটি ভজন। ধ্রুপদী নৃত্যের অনুষ্ঠান হলো। শিল্পী, যত দূর মনে পড়ে, সোনাল মানসিং। এর সঙ্গে কিন্তু সরাসরি ভারতের স্বাধীনতা বা প্রজাতন্ত্র দিবসের কিছুই করার ছিল না। কেউ কিন্তু এসে এখানে এ রকম কোনো গান গাইলেন না যাতে কেবল 'ভারত, ভারত' বলছেন না, 'স্বাধীনতা, স্বাধীনতা' বলছেন। কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে আহরিত শ্রেষ্ঠ যে কীর্তিগুলো আছে সেগুলো মঞ্চের ওপর একের পর এক আসছিল। এটিই হচ্ছে, আমার মতে, সত্যিকার অর্থে জাতীয় দিবসগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উপায়। আমাদের সুকৃতিগুলোকে, আমাদের এমন সব শিল্পকর্ম যেগুলো নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি, সেগুলোকে গণমাধ্যমে বা মঞ্চের ওপর গণমানুষের সামনে তুলে ধরা এবং তাদের আবারও মনে করিয়ে দেওয়া যে, আমাদের স্বাধীনতা এসেছে আমাদের এই যে সুদীর্ঘ পদচারণা, জাতি হিসেবে সেই পদচারণা থেকে উৎসারিত যে শিল্পবোধ, যে সংস্কৃতি, যে সৃজনশীল সুকৃতি সেগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, সেগুলোর মাধ্যমে আমাদের অভিব্যক্তিকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য। এই বিষয়টি যদি আমরা লক্ষ্য করি, এই বিষয়ে যদি সচেতন হই তাহলে দেখব যে, আমাদের মধ্যে ক্ষুদ্র স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ভেদাভেদও আস্তে আস্তে দূরীভূত হবে। অতএব, আমাদের যে কোনো জাতীয় দিবস সম্বন্ধে যখন আমরা চিন্তা করি কিছু লেখার জন্য বা কিছু বলার জন্য, তখন সামগ্রিকভাবে আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে চিন্তা করাটাই বোধহয় বাঞ্ছনীয়। একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস কেবল ওই দিনটিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস কেবল ২৬ মার্চে পর্যবসিত হবে না। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কেবল বিজয় দিবসেই সীমিত থাকবে না। আমরা এই দিনগুলোকে এদিনের যে চেতনা সেই চেতনাগুলোকে আরও অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত করে দেব। একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সেদিনই যদি একজন বাংলাদেশের বাঙালি ইংরেজিতে একটি এমন উপন্যাস লেখেন, যা বিশ্বের সমস্ত পাঠক সাধুবাদ জানান, তাহলে সেটি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে কেবল শহীদ দিবসকে স্মরণ করে একটি লেখার চেয়ে। যেমন ভারতের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখি, ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস, ২৬ জানুয়ারি তাদের প্রজাতন্ত্র দিবস কেবল ওই দিনগুলোতে পর্যবসিত নয়। ওই দিনগুলো একটা সিমবোলিক অথবা প্রতীকী অর্থ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং ওই দিনের যে চেতনা, ওই দিনকে ঘিরে যে অহঙ্কার একটি জাতিসত্তার অহঙ্কার, সেই অহঙ্কার থেকেই তো সৃষ্টি হচ্ছে বিক্রম শেঠ, উপমন্নু চ্যাটার্জি, রোহিনর্তন মিস্ত্রি, অরুন্ধতী রায় কিংবা এখনকার যেসব লেখক বেরিয়ে আসছেন তারা। ওই চেতনা থেকেই তো সৃষ্টি হচ্ছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশাল এবং গবেষণানির্ভর সব উপন্যাস, যা নিয়ে ভারতীয় বাঙালিরা গর্ব করতে পারেন। ওই চেতনা থেকেই তো বেরিয়ে আসছে মকবুল ফিদা হুসেনের মতো চিত্রকর। ওই চেতনা থেকেই বেরিয়ে এসেছেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্রের মতো রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। ওই চেতনা থেকেই বেরিয়ে এসেছেন অমর্ত্য সেনের মতো অর্থনীতিবিদ। একটি জাতির আত্মশ্লাঘা থেকেই সৃষ্টি হয় এমন মানুষের, এমন কর্মকাণ্ডের, এমন সৃজনশীলতার, যাতে করে একটি জাতি একটি মহত্তর জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিষয়টি আমাদের ভুললে চলবে না। আমাদের সংকীর্ণমনা হলে চলবে না। আমাদের সংকীর্ণতা ছাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে আরও অনেক দূরে এবং আমি মনে করি, আমাদের সকলের জন্য এ ধরনের একটি প্রত্যয়, একটি বিশ্বাস আমরা অর্জন করতে পারি, যাতে করে এসব জাতীয় দিবসে আমাদের যে ঋণ আমাদের মাতৃভূমির প্রতি সেই ঋণ পরিশোধ করার জন্য বৃহত্তর, মহত্তর কর্মকাণ্ডে ব্যাপৃত হওয়ার একটি অঙ্গীকার আমরা গ্রহণ করব। যার ফলে বাংলাদেশ, বাংলাদেশবাসী বিশ্বের সর্বত্র সমাদৃত হবে। বাংলাদেশবাসীর কর্মকাণ্ড, কি অর্থনৈতিক, কি দার্শনিক, কি সাহিত্যগত অথবা শিল্পকর্মভিত্তিক সমস্ত কিছু বিশ্বের সমস্ত জায়গায় সমাদৃত হবে উৎকৃষ্ট কর্মকাণ্ড হিসেবে। এই চেতনায় নির্ভর করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি সেই চেতনা সম্বন্ধে সচেতন না হই আর যদি কেবল এই দিনগুলোকে এই দিনেই পর্যবসিত রাখি, তাহলে যা হওয়ার তাই হবে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমি একজন নগণ্য নাট্যজন হিসেবে নাটককে পেয়েছি। সকলের সঙ্গে মিলে নিয়মিত নাটক মঞ্চায়নকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। এখন ঢাকা শহরের যে কোনো সন্ধ্যায় একাধিক নাটক টিকিট কিনে দেখা যায়। এটি একটি কনসেপ্ট। এই কনসেপ্টের জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কারণেই। অতএব, এটির প্রত্যক্ষ অবদান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের। এটি ভুলে গেলে চলবে না। ঠিক একইভাবে জাতীয় কবিতা উৎসব প্রতি বছর হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবদান। আমরা যখন পরাধীন ছিলাম তখন এগুলো চিন্তা করতে পারিনি। এশিয়ান আর্ট বায়ানিয়াল অনুষ্ঠানটি যে হয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবদান। স্বাধীনতার অবদানে প্রতিবছর আয়োজিত জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন। এই যে অর্জন এটিকে খাটো করে দেখার কোনোরকম কারণ নেই। আমরা সবাই আজকে এই অঙ্গীকার করি একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে যে, আমরা যার যার ক্ষেত্রে এমন সব কাজ করতে ব্রতী হবো সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে, যার ফলে আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে সারাবিশ্বে।

আলী যাকের : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

No comments

Powered by Blogger.