আল-কায়েদার হাতে যেতে পারে গাদ্দাফির অস্ত্রভান্ডার!

আলজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বড় ধরনের অস্ত্রের মজুদের সন্ধান পেয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে ঘাড়ে রেখে ছুড়ে মারার ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। সংঘাত-বিক্ষুব্ধ লিবিয়া থেকে এসব অস্ত্র পাচার হয়ে আসতে পারে বলা ধারণা করা হচ্ছে।গত শনিবার আলজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী এ তথ্য জানায়। অবশ্য আলজেরিয়ার সরকার এই অস্ত্রভান্ডারের সন্ধান পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেনি। নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


আলজেরিয়ায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ওই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য সতর্ক সংকেত। কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি-পরবর্তী অস্থিতিশীল লিবিয়া প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। লিবিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার উত্তর আফ্রিকা শাখার হাতে চলে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
আলজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লিবিয়া সীমান্তে আমেনাস এলাকায় এ অস্ত্রভান্ডারের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে বিমান ভূপাতিত করার মতো অস্ত্রও রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই অস্ত্রভান্ডারের সন্ধান সবাইকে জানান দিচ্ছে অস্থিতিশীল লিবিয়া এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের জন্য বিপজ্জনক।’
পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এসব অস্ত্র গাদ্দাফির লুট হওয়া অস্ত্রভান্ডারের। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এসব অস্ত্র বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মার্কিন সরকারের একটি টাস্কফোর্স জানায়, গাদ্দাফি বাহিনীর কাছে ২০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এর বেশির ভাগই এখন লিবিয়ার ভেতরেই রয়েছে। লিবিয়ার অন্তর্বর্তী কাউন্সিলের (এনটিসি) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আল-কায়েদার আফ্রিকা শাখা একিউআইএম ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ফ্লাইট অবতরণে বাধ্য করতে পারে।
একিউআইএম দীর্ঘদিন থেকে আলজেরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। এ ছাড়া পশ্চিমা বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা ও মানুষ অপহরণ করছে। এই সংগঠনটি আলজেরিয়া, লিবিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া ও নাইজার সীমান্তে হামলা-অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ করে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.