সাংবাদিক দম্পতি হত্যা-হাতে ‘অনেক তথ্য’ তবু সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডে নয় দিন তদন্তের পর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে অনেক তথ্য জমলেও তারা কোনো উপসংহারে পৌঁছাতে পারছে না। গতকাল রোববার তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এসব কথা বলেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাংবাদিক দম্পতি হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজনদের সঙ্গে বারবার কথা বলছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতার সম্ভাব্যতা নানাভাবে যাচাই করা হচ্ছে।


গতকাল তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, পুরো ডিবিই এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে লেগেছে। অনেক তথ্য জমেছে কর্মকর্তাদের হাতে। তবে তাঁরা সেগুলো বিশ্লেষণ করেও কোনো উপসংহার টানতে পারছেন না। ওই কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল ফোনালাপের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগে যাঁদের একবার ডেকে আনা হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে আবারও কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে এই হত্যা মামলায় সন্দেহভাজনেরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য অভিবাসন পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত অভিবাসন পুলিশের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছু মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছেন। তবে তিনি তখন পর্যন্ত লিখিত কিছু হাতে পাননি।
এর আগে তদন্তকারী সূত্রগুলো জানিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডের দিন থেকে তদন্তকারীরা নিহত দম্পতির ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও লেনদেনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা শুরু করেন। ঘটনাটি চুরি বা ডাকাতি-সম্পর্কিতও হতে পারে বলে শুরু থেকে সন্দেহ করছিলেন তদন্তকারীরা। জানা গেছে, গত কয়েক দিনে এ সন্দেহ প্রবল হয়। তবে তদন্তকারীরা সব সন্দেহের বিষয়েই প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এখনো সেগুলোর খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ চলছে। তদন্ত কর্মকর্তারা নিহত দম্পতির মোবাইল ফোন যোগাযোগ ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহারের (ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট) তথ্যও সংগ্রহ করছেন।
মহিলা সাংবাদিক ফোরামের মানববন্ধন: এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে দ্রুত ঘাতকদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সাংবাদিক ফোরাম। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা নিহত দম্পতিকে নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানান। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা।

No comments

Powered by Blogger.