মেলার সমাপনীতে শিল্পমন্ত্রী-এ সরকারের মেয়াদেই প্লাস্টিক শিল্পনগর হবে

শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, ‘মহাজোট সরকারের মেয়াদকালেই দেশে প্লাস্টিক শিল্পনগর স্থাপনের কাজ শেষ হবে। এ জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিসিকের মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসিক এ বিষয়ে কাজ করছে।’


ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল রোববার বিকেলে সপ্তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চার দিনব্যাপী মেলাটি বাংলাদেশ প্লাস্টিকদ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এবং তাইওয়ানের চান চো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন লিমিটিড যৌথভাবে আয়োজন করে।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সুবিধা নিতে আমরা দেশব্যাপী পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চাই। প্লাস্টিক শিল্প পরিবেশবান্ধব নয় বলে এক ধরনের অপপ্রচার আছে। এ জন্য আপনাদের সতর্ক থেকে দেশের আইনিকাঠামোর মধ্যে পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে তুলতে হবে।’
দিলীপ বড়ুয়া আরও বলেন, ‘সম্ভাবনাময় প্লাস্টিক শিল্পের বিকাশে মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের নীতি-সহায়তা দেওয়া হবে। জাতীয় শিল্পনীতি-২০১০ এ প্লাস্টিক শিল্প খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’ প্লাস্টিক পণ্যের প্রত্যয়ন (সার্টিফিকেশন) ও মাননিয়ন্ত্রণের জন্য বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক কে এম ইকবাল হোসেন, সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন, মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. জসীম উদ্দিন, বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্লাস্টিকের বাজার ক্রমাগত বাড়ছে। বিগত কয়েক বছরে অনেক জিনিসের বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিক পণ্য স্থান করে নিয়েছে। বিশ্বমন্দার মধ্যে খাতটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় সম্ভব হয়েছে।
এ সময় প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা পরিবেশ অধিদপ্তর খাতটির বিকাশে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তাঁরা পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পাট মন্ত্রণালয়ের প্যাকেজিং আইনেরও সমালোচনা করেন।
দৃষ্টিনন্দন স্টল, নতুনত্ব, পণ্যের মান ইত্যাদি বিচার করে দেশি-বিদেশি ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে মেলার আয়োজক কমিটি। পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশীয় তিন প্রতিষ্ঠান হলো: বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, লুনা প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও হ্যামকো করপোরেশন লিমিটেড।
এদিকে গতকাল প্লাস্টিক মেলার শেষ দিনেও অনেক দর্শনার্থী মেলা প্রাঙ্গণে আসেন। তাঁরা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্টল ঘুরে পছন্দের পণ্য কেনেন। অন্যদিকে দেশীয় উদ্যোক্তারা যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ক্রয়ের কার্যাদেশ দেন বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্টলের।

No comments

Powered by Blogger.